![]() |
---|
হ্যালো বন্ধুরা
আবারো চলে আসলাম আপনাদের মাঝে ,তো সবাই কেমন আছেন, আশা রাখি সবাই ভালো আছেন ,সুস্থ আছেন ।আমি ও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের সকলের দোয়ায় মোটামুটি ভালই আছি।
গত ২০শে ডিসেম্বর আমার বড় বোনের ছেলেরা আর্থ অনুষ্ঠান ছিল। আমি তো ইতিমধ্যেই আপনাদের সাথে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শেয়ার করেছি এবং কিছু আনন্দঘন মুহূর্তেরও চিত্র তুলে ধরেছি।
![]() |
---|
যদিও বউকে আমাদের বাড়িতে তুলে নিয়ে আসিনি। তারপরও কাবিন ই হচ্ছে আমাদের বিয়ের মূল আকর্ষণ। এই আর্থ কে কেন্দ্র করে মোটামুটি যে সমস্ত কেনাকাটা করা হয় সমস্ত কিছুই করা হয়েছে । এমন কি নতুন বউয়ের জন্য যে গয়নাগাটি গুলা বানানো হয়েছিল সেইগুলো ও নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কারন হলো কাবিনে উসুলের টাকা দেখানোর জন্য নাকি ওখানে নিয়ে যেতে হয়।
![]() |
---|
![]() |
---|
মোটামুটি সমস্ত ব্যবস্থাই করে যেতে হয়েছে হঠাৎ করেই। আমার কাছে বর এবং কনের ড্রেসটি খুব ভালো লেগেছে কালারটা খুবই মিষ্টি ।আমার পছন্দের একটি কালার মিষ্টি কালার ।
ওরাও ছেলের জন্য শেরওয়ানির সাথে যাবতীয় যা কিছু লাগে সবকিছুই কেনাকাটা করে পাঠিয়ে দিয়েছেন। আমার বোন ও মেয়ের জন্য যাবতীয় কিছু প্যাকেট করে পাঠিয়ে দিয়েছেন ।কারণ মেয়ে আবার পালার থেকে সাজবে । সেজন্য গহনা এবং শাড়ির সাথে যাবতীয় সব কিছুই লাগবে তাই সেও সব কিছু গুছিয়ে ঢালা তৈরি করে পাঠিয়ে দিয়েছিল ।
আমরা আবার সবাই মিলে ছেলেকে নিয়ে কিছু নিয়ম-নীতি মেনে গোসল করালাম ।শহরে তো আর দেশের মতো বা গ্রামের মতো এরকম আয়োজন করা সম্ভব নয় ,তারপর ও যতটুকু সম্ভব নিয়ম মানার চেষ্টা করেছি।
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
বিয়ে হচ্ছে দুটি পরিবারের জন্য সারা জীবনের বন্ধন। তাই নিয়ম নীতি মেনে ই চলার চেষ্টা করি, যাতে করে মহান রাব্বুল আলামিনের উসিলায় তাদের জীবনটা সুখের হয় ,শান্তির হয়।
ভাগ্য উপরওয়ালার দান অর্থাৎ উপরওয়ালাই নির্ধারণ করে রেখেছে কার ভাগ্যে কখন কি হবে ।তারপরও আমাদের মানুষ হিসাবে চেষ্টা করতে হবে ,আমল করতে হবে ,সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
যাইহোক বন্ধুরা, সে দিন অনেক সকালবেলা আমরা যার যার মত রেডি হওয়ার জন্য চেষ্টা করেছি ।আমার বোনের বাসায় চারটি বাথরুম তারপর একটি বাথরুম ৫-১০ মিনিটের জন্য খালি পাওয়ার কোন সুযোগ নেই একের পর একজন ঢুকছে। তাছাড়া শীতকাল বেলা খুবই ছোট দেখতে দেখতে জোহরের আযান পড়ে গেল। তাই সবাই রেডি হয়ে নিলাম কমিউনিটি সেন্টারে যাওয়ার জন্য।
এক এক রুমে এক এক পালার বসেছে অর্থাৎ যে যার মত করে কসমেটিক নিয়ে সাজতে শুরু করে দিয়েছে।সে এক অন্যরকম দৃশ্য ।
ধানমন্ডি 4 রয়েল বুফে ছিল আমাদের অনুষ্ঠান। আপনারা তো হয়তো সবাই জানেন যে ,এ ধরনের বুফের অনুষ্ঠানগুলো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে হয়। তাই অনেকটা তড়িঘড়ি করেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পৌঁছে গেলাম ।
যে যার মত পছন্দমত খাবার নিয়ে খেতে শুরু করল। তবে আমি একটি জিনিস লক্ষ্য করলাম এই ধরনের অনুষ্ঠানগুলোতে বাচ্চারা বেশ স্মার্টলি তাদের কাজগুলো করে ।তাদের পছন্দের খাবার গুলো সার্ভ করে নেয়।
তারা বিষয়টাকে খুব এনজয় করে।এক এক জনের রুচি এক এক রকম হয়, যে যার মত করে পছন্দনীয় খাবারগুলো খেতে পারে এবং তার আলাদা কোন নিয়ম নীতি নেই ।যে যতটুকু পারে ততটুকুই নিচ্ছে তাই বাচ্চারা জিনিসটাকে খুব সাদরে গ্রহণ করে বলে আমার মনে হয় ।
একদিকে খাবারের হিরিক লেগে গেছে। অন্যদিকে মেহমান আসছে ওদিকে আবার ফটো সেশন চলছে সব মিলিয়ে এক আনন্দঘন মুহূর্ত যা বলার অপেক্ষা রাখে না বন্ধুরা।। আলহামদুলিল্লাহ সবকিছু সুন্দর মত সম্পূর্ণ হলো, এক পর্যায়ে আমরা বাসায় চলে গেলাম। মেয়েকে নিয়ে মেয়ের বাবা-মা ওদের বাসায় চলে গেল। যেহেতু আজকে আমাদের বাসায় কনে কে নিয়ে আসেনি, ফেব্রুয়ারি ০৭ তারিখে রিসিপশন তখন ইনশাল্লাহ নতুন বউকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসব। আপনারা সবাই দোয়া করবেন । পরবর্তীতে হয় তো বা অনুষ্ঠানের কিছু আনন্দঘন মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করব ইনশাআল্লাহ। আজকে মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি আল্লা হাফেজ শুভরাত্রি।