![]() |
---|
হ্যালো বন্ধুরা
সব খাবার সবার পছন্দ নয়,এটাই স্বাভাবিক তাই না বন্ধুরা।ব্যক্তি ও পরিবেশের উপর নির্ভর করে পছন্দের খাবার গুলো। তবে ঋতু বেঁধে ও কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো ওই সময় খেতে বেশি ভালো লাগে। এখন যেহেতু শীতকাল তাই টাটকা সবজির সমারোহ বললেই চলে। অনেকটা ই সুলভ মূল্যে বিভিন্ন ধরনের সবজি পাওয়া যায় এখন।
![]() |
---|
![]() |
---|
তাই সেদিন একটি ভর্তা বানিয়েছিলাম দুইটি সবজির সমন্বয়ে, সাথে ছিল পেঁয়াজ ও রসুন কুচি ধনেপাতা ও শুকনো ভাজা মরিচ ।
আরেকটি ছিল মুসূরি ডালের বড়া । এই মসুর ডালের বড়াতে আমি খুব অল্প উপকরণ ব্যবহার করেছি। কারণ আমার কাছে এই মুসুর ডালের বড়াতে এই কয়েকটা উপকরণ দিয়ে বানালেই বেশি ভালো লাগে।
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
আমি যে সমস্ত উপকরণগুলো ব্যবহার করেছিলাম তা হল, মুসুরির ডাল বাটা ,পেঁয়াজ ,মরিচ ,ধনিয়া কুচি, সামান্য পরিমাণে হলুদ গুঁড়া ও পরিমাণ মতো লবণ।
একই ধরনের খাবার খেতে খেতে একঘেয়েমিয়ে ভাব চলে আসে। তাই রুচি পরিবর্তন এর জন্য মাঝেমাঝে এ ধরনের সাধারণ খাবার গুলো অসাধারণ হয়ে যায়। আমার কাছে কেন যেন সাধারণ খাবার গুলিই ভালো লাগে। গুরুপাক খাবারগুলো আমার খুব একটা পছন্দ নয় আর আজকাল আমি ওই ধরনের খাবারগুলো হজমা ও করতে পারি না ।বয়সের কারণে কিনা তা বুঝতে পারছি না। কারণ বয়সের সাথে সাথে হজম শক্তি ও অনেকটা কমে যায়। এটাও একটি ভাবার বিষয়।
যাইহোক বন্ধুরা, দুটি খাবার ই অত্যন্ত সুস্বাদু হয়েছিল। বিশেষ করে ভর্তাটা তো অসাধারণ লেগেছিল খেতে। আমার বর তো একেবারে ফিদা হয়ে গিয়েছে ভর্তা খেয়ে ।আর বলছিল এমন ভর্তা তো আগে কখনো বানাও নি এত সুস্বাদু ভাবতেও পারিনি।
আসলে ভর্তা রেসিপি টা আমি এক ভাবীর কাছ থেকে শিখেছি। উনি অবশ্য এই ভর্তাটি তিনটি উপকরণ দিয়ে বানিয়েছিল। উনি ওনার ভর্তার মধ্যে দিয়ে ছিল বড় বড় গোল বেগুন ,পাকা টসটসে টমেটো এবং মিষ্টি কুমড়া। কিন্তু আমার বাসায় মিষ্টি কুমড়া ছিল না বলে আমি শুধু বেগুন তাও আবার লম্বা বেগুন আর সাথে দিয়েছি টমেটো। তবে আমার টমেটো গুলো ও বেশি টসটসে পাকা ছিল না, একটু শক্ত প্রকৃতি ছিল। মনে হয় কাচা টমেটো গুলোকেই রাসায়নিক কোন উপাদান দিয়ে পাকিয়েছে ,তাই এরকম শক্ত শক্ত লাগছে ।তারপর ও আলহামদুলিল্লাহ ভালই লেগেছে খেতে।
শুধু আমার সাহেব নয়, বাসার সবাই অনেক মজা করে তৃপ্তি সহকারে খেয়েছি। তাই আপনাদের সাথে অনেকটা রিভিউ দেওয়ার জন্যই এই পোস্টটি করেছি। আমি যেহেতু নতুন শিখেছি এবং খেয়ে খুব ভালো লেগেছে। তাই ভাবলাম আপনারাও হয়তোবা আমার এই রেসিপি ফলো করে এই ভর্তাটি বানিয়ে ফেলতে পারবেন। তাছাড়া মসুরের ডালের বড়া টা ও আমি একদম অল্প উপকরণ দিয়ে বানিয়েছি। তবে খেতে অসাধারণ হয়েছিল ।আপনারা ও সবাইকে সময় সুযোগ করে চেষ্টা করবেন বানানোর জন্য ।আশা রাখি আপনাদের কাছে ও ভালো লাগবে । এত অল্প উপকরণ এবং সাধারণ এই রেসিপিটি যে এত মজার হইতে পারে তা আমার ধারণার বাইরে ছিল। বিশ্বাস একবার বানিয়ে খেয়ে দেখুন আপনারা ।আমার মতো আপনারাও ফিদা হয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।