Tiffin shared with colleagues at different times

হ্যালো বন্ধুরা

হঠাৎ করে গ্যালারিতে ছবি ঘাটতে ঘাটতে কিছু ছবি চোখে পড়ল ,যা বিভিন্ন সময় তুলে রেখেছিলাম এর মধ্য থেকে কয়েকটি ছবি সিলেক্ট করলাম, আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব বলে।

ছবি কথা বলে, আসলে আমার এই ছবিগুলো বিভিন্ন সময় তোলা ‌।একটা থেকে আরেকটার মধ্যে সময়ের পার্থক্য অনেক ।কিন্তু আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো প্রতিটা ছবি । প্রতিটা ছবির পিছনে ই কিছু না কিছু কাহিনী রয়েছে ।তাই আজ সেই গল্প কাহিনী নিয়েই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম।

আর আমার কাছে ভালো লাগলো বলেই আপনাদের সাথে শেয়ার করছি ।হয়তো আপনাদের কাছে ভালো লাগবে সেই আশাবাদ ব্যক্ত করেই শুরু করছি।

একদিন হঠাৎ করে আমার এক কলিগ বলল ,চলো পিয়াজু খাই। আমি বললাম! পিয়াজু পাব কোথায়? কারণ আমাদের ক্যাম্পাসের ভেতরে তো কোনো হোটেল নেই। তাছাড়া আমরা বাসা থেকে টুকটাক নাস্তা নিয়ে যাই। যেহেতু মর্নিং স্কুল একটা দেড়টার মধ্যে বাসায় চলে আসি। তাই ভারি খাবার খাওয়ার প্রয়োজন হয় না।

নাস্তা হিসেবে যে যা খাই সেটাই আবার বক্সে করে অল্প করে নিয়ে যাই ।সময়ের ফাঁকে একটু খেয়ে পানি খাওয়ার জন্য ।তাইলে শরীরে একটু এনার্জি আসে। টিচিং প্রফেশনটা একটা বেন স্ট্রমিং কাজ ।তাই একটা ক্লাস নিলে খিদে লেগে যায়। আমাদের প্রায় সব কলিগদের ব্যাগেই ,বিশেষ করে মহিলা কলিগদের ব্যাগে কিছু না কিছু খাবার সব সময়ই থাকে।

তবে আমি জানতাম না আমার স্কুলে যে ক্যান্টিনের ব্যবস্থা করেছে পরীক্ষামূলকভাবে ।স্কুলে অস্থায়ীভাবে ক্যান্টিনের ব্যবস্থা করেছে। কারণ হলো টিফিনের সময় ছেলে মেয়েরা টিফিন করার জন্য যে বাসায় বা বাইরে বের হয় ,পরবর্তী ক্লাস গুলোতে তারা আর উপস্থিত থাকে না ।আর টিফিনের পর অনেক গুরুত্বপূর্ণ ক্লাস থাকে ।তাই স্টুডেন্টদেরকে স্কুল মুখি করার জন্য এবং স্কুল পালানোর প্রবণতা কমানোর জন্য কর্তৃপক্ষ পরীক্ষামূলকভাবে ভাসমান পেইন্টিং তৈরি করেছেন।

অর্থাৎ আমাদের পাশের বাজার থেকে কিছু খাবার কিনে নিয়ে এসে এখানে বিক্রি করবে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত । তারপর ওনার আবার চলে যাবে। আমি ছুটিতে ছিলাম তাই আমি জানিনা। হঠাৎ, করে এক মামা হোটেল থেকে কিছু সিঙ্গারা, পুরী ,রিয়াজু সাথে কিছু বিস্কুটের প্যাকেট ছিল। কারণ হলো সবার রুচি তো আর একরকম না। যে যেটা খেতে পছন্দ করে সে তো সেটাই নিয়ে খেতে চায়,সেজন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।

যাইহোক,আমার এক কলিগ যেয়ে কয়েকটি পিয়াজু নিয়ে আসলো ।মজার বিষয় হলো ,আমার সবচেয়ে পছন্দের খাবার হচ্ছে পিয়াজু ।ভাজা পুড়ার মধ্যে আমি পেঁয়াজু টাকেই বেশি পছন্দ করি ।রমজান মাস আসলে আমার বাসা আর কিছু থাক বা না থাক পিয়াজু অবশ্যই থাকবে।

তবে খুব ভালো লেগেছিল একেবারে গরম গরম পিয়াজি ।তাই আবার ক্যামেরা বন্দি করে রেখেছিলাম। এই প্লাটফর্মে কাজ করার পর থেকে যে কোন জায়গায় যে কোন কিছু করি না কেন ক্যামেরা বন্দী করে রাখার চেষ্টা করি। পরবর্তীতে যাতে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারি। এত করে উপকার হল যে,সব সময় তো আর ছবি উঠানো হয় না। পুরনো কিছু ছবি দিও আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারা বা মনের ভাবনা গুলো প্রকাশ করতে পারা এই আর কি।

বাহ্ ! দেখুন কি মজার ভর্তা ভাত। এটি হচ্ছে খূদের ভাত ।আমার এলাকায় এটিকে খুদের ভাত বলে। আপনাদের এলাকায় কি বলে তা জানিনা। এর সাথে ছিল গরম গরম হরেক রকমের ভর্তা। তবে সব ভর্তা গরম ছিল না কিছু ভর্তা ঠান্ডা ও ছিল। কিন্তু খুদের ভাতটা একেবারে গরম ছিল রান্না করে হটপটে করে নিয়ে এসেছে ,যাতে করে আমরা গরম গরম খেতে পারি ।তাছাড়া খোদের ভাত গরম না হলে মজাও |লাগে না। সবাই সেই লেভেলের মজা করে খুদের ভাত খেয়েছিলাম ।আমিও সুযোগ মতো কিছু ছবি তুলে রেখেছি আপনাদের সাথে শেয়ার করব বলে।

এই যে মুড়ি মাখা ,এটি কিন্তু আমার স্কুলের সামনে না। এটি আমাদের কোয়াটারের বাহিরে একটি লোক বিক্রি করে ।ছেলে মেয়েরা যখন টিফিন আনতে বাজারে যায়, তখন তাদের কাছে টাকা দিয়ে দিলে তারা নিয়ে আসে ।আমি একটি স্টুডেন্ট এর কাছে টাকা দিয়ে দিয়েছিলাম । তাই সে আসার সময় এই সুস্বাদু এবং অসাধারণ মজার এ ঝাল মুড়ি টা নিয়ে এসেছিল ।সবাই এই মামার মুড়ি মাখা খুব পছন্দ করে। তাছাড়া প্রচুর বিক্রি হয়, আমার মনে হয় উনি প্রতি মাসে ৩০-৩৫ হাজার টাকার চেয়ে বেশি এই ঝাল মুড়ি বিক্রি করে পায়।

তাছাড়া আমার কাছে এই মামাকে শিক্ষিত মনে হয়। তার কথাবার্তা ধরন দেখে মনে হয় সে শিক্ষিত। বেকারত্ব যেভাবে বেড়েছে ,তাই আত্মসম্মানের দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না। নিজের পেট বাঁচাতে হবে। ফ্যামিলির হাল ধরতে হবে। ওনাকে আমি স্যালুট জানাই উনার এই মহতি উদ্যোগের জন্য। আমাদের উদ্যোক্তা হতে হবে, তাহলেই দেশের উন্নয়নের টাকা ঘুরবে।

এখন যেটি দেখছেন সেটি হচ্ছে পাকোড়া অর্থাৎ ভুট্টার পাকোড়া আমি জীবনের প্রথম ভোট্টা দিয়ে এই পাকোড়া বানিয়েছি ।গরম গরমে খেতে বেশ ভালোই লাগে। আমাকে এক কলিগ দেখিয়ে দিয়েছিল কিভাবে এই ভুট্টা করা ভাবতে হয়। তাই কিছুদিন আগে হাফ কেজির মত আস্ত ভূট্টা কিনে এনেছিলাম বাজার থেকে। আর আমার কলিগের বলা পরামর্শ মত এই ভুট্টা গুলো ভেজেছি। যে ওনি আমাকে শিখিয়ে দিয়েছেন মোটামুটি ওনার কাছ থেকে শিখেই তৈরি করেছি তাই ওনার জন্য নিয়ে এসেছি ।তাই বলে কি শুধু উনার জন্য একা আনা যায় ।সবাই তো টেবিলে বসে থাকে। তাই সবাই যাতে খেতে পারে সেই অনুপাতেই নিয়ে এসেছিলাম।

Suddenly, while browsing through the gallery, I came across some pictures that I had taken at different times. I selected a few of them and decided to share them with you today.

Speaking of pictures, these pictures of mine were actually taken at different times. There is a lot of time difference between one and the other. But I really liked each picture. There is some story behind each picture. So today I am here with that story.

And I'm sharing it with you because I liked it. I'm starting with the hope that maybe you'll like it too.

One day, one of my colleagues suddenly said, "Let's eat pizza." I said, "Where can I get pizza?" Because there is no hotel inside our campus. Besides, we take some snacks from home. Since we go to morning school and reach home by one and a half, there is no need to eat a heavy meal.

Whatever I eat as a snack, I pack it in a box and take it with me. I eat a little in between to drink water. That way, my body gets some energy. The teaching profession is a demanding job. So, after taking a class, I get hungry. Almost all of our colleagues, especially female colleagues, always have some food in their bags.

But I did not know that my school has arranged a canteen on an experimental basis. The school has arranged a temporary canteen. The reason is that during tiffin, the boys and girls go out to their homes or outside to have tiffin, and they are no longer present in the subsequent classes. And there are many important classes after tiffin. So, to make the students excited about school and reduce the tendency of skipping school, the authorities have created floating paintings on an experimental basis.

That is, he will buy some food from the market next to us and sell it here until a certain time. Then he will leave again. I was on vacation so I don't know. Suddenly, one uncle had some singara, puri, riyaju and some biscuit packets from the hotel. The reason is that everyone's taste is not the same. Whoever likes to eat, wants to eat that, that's why this arrangement has been made.

Anyway, one of my colleagues went and brought some onions. The funny thing is, my favorite food is onions. Among fried foods, I like onions the most. When Ramadan comes, there will definitely be onions in my house, whether there is anything else or not.

But I really liked the hot pizza. So I kept the camera again. Since working on this platform, I try to keep the camera recording whatever I do, wherever I go. So that I can share it with you later. It has been so beneficial that I don't have to take pictures all the time. Give me some old pictures to share with you or express my thoughts. What else is this?

Wow! Look at how delicious the stuffed rice is. This is Khuder Bhat. In my area it is called Khuder Bhat. I don't know what it is called in your area. It was accompanied by various hot stuffed rice. However, not all the stuffed rice was hot, some were cold. But the Khuder Bhat was absolutely hot, they cooked it and brought it in a hotpot, so that we could eat it hot. Besides, if Khuder Bhat is not hot, it is not fun. Everyone ate Khuder Bhat with that level of fun. I have also taken some pictures to share with you.

This muri makha, but it is not in front of my school. It is sold by a man outside our quarters. When the boys and girls go to the market to get tiffin, they give them money and they bring it. I gave money to a student. So when he came, he brought this delicious and extremely interesting jhal muri. Everyone likes this uncle's muri makha very much. Moreover, it sells a lot, I think he sells more than 30-35 thousand taka of this jhal muri every month.

Moreover, this uncle seems educated to me. Looking at his style of speech, it seems that he is educated. The way unemployment has increased, it is not enough to look at self-respect. We have to save our own stomach. We have to take care of the family. I salute him for this great initiative of his. We have to become entrepreneurs, only then will the money for the development of the country flow.

What you are seeing now is pakora, i.e. corn pakora. I made this pakora with bhota for the first time in my life. It tastes very good to eat in the hot weather. A colleague showed me how to make this corn. So a few days ago I bought half a kilo of whole corn from the market. And as per my colleague's advice, I fried this corn. I learned how to make it from the person who taught me, so I brought it for him. So why can't I bring it only for him? Everyone sits at the table. So I brought it in such a proportion that everyone can eat.

This was the description of the light tiffins I ate at different times in my school. I shared them with you. Maybe you will like them. May everyone be well and healthy, Happy Ramadan.