![]() |
---|
হ্যালো বন্ধুরা
![]() |
---|
![]() |
---|
গত ২ তারিখে অর্থ্যাৎ ২রা জানুয়ারী হঠাৎ করেই রাঙ্গামাটি সফরে গিয়েছিলাম ,আমাদের বেশ কিছু পরিচিত ভাবিদের সাথে। অবশ্য আমার দু একজন কলিগ ও ছিল এই সফর সঙ্গী হিসেবে।
কি বলবো বন্ধুরা আমার কাছে মনে হচ্ছে কাশ্মীরের মত বাংলাদেশ ও একটি ভূস্বর্গ। পুরো বাংলাদেশটাই আমার কাছে পর্যটন কেন্দ্র মনে হয়। দেশটি দেখতে এত ছোট ,কিন্তু এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এত মনমুগ্ধকর যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। আল্লাহপাকের সৃষ্টি এত সুন্দর এত মনমুগ্ধকর হতে পারে তা প্রকাশ্যে না দেখলে বোঝা যায় না ।এগুলো মন দিয়ে অনুভব করতে হয় ,অনুধাবন করতে হয়।
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
আমি পারিবারিকভাবে, বেশ কয়েকবার যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি ওখানে,কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার কারণে যাওয়া হয়ে ওঠেনি ।তাছাড়া আমার বাসস্থান থেকে রাঙ্গামাটি জেলা অনেক দূর ।প্রায় আট নয় ঘন্টার জার্নি। এত লং জার্নি একা করতে সাহস পাচ্ছিলাম না।
তাই যখন আমাদের কোয়াটার থেকে একটি বাস নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করল তাদের সাথে আমরাও চলে গেলাম। একবার ভেবেছিলাম যে এত শীতের মধ্যে যাবো না। তবে খুব মিস করতাম যদি না যেতাম ।
আমার কাছে বরাবরই মনে হচ্ছিল রং তুলি দিয়ে আঁকা। এত নিখুঁত এত সুন্দর প্রকৃতি হতে পারে। তা কাছ থেকে না দেখলে কোনভাবেই আঁচ করা সম্ভব না। বিশেষ করে আদিবাসীদের জীবনযাত্রা টা সম্পূর্ণ ভিন্ন রকম । তারা এত পরিশ্রমী এবং আদর্শবান তাদের কাছ থেকে অনেক কিছুই শেখার রয়েছে।
আর এরকম দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে তারা কিভাবে জীবন যাপন করে আমি ভেবে পাইনা । সত্যিই আমি খুব উপভোগ করেছি বিষয়টি । আবারো যেতে ইচ্ছে করছে । প্রকৃতির এরকম মনোরম দৃশ্য দেখে ,আসতে কারো মন চাবেনা ।শুধু আমার নয় ।
আমার বিশ্বাস প্রতিটি মানুষের জীবনে টানা পূরণ রয়েছে ।মনের অশান্তি রয়েছে এ মনের অশান্তি দূর করার উত্তম এবং প্রধান ঔষধ হলো এই প্রকৃতি। প্রকৃতির সান্নিধ্যে গেলে মানুষ সবকিছুই ভুলে যায়। মনের প্রশান্তি জোগাতে, একটি উত্তম উপায় হচ্ছে প্রকৃতির কাছে যাওয়া ।
এত দূর থেকে গিয়েছি, প্রায় আট নয় ঘন্টা জার্নি। তারপরও বিন্দু পরিমানে ক্লান্ত লাগেনি যখন পাহাড়ি পথ দিয়ে উপরে উঠছিলাম ।ওকি দিচ্ছিল এক নতুন দিগন্ত,তখন অন্যরকম অনুভূতি মনে কাজ করছিল। আমি মোবাইলে এমবি ঢুকে নিয়ে গিয়েছিলাম যে আপনাদের সাথে সাথেই পোস্ট করে শেয়ার করব।
কিন্তু পাহাড়ি এলাকা ।তাই নেট পাওয়া যাচ্ছিল না। সে জন্য বাসায় এসে পোস্ট লিখলাম এবং ভালো লাগার মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করলাম। ভ্রমণ মনকে প্রশান্ত রাখতে সাহায্য করে ,এটি আবারো প্রমাণিত হলো। আমি নিজেও শারীরিকভাবে অনেক অসুস্থ ।তারপরও সাহস করে যেয়ে ভালই হয়েছে আমার কাছে মনে হয়।
সঠিক তত্ত্বাবধান হলে আমার মনে হয় পুরো বাংলাদেশে একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত হবে বিশ্বের বুকে। এবং পর্যটন শিল্পের উপরে বাংলাদেশ একসময় দাঁড়াতে পারবে। উপার্জনের একটি হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে। এটি অচিরেই হবে বলে আমার বিশ্বাস। জাতীয় আয়ের সিংহভাগ এই শিল্প থেকে আসবে যদি সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ এবং তত্ত্বাবধান হয়।
ধন্যবাদ বন্ধুরা। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ। আপনারাও সময় সুযোগ হলে ঘুরে আসবেন আশা রাখি ভাল লাগবে ।