- প্রিয় বন্ধুরা, সবাই কে আমার আজকের পোস্ট টি তে স্বাগতম।
আজ সকালে ঘুম থেকে উঠেছি, তখন সাড়ে পাঁচ টা বাজে,উঠে হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। এরপরে বাড়ির আশে পাশে দিয়ে কিছুটা সময় হাঁটাহাঁটি করছিলাম। হাঁটাহাঁটি করা শেষে শাশুড়ি আম্মার জন্য চা তৈরি করছিলাম এরপরে দুই জনে মিলে চা খেলাম বিস্কিট এবং কেক দিয়ে।
এরপরে সকালের নাস্তার জন্য শাশুড়ি আম্মা মুড়ি এবং কাঁঠাল দিয়েছিলো খেতে তবে, কাঁঠাল আমি খুব একটা পছন্দ করি না তাই খাইনি। আমি মেয়েকে নিয়ে কয়েক টা আম কেটে খেয়ে ছিলাম আমগুলো আমাদের গাছের ছিল এত বেশি মিষ্টি এবং ফরমালিন মুক্ত ছিলো।আম খেতে খেতে কিছুটা সময় গল্প করছিলাম। পাশের বাসার একটা কাকী আসছে তার সাথে।
এরপরে আমি, একটু কাজ করছিলাম আগামীকাল কে ঈদের ছুটি শেষ করে ঢাকায় যাব তাই ব্যাগ গুলো গুছিয়ে নিয়ে ছিলাম। ঠিক সেই সময় শাশুড়ি আম্মা দুইটা আমসত্ত্ব হাতে দিলো এবং এটা কি মুড়িয়ে নিলাম। আমসত্ত্ব খেতে আমি বেশ পছন্দ করি সেই সাথে আমার মেয়ে অনেক পছন্দ করে। তাই সাথে করে নিয়ে নিলাম।
প্রতিদিনের তুলনায় আজ আমার কাছে মনে হয়, আজ অনেক বেশি গরম পড়েছে বাহিরে প্রচন্ড রোদ বৃষ্টির মতো রুদ্র ঝরছে,এবার বাড়িতে এসে খাওয়া হয়নি, তাই আমার শ্বশুর তিনটা ডাব পেরে নিয়ে এসেছে। একটা আমার শশুর খেয়েছে একটা আমাকে কেটে দিলো।অনেক টা পানি হয়েছে পানি মগ খাওয়ার পরে মনে হলো দিল টা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে। আর ডাবের সাদা অংশ তো অসম্ভব ভালো লাগছে আমার কাছে।
এরপরে শাশুড়ি আম্মা কে রান্নার কাজে সাহায্য করেছি। তিনি দুপুরে রান্নাটা করে নিলে এবং রান্না করা শেষে। আমাকে এবং আমার মেয়েকে একটা তেলাপিয়া মাছ ভেজে দিয়েছিলো।সসের সাথে ভরিয়ে মাছটা খেতে অনেক স্বাদ হয়েছিল। মাছ খাওয়া শেষে, গোসল করে নিয়েছিলাম এরপরে জোহরের নামাজ আদায় করে নিয়েছি।
নামাজ শেষে সবাই মিলে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। আজ দুপুরে রান্না করা হয়েছিলো চিংড়ি মাছ
দিয়ে শাপলা রান্না, কাঁঠালের বিচি ভর্তা, সেই সাথে শিং মাছের ঝোল।দুপুরে খাবার খাওয়া শেষে কিছুটা সময় বিশ্রাম নিয়ে ছিলাম। কারণ প্রতিদিনের অভ্যাস দুপুরে খাবার খাওয়া শেষে একটু বিছানায় না শুলে আর ভালো লাগে না ।
বিকাল বেলা আছর নামাজ আদায় করে, পুকুর পাড় একটা দোলনা আছে ওখানে গিয়ে কিছুটা সময় কাটিয়ে ছিলাম পুকুর পাড়া আসলে দোলনাতে ওঠা হয়। ভীষণ ভালোও লাগে। এখন আর খুব একটা ওঠা হয় না কারণ,আমি গেলে আমার মেয়ে চলে আসে, এর পরে দুই জনে আবার ঝগড়া শুরু করে দেই।পরে দেখা যায় দুই জনের একজন উঠতে পারে না।
বেশ খানিক টা সময় কাটিয়েছে এখানে, আমার আম্মুর সাথে ফোনে কথা বলেছি দখিনা হাওয়া খেতে খেতে। কথা বলা শেষ হওয়ার পরে শাশুড়ি আম্মা ডাক দিলোএবং বাসায় এসে দেখি। আমার শ্বশুর বাজার থেকে এসেছে সাথে কিছু খাবার নিয়ে।
খাবার গুলো হলো হালখাতার দাওয়াত ছিলো,যদিও আমার শ্বশুরের কাছে দোকানদার কোন টাকা পাবে না। তবে আমার শ্বশুরের সাথে দোকানদারের অনেক ভালো সম্পর্ক তাই তাকে দাওয়াত করেছিল।বলা যায় আমার শশুরের ছোট বেলার বন্ধু।
বাড়িতে আমাদের জন্য পাঠিয়ে দিয়েছে রসগোল্লা, নিমকি, পুরি, সাথে কিছু নাড়ু ছিলো নাড়ুগুলো ভীষণ মজাদার ছিলো,এরপরে সবাই মিলে সন্ধ্যার হিসাবে এই সব খেয়ে নিলাম। এর মাঝে মাগরিবের আযান হলো মাগরিবের নামাজ আদায় করে মেয়ে কে পড়তে বসিয়ে ছিলাম।
তবে পড়ানো আর হয়নি কারণ, এর মাঝেই খবর এসেছে আমার চাচা শ্বশুরের বাড়ি চুরি হয়েছে তাও আবার দিনের বেলা। কি করে সম্ভব, খবর নিয়ে জানতে পারলাম আমার কাকী শাশুড়ি বাসায় ছিলেন না। বাড়ি ফাকা দেখে কেচি গেট ভেঙ্গে রুমে ঢুকে ফোন সহ অনেক টাকা পয়সা নিয়ে গিয়েছে। সাথে আলমারির যত জামা কাপড় ছিলো এলোমেলো করে রেখে গিয়েছে।
এই খবর শুনে আমার শ্বশুর সাথে সাথে বেরিয়ে গেলেন তাদের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে। আমি এবং আমার শাশুড়ি আম্মা যায়নি কারণ তখন রাত হয়ে গিয়েছে তাই।খুবই খারাপ একটা অবস্থা এটা শোনার পরে একদম মন খারাপ হয়ে গিয়েছিলো।এরপরে তেমন কিছুই আর করা হয়নি শশুর আসার পরে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম।
- সবাই ভালো থাকবেন এবং সাবধানে থাকবেন। আজ এখানে বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
আপনার একটা দিনের কার্যক্রম দেখে ভালো লাগলো আপনি প্রতিনিয়ত কাজ করে যান ইনশাল্লাহ অবশ্যই ভালো কিছু করতে পারবেন। যদি প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে কোন কিছু জানতে চান তাহলে এই কমিউনিটির মধ্যে যুক্ত হতে পারেন।
https://discord.gg/VjzcU74k
Thank you