Hello friends
২৪ টা ঘন্টার সমাহারে হয় একটি দিন।আর একটি দিন পার হয়ে যাওয়া মানে জীবন থেকে একটি দিন খসে যাওয়া ,আস্তে আস্তে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হওয়া। এটাকে যদি এভাবে ভাবি ,তাহলে আসলে মন টা ও অজানতেই খারাপ হয়ে যায়। তবে আল্লাহ পাক যেন সবাইকে ,সেই তৌফিক দান করেন ঈমান এবং আমলের সাথে যেন মৃত্যুবরণ করতে পারি, সেই তৌফিক দান করুক ।
সকালের কার্যক্রম সমূহ
যাইহোক বন্ধুরা, আজকের দিনটি আমার কিভাবে কাটল তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করবো বলে চলে আসলাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রয়োজনীয় কাজগুলো সেরে নেই ।কারন স্কুল থেকে আসতে আসতে অনেকটা বেলা হয়ে যায়। তখন আর সকালের কাজগুলো করতে ইচ্ছে করে না। তাই যত শীত ই পরুক না কেন আমি সকলের কাজগুলো সকালেই সেরে যাওয়ার চেষ্টা করি ।হাতের কাজগুলো সেরে নাস্তা করে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
IMG_20250130_165350_341.jpg
IMG_20250130_165350_432.jpg
সকালের অনেকগুলো কাজের মধ্যে একটি প্রধান কাজ ছিল কিছু ময়লা কাপড় জমে গিয়েছিল তাই ওয়াশিং মেশিন দিয়ে দিলাম। ওয়াশিং মেশিনে কাপড় দেওয়ার সুবিধা হলো ,অনেকটুকু মেশিনেই শুকিয়ে যায় ।তারপর বাতাসে নেড়ে দিলেই হয় রোদের প্রয়োজন হয় না খুব একটা ।
IMG_20250130_165349_775.jpg
দুপুরের কার্যক্রম সমূহ
তারপর যথারীতি স্কুল শেষ করে বাসায় এসে দুপুরে খাবারটা সেরে নিলাম এবং একটু বিশ্রাম নিলাম।
IMG_20250130_165350_065.jpg
যেহেতু খুব সকালে ঘুম থেকে উঠি ,তাই দুপুরের দিকে একটু বিশ্রাম না নিলেই নয় ।এমন একটা ব্যাপার হয়ে যায় আমার কাছে । তবে বেলা খুবই ছোট খুব একটা সময় বিশ্রাম নিতে পারিনি । এর মধ্যে কলিং বেল এর আওয়াজ বেজে উঠলো। গেট খুলে দেখি আমারে কাজের মেয়ে এসেছে একসময় সে আমার বাসায় পার্মানেন্টলি থাকতো।
দীর্ঘ কয়েক বছর থাকার পর তার পরিবার থেকে তাকে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় । তাই আজকে সে তার সন্তানকে কোলে নিয়ে আমার বাসায় এসেছে। বেশ ফুসফুটে একটি বাচ্চা। তার সাথে অনেকটুকু সময় কাটালাম। ওদেরকে নাস্তা তৈরি করে দিলাম।
IMG_20250130_165350_442.jpg
IMG_20250130_165349_888.jpg
যদিও একটা সময় সে আমার বাসায় কাজ করত, আজকে তো সে আমার মেহমান । তাই আমার পরিবারের জন্য এবং ওদের জন্য নাস্তা বানিয়েছি । কথার ফাঁকে ফাঁকে টুকটাক খোঁজখবর নিলাম ।কেমন আছে শ্বশুর বাড়িতে সুখ শান্তি কেমন। তবে আছে আলহামদুলিল্লাহ মোটামুটি ভালোই। জেনে আমারও খুব ভালো লাগলো। সত্যি বলতে আমার বাসায় সে যখন থাকত ,তখন সে ছোট ই ছিল , খুব একটা বড় ছিল না। আমার ছেলেকে দেখার জন্য মূলত ওকে রেখেছিলাম ।তাই ওকে আমি আমার মেয়ের মতই দেখেছি ।সেও আমার ছেলেকে ছোটবেলা থেকে ভাইয়া ভাইয়া বলে ডাকতো ।তার এই ভাইয়া ডাকটা আমার কানে প্রায় বেজে উঠত ।মনে হতো সে আমার ছেলেকে ডাকছে। দীর্ঘদিন বাসায় কেউ থাকলে তাকে আর বাহিরের লোক মনে হয় না, নিজের পরিবারের একজন মনে হয়।
আর আমি তাকে সেভাবেই রেখেছি বলেই, সে এতদিন পর আমাকে দেখতে এসেছে। যদি তাকে আমি সেভাবে ভালবাসা না দিতাম তাহলে সে আজকে হয়তো আমার বাসায় আসতো না। আমি মনে করি গৃহকর্মীকে গৃহকর্মী না ভেবে পরিবারের একজন সদস্য ভাবা উচিত। একজন গৃহকর্মী পরিবারের যে কি পরিমাণ উপকারে আসে, তা শুধু যে ভুক্তভোগী সেই বুঝে।
তাই এই ব্লগের মাধ্যমে আমি সবাইকে অনুরোধ করব, গৃহকর্মীদের সাথে আমরা কোন রকম খারাপ আচরণ করবো না ।সাধ্যমত চেষ্টা করবো তাদের পাশে থাকতে।
কারণ কার জীবনে কখন কি পরিস্থিতি আসে, তা বলা যায় না ।তাই তাদের সাথে খারাপ আচরণ করা মোটেও কাম্য নয় ।তারা প্রয়োজনের তাগিদেই আমাদের কাছে আসেন। আমরা কি আমাদের সন্তানকে কারো বাসায় কাজ করতে দিব মোটেও নয়।
কিন্তু অসহায় বাবা-মা উপায়ন্ত না দেখেই তার সন্তানদের অন্যের বাসায় কাজ করতে দেন ।সেই সুযোগটা আমরা ব্যবহার করব না ,তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করব , এবং তাদেরকে আমাদের পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে ধরে নিব।
সন্ধ্যা ও রাতের কার্যক্রম সমূহ
যেহেতু ছোট বাচ্চা নিয়ে এসেছেন, তাই মাগরিবের আগেই চলে গিয়েছিলেন ওরা। ওদেরকে বিদায় দিয়ে আমি মাগরিবের নামাজ পড়ে নিলাম। তারপর এক কাপ চা খেয়ে, রুম গুলো গুছিয়ে নিলাম। রুমগুলো গুছিয়ে ঘর ঝাড়ু দিয়ে, একটু কমিউনিটিতে ঢুকলাম কয়েকটি পোস্টে কমেন্ট করলাম । তারপর এশারের ওয়াক্ত হয়ে গেল ,সেজন্য দেরি না করে এশারের নামাজ পড়ে নিলাম । শীতের রাত বেশি দেরি করে নামাজ পড়তে খুব একটা ইচ্ছে করে না ।তাই কম্বলের মধ্যে ঢুকার আগেই নামাজটা সেরে ফেললাম। তারপর রাতের খাবার খেয়ে ওষুধ সেবন করলাম। ঔষধ তো আমার এখন নিত্য সঙ্গী হয়ে গিয়েছে। আর এভাবেই কাটলো আমার আজকের দিনটি।
তো সবাই সুস্থ থাকবেন এবং অন্য কেউ ভালো রাখার চেষ্টা করবেন আল্লাহ হাফেজ।