আজকের দিনের কিছু অংশ,,,

in blurt-188398 •  last month 

আজ সকালের নাস্তা

সকালবেলা এত পরিমাণে কুয়াশা পড়ে, ঘুম থেকে উঠে নামাজ পরে আর কম্বল ছেড়ে উঠতে মন চায় না। নাস্তা বানানো তো দূরের কথা, আমার শশুর আবার ভালো আছে, সকালে এক কাপ চা আর বাজারে গিয়ে হালকা কিছু খেয়ে সকালের নাস্তা করে নেয়। মাঝে মধ্যে আমাদের জন্য নিয়ে আসে। রুটি আর ডাল কিনে এনেছিলো মেয়ে এবং শাশুড়ি আম্মা খেয়ে নিয়েছে। আর আমি এক কাপ চায়ের সাথে দুই পিস বিস্কুট এবং মোয়া দিয়ে সকালের নাস্তা করলাম। হালকা রোদে বসে বেশ ভালই লাগছিলো।

মেয়েকে নিয়ে গায়ে রোদ লাগানোর সময়

আমার মেয়ে খুব একটা শীতের জামা পড়তে চায় না, অনেক জোরা জোরি করে তারপরে পড়াতে হয়। আর যখনি দেখে একটু রোদ উঠেছে তখনই তো একদম খোলার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে, তাই নাজিফা শীতের জামা খুলে রোদে নিয়ে কিছুটা সময় বসে ছিলাম। আর তখন এই ছবি টি তুলি, রোদে বসলে আর উঠতেই মন চায় না। তবুও উঠে গেলাম কারণ এখন কাজে লেগে পড়তে হবে।

জমিতে অন্যের হাঁস এসেছে কিনা এটা দেখতে গিয়ে তোলা ছবি

শাশুড়ি আম্মাকে দুপুরে রান্নার জন্য সবকিছু মোটামুটি গুছিয়ে দিয়েছি, কারণ কিছুদিন ধরে কাজের খালাম্মা আসতেছে না কারণ উনি বেড়াতে গিয়েছে। তাই মোটামুটি অনেক কাজেই এখন করতে হয় আমাকে। হঠাৎ করে একটা লোক এসে বলল আমাদের জমিতে নাকি হাস নেমেছে, শাশুড়ি আম্মা তখন বলল তুমি তাড়াতাড়ি গিয়ে দেখে আসো জমির কি অবস্থা।ঘর থেকে বের হয়ে যেতে ছিলাম, আবার ঘরে চলে গেলাম কারণ ফোনটা নিয়ে আসেনি। তাই ফোন নিয়ে সোজা চলে গেলাম আমাদের পুকুর পাড় দিয়ে জমির কাজ পর্যন্ত, এবং গিয়ে দেখে একটাও হাঁস নেই, যা আছে তা অনেক দূরে, হয় তো বা এখান থেকে চলে গিয়েছে।

এই সময়টা তে একটু এক সপ্তাহের মত খেয়াল রাখতে হয় কারণ হাঁস এসে, ধান গাছের চারা গুলো উঠিয়ে দেয় এবং নষ্ট করে ফেলে। এখানে বেশ কয়েক মিনিট থাকলাম এরপরে বাসায় চলে আসি।বাসায় এসে আমি ও মেয়ে চলে গেলাম গোসল করতে। গোসল থেকে বের হয়ে দেখি। সাহেব আমার হাজির, হুট করে বলা নেই ছুটিতে চলে এসেছে। গতকাল রাতে ফোনে কথা বলার সময়, কিছুটা আন্দাজ করতে পেরে ছিলাম, তবে বুঝতে পারিনি এভাবে বাড়িতে চলে আসবে। যাইহোক, এরপরে দ্রুত দুপুরের খাবার রেডি করি।

দুপুরের খাবার খাওয়ার সময়

ভাত রান্নার সাথে দুপুরে অল্প করে রুটি পিঠা তৈরি করা হয়েছে, কারণ গতকাল কে কিছু মুরগির মাংসের তরকারি ছিলো ফ্রিজে, ও টা কে গরম করে নেয়া হয়েছে রুটি দিয়ে খাওয়ার জন্য। তাই সবাইকে দিলাম নিজেও নিয়ে বসলাম। যদিও পিঠা বানাতে খুব সময় সাপেক্ষ একটা ব্যাপার, কিন্তুু আমার খেতে বেশি সময় লাগে না। দুপুরে খাওয়া শেষে কিছুটা সময় বিশ্রাম করি কারণ, হঠাৎ করে বাম হাতটা প্রচন্ড ব্যথা করছিলো।

বিকালের নাস্তা তৈরি করার সময়

ভাবছিলাম বিকালে কি নাস্তা তৈরি করা যায় ঝটপট, তাই মনে পড়লো বাজার থেকে কিনে আনা চুসনি পিঠার কথা, তাই ফ্রিজ থেকে দুধ,ও নারিকেল বের করে রাইস কুকারে বসিয়ে দিয়েছি রান্না করার জন্য, এবং ঘড়ি ধরা ১৩ মিনিটের মধ্যে হয়ে গিয়েছে, তাই গরম গরম সবাই মিলে বিকেলের নাস্তা করলাম এই দিয়ে।

আমার মেয়ে যখন টেবিল গোছাতে ছিল

সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ পড়ে মেয়েকে পড়তে বসিয়েছি, এর আগেই মেয়ে সব বই খাতায় এলোমেলো করে রেখেছে। বললাম টেবিল টা একটু সুন্দর মত গোছানো শিখো আমার মত করে, বললো আমিও খুব সুন্দর বুঝাতে পারি বললাম তাহলে করো, আর বাকি টা তো দেখতেই পাচ্ছেন সবগুলো এনে একটার উপরে রেখে দিয়েছে। তবুও বকা দেইনি ব্যাপার টা বেশ ভালো লেগেছে। কারণ, আস্তে আস্তে এভাবেই করতে করতে একদিন ভালো ভাবে শিখবে।

এরপরে, মেয়ে কে পড়ানো শেষে, সবাই রাতের খাবার খেয়ে নিলাম। খাওয়া শেষে দাঁত ব্রাশ করে এসে, ফোন টা হাতে নিয়ে আপনাদের জন্য পোস্ট লিখতে বসে পড়েছি। তো এই ছিল আমার আজকের পোস্ট আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে, ধন্যবাদ সবাইকে।
2gsjgna1uruv8X2R8t7XDv5HGXyHWCCu4rKmbB5pmEzjYSj1ATxRsaEvyH89EyziiK3D1ksn1tTDvDwLCveqrhctVcDnDqtNbsqFMtuqD1RetzrgjG.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE BLURT!
Sort Order:  
  ·  last month  ·  

আসলে ছোট বাচ্চারা এমনই শীতের পোশাক পড়তে চায় না তারপরও বাবা-মার জোর করে পোড়াতে পারে।। ধান ক্ষেতে হাস গেলে ধানের অনেক ক্ষতি হয় তাই খেয়াল রাখা দরকার।।