![]() |
---|
হ্যালো বন্ধুরা,
গত ৬ ই জানুয়ারি আনুমানিক ১১/ ১২টার দিকে আমি স্কুল থেকে এসে রুম গোছাচ্ছিলাম।আর হঠাৎ করে হট্টগোল শুনতে পেলাম। প্রথমে বুঝতে পারছিলাম না কোথা থেকে আসছে এই হট্টগোলের আওয়াজ।
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
এদিক ওদিক তাকাচ্ছিলাম কিন্তু কাউকে দেখছি না আর যেহেতু একসাথে কয়েকজন কথা বলছে , তাই আওয়াজটা ও অনেকটা জোড়ালোই ছিল।
তারপর ও খুঁজে পাচ্ছিলাম না নির্দিষ্ট ভাবে কোথা থেকে আসছে আওয়াজটা। অনেকক্ষণ খেয়াল করার পর দেখতে পেলাম আমার বাসার সামনে তিন তলার মধ্যে কয়েকজন লোক জড়ো হয়ে আছে এবং চিল্লাচিল্লি করে কথা বলছে।
কিন্তু ঘটনা কি তা বুঝতে পারছি না ।শুধু চিল্লাচিল্লি শব্দ শুনতে পাচ্ছি। তাই অনেকটা আগ্রহ সহকারে বারান্দায় এসে দাঁড়ালাম ।কিন্তু স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল না কথা। তাই রুমের জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি একটি টিনেজার বয়সী ছেলে। সে নাকি চুরি করার জন্য বাসায় ঢুকেছে। অনেক জেরা করা হলো তাকে। কিন্তু সে সত্যি কথা বলছিল না একেক সময় একেক কথা বলছে।
তাই , লোকজনের সন্দেহ হয়, তাৎক্ষণিক পুলিশকে কল করা হয়, সাথে সাথে দুজন সিকিউরিটি গার্ড পাঠিয়ে দিয়েছে আমাদের কোয়ার্টারের পুলিশ সেন্টার থেকে। সত্য তা জানিয়ে করার জন্য।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো ছেলেটা একেবারেই ছোট 12-13 বছর হবে। কেন সে কাজটি করছে বুঝতে পারছি না। আর নেশার টাকা জোগাড় করার জন্য নাকি অন্য কোন সমস্যা তাও বুঝতে পারছিলাম না। এখন তো যেভাবে নেশাগ্রস্থ ছেলেমেয়েদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে কিশোর বয়সী ছেলেমেয়েদের মধ্যেই নেশার প্রবণতা বেশি। অনেক সময় এই নেশার টাকা জোগাড় করার জন্য ছেলে মেয়েরা এই ধরনের অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়।
এই ঘটনা টি দেখে আমার আসলে খুব খারাপ লাগছিল। তবে সত্যটা এখনো জানতে পারিনি। পুলিশ এসে ছেলেটাকে ধরে নিয়ে গেছে । পরবর্তীতে নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা জানতে পারিনি। যদি সত্যতা প্রমাণ হয় তাহলে তো ছেলের অবস্থা ভয়াবহ হবে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতি, নৈতিকতার অভাব, ছেলে মেয়েদের মধ্যে অনেক অবনতি হচ্ছে। তাছাড়া বেকারত্ব যেভাবে অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই সমাজে এরকম বিশৃঙ্খলা লেগে থাকাটাই স্বাভাবিক।
অপরাধ প্রবল শিশুদের মধ্যে প্রায় প্রতিটি শিশুদের জীবনে কিছু কিছু ইতিহাস রয়েছে যা করুণ ইতিহাস।
তারে এমনি এমনি অপরাধ জগতে প্রবেশ করিনি ছেলেটি। প্রত্যেকটা অপরাধে জড়িত হওয়ার পিছনে কিছু কাহিনী রয়েছে কিছু নিষ্ঠুরতা রয়েছে, কিছু সমাজের বাস্তব চিত্র রয়েছে।
তাই কিশোর অপরাধ দমন করতে হলে, কিশোরদের মৌলিক চাহিদা সুষ্ঠু ও সুন্দর জীবনের নিশ্চয়তা দান করার জন্য পরিবেশ তৈরি করতে হবে আমাদের। তাহলে সমাজ থেকে কিশোর অপরাধ দূর হবে এবং এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সম্মুখীন হতে হবে না। বা এরকম ঘটনার সাক্ষী হতে হবে না।
তাই এখনই সময় কিশোর অপরাধ দমনে আমাদের কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে এবং তাদেরকে কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে অপরাধ থেকে দূরে রাখতে হবে। তাদের সুস্থ ও সুন্দর জীবন যাপনের পরিবেশ তৈরি করে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে । তাহলে আগামী ভবিষৎ হবে সুন্দর আর আমাদের পৃথিবী হবে সুন্দর ও শান্তিময়।