গত কালকের দিনটি একটু আনন্দের সাথেই কাটিয়েছি, ঘুম থেকে উঠার পর ফ্রেশ হয়ে কিছু সময় রোদরে বসে ছিলাম। এই শীতের মধ্যে রোদ উপভোগ করতে অনেক ভালো লাগে। বেশ কিছু সময় রোদের মধ্যে থাকার পর প্রতিদিনের মতোই সকালের খাবার খেয়ে নেয়। তারপর বাসার কিছু কাজ ছিল সেগুলো করি। আর হ্যাঁ গতকাল ছিল শুক্রবার তাই সময়ের দিকে একটু নজর দিচ্ছিলাম, কারণ নামাজে যেতে হবে সঠিক সময়ে।
কিছু সময় বাসার কাজ করার পর রুমে চলে আসি আর শুয়ে থেকে কিছু সময় ফোন দেখতে থাকি। আর হ্যাঁ গতকালকে একটা দাওয়াত ছিল আমার চাচাতো বোনের শ্বশুরবাড়িতে। মূলত আমার চাচাতো বোনের দাদী শাশুড়ি মৃত্যুবরণ করেছিল আর সেই উপলক্ষে মানুষকে খাওয়াবে। আমাদের ধর্মে মানুষ মৃত্যুবরণ করলে, যারা মৃত ব্যক্তিকে মাটি দিবে তাদেরকে একটা নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়ানো হয়। যদিও এটা বাধ্যতামূলক নয় অনেকেই খাওয়ায় আবার অনেকেই নয়। আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় মানুষকে না খাইয়ে সেই টাকা যদি কোন মসজিদ বা এতিমখানায় দেওয়া হয় তাহলে অনেক বেশি ভালো হয়।
যাই হোক কিছু সময় পরেই আযানের ধ্বনি শুনতে পাই তাই দেরি না করে গোসল করে নেই। আর শুক্রবারে আজান ১২.৩০ মিনিট হয় তাই তাড়াতাড়ি গোসল করে রেডি হয়ে চলে যায় মসজিদে। আর মসজিদে যাওয়ার পর ইমাম সাহেবের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা শোনার পর নামাজ শেষ করে বাসায় চলে আসি। আর বাসায় আসার পর দাওয়াত খাওয়ার জন্য রেডি হয়ে নেই।
আমাদের বাসার সকলের এবং দাদুদের বাসার সকলের দাওয়াত ছিল কিন্তু শুধু আমরা ভাই ও আঙ্কেল গুলো যাব। পরে আমরা সকলেই রেডি হয়ে চলে যাই। বাসা থেকে বেশ কিছুটা দূরে, আমাদের যেতে প্রায় ২.৪০ পার হয়ে যায়। পরে আমরা যেয়ে কিছু সময় রুমে বসে থাকি এবং সকলের সাথে গল্প করি। তার একটু পরেই আমাদের খাবারের জন্য বসতে বলে।
পরে আমরা প্যান্ডেলে যেয়ে বসে পরি আর অনেক মানুষের আয়োজন করেছে। আর এত মানুষের আয়জনের জন্য তারা দুটা গরু ও তিনটা ছাগল জবাই করেছে। যাইহোক পরে আমরা বসে খাবার খাই আর খাওয়া শেষ করে কিছু সময় বসে থাকি। পরে চাচাতো বোনের সাথে কথা বলে আমরা আবার বাসায় আসার জন্য রওনা দেই।
আর বাসায় আস্তে আস্তে প্রায় চারটা বেজে যায়, আর বাসায় আসার পর কিছু সময় বসে থাকতেই একটু বাইরে বের হয়।। বাসা থেকে একটু দূরেই বন্ধুরা ও ছোট ভাইরা মিলে ভলিবল খেলতে ছিল,, পরে সেখানে যাই আর তাদের সাথে ভলিবল খেলি। আর সেখান থেকে বাসায় চলে আসি। বাসায় আসতে আসতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে যায় আর বাসায় আসার পর প্রতিদিনের মতোই পড়তে বসি।