বিয়ে মানেই ভরপুর আনন্দ উল্লাস আর সেই বিয়েটা যদি হয় বন্ধুর তাহলে তো কথাই নেই। বেশ কয়েকদিন আগেই বন্ধুর বিয়ের দাওয়াত করেছিল আর দেখতে দেখতে সময়টা চলে এসেছে। যদিও আমাদের অনেক বন্ধুদের দাওয়াত করেছিল তার মধ্যে থেকে আমরা ১২ টি বন্ধু একত্রিত হতে পেরেছি। চেয়েছিলাম হয়তো আরো অনেক বন্ধু একত্রিত হব কিন্তু বিভিন্ন ব্যস্ততার জন্য অনেক বন্ধু আসতে পারেনি।
আর অনেকদিন পর আমরা অনেক বন্ধু একত্রিত হতে পেরে সত্যি অনেক আনন্দিত। যাইহোক আমরা সব বন্ধুরা আলোচনা করে ঠিক ১২ তারিখ বিকাল মুহূর্তে বন্ধুর বাসায় যেয়ে উপস্থিত হই। বাসা থেকে খুব বেশি দূরে নয় কিন্তু অনেক বন্ধু রয়েছে তারা অনেক দূরে থেকে এসেছে। আমরা যাওয়ার পর বন্ধুর গোসলের কাজ শুরু করে আর এত সময় অপেক্ষা করতে ছিল আমাদের জন্য। আর আমরা যেয়ে তার গোসলের কাজ সম্পন্ন করি।
এছাড়াও বন্ধুর ঘর সাজানোর দায়িত্ব আমাদের উপর দিয়েছিল। তাই আমাদের মধ্যে কিছু বন্ধুকে পাঠিয়ে দেই ঘর সাজানোর জিনিসপত্র আনার জন্য। তারা চলে যায় আর ঘর সাজানো জিনিস নিয়ে আসে পর আমরা ঘর সাজানোর কাজ শুরু করে দেই।
প্রতিটি মানুষের বিয়ে নিয়ে অনেক কল্পনা জল্পনা থাকে আর আমার বন্ধুর ও ছিল। সে আমাদের বলেছিল ঘরটা যেন ভালো ভাবে সাজাই। তাই আমরাও চেয়েছিলাম আমাদের বন্ধুর মনের মত ঘরটা সাজাতে। অবশেষে আমরা ঘরটা খুবই চমৎকার ভাবে সাজিয়ে ফেলি। ইতিমধ্যেই গাড়ি চলে এসেছে।
পরে আমরা সকলে একত্রিত হয়ে আমার বন্ধুসহ একটা গাড়িতে উঠে পড়ি। মেয়ের বাসা আমাদের বাসা থেকে বেশ কিছুটা দূরে যদিও একই জেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ। আর আমরা সেখানে যেয়ে প্রায় দশটার পরে পৌঁছায়। যদিও বিয়ে আগেই হয়েছিল এখন শুধু অনুষ্ঠান বাকি ছিল।
আমরা যেয়ে সর্বপ্রথম কন্যাকে দেখি দুর্ভাগ্য শত ছবি তুলতে পারিনি। যাই হোক কিছু সময় পরেই আমাদেরকে খাওয়ার জন্য প্রস্তুত করে দেয়। পরে আমার বন্ধুসহ খেতে বসি আর খাওয়া শেষ করার পর সেখানে কিছু সময় আলোচনা করা হয়। একটু পরেই মেয়ে বিদায় দিবে এর মধ্যেই কান্নার ঢোল পড়ে যায়। একটি মেয়ে বাবার বাসা থেকে যখন শ্বশুর বাসায় আসে ওই মুহূর্তের কষ্টটা শুধু একটা মেয়েই বুঝতে পারে। বেশ কিছু সময় কান্না ঢোল থাকে তারপর আমরা গাড়ি উঠে চলে আসি।
ইতিমধ্যেই বারোটা বেজে গেছে আর বাসায় আসার পর দেখি দরজা লক। বিয়ে বাড়িতে এরকম হয় যে বাসর ঘর সাজানোর পর সেই ঘরটা লক করে রাখা হয় আর বরের দুলাভাইরা টাকা দিয়ে সেই ঘর খুলে নেই আর এখানেও সেরকমই হয়েছে। পরে তার দুলাভাইরা দরজা খুলে আর আমরা বন্ধুকে নিয়ে ঘরে বসিয়ে দেয়।
তারপর আমরা আমাদের ভাবির সাথে অনেক মজা করি দুষ্টুমি করি। আলহামদুলিল্লাহ ভাবি অনেক ভালো খুবই সুন্দর ভাবে কথা বলে। পরে আমরা কিছু সময় মজা করার পর সেখান থেকে ঘুমানোর প্রস্তুতি নেই। কয়েকজন বন্ধুর বাসা কাছাকাছি যারা দূরে থেকে এসেছে তাদের কে নিয়ে আমাদের বাসায় আসি। আর কিছু বন্ধু অন্য বন্ধুর বাসায় চলে যায়। আর এভাবেই আমরা আনন্দের সাথে আমাদের বন্ধুর বিয়ে এটা সমাপ্তি করি।