হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা! আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি।
আমি আমার নতুন আরেকটি দিনের কার্যক্রম নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি, তো চলুন শুরু করা যাক-
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে হালকা নাস্তা করা আমার পছন্দ। হালকা নাস্তা হিসেবে চা, বিস্কিট, একটা দেশি মুরগির ডিম ও এক গ্লাস দুধ হলেই যথেষ্ট আলহামদুলিল্লাহ। যখন বাড়িতে থাকি তখন এমন নাস্তা করা সম্ভব হয়। কিন্তু মাদ্রাসায় আসলে এরকম নাস্তা করা সম্ভব হয় না, কারণ মাদ্রাসার পরিবেশটা অন্যরকম। সেদিন সকাল বেলা খাবার খেতে ইচ্ছে করছিল না তাই বাহিরে গিয়েছিলাম হালকা নাস্তা করার জন্য। প্রথমে রুটি খেয়ে নিলাম এরপরে একটি গরম গরম দুধ চা খেয়ে মাদ্রাসায় চলে আসলাম। এক কাপ দুধ চায়ের মুল্য ১০ টাকা।
এরপরে দুপুরের আগ পর্যন্ত ক্লাসে উপস্থিত ছিলাম, জোহরের নামাজ জামাতের সাথে আদায় করে দুপুরে খাবার খেয়ে নিলাম। আসর পর্যন্ত ক্লাস হওয়ার পরে গোসল করে নিলাম। ইদানিং গোসল করতে একটু বিলম্ব হচ্ছে। কারণ দিন একদম ছোট, সবকিছু মেইনটেইন করতে সময় লাগে। আসরের নামাজের আগে গোসল করে আসরের নামাজ পড়ে বাহিরে ঘুরতে গিয়েছিলাম। আমরা তিন বন্ধু মিলে যাত্রাবাড়ী আবাসিক এলাকায় ঘুরতে গিয়েছিলাম। যাত্রাবাড়ী আবাসিক এলাকায় সচারাচার সবাইকে সব সময় ঢুকতে দেওয়া হয় না।
কারণ সেটি একটি সংরক্ষিত এলাকা, সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ করার পথ গুলোতে আনসার বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে। সেখানে যদি কেউ ঢুকতে চায় তাহলে জিজ্ঞাসাবাদ করে, কিন্তু আমরা অন্য গেট দিয়ে প্রবেশ করেছিলাম। যেখানে গেটম্যান থাকা সত্ত্বেও আমাদেরকে কিছু বলেনি, এমনিতেই অনেক সময় জিজ্ঞেস করে তোমরা এখানে কি করবে? এই সেই! আমরা যদি বলি একটু হাঁটাহাঁটি করে চলে আসবো, তখন আর বেশি কিছু বলে না। আমরা তিনজন ভিতরে গিয়ে কিছু সময় হাটাহাটি করলাম।
আবাসিক এলাকার ভেতরের দৃশ্যটা খুবই সুন্দর। বিশেষ করে দুপাশ দিয়ে পুকুর রয়েছে, দুই পুকুরের মাঝখান দিয়ে রাস্তা রয়েছে। এটি সবচেয়ে বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করে। আমরা সেখানে মাঝে মাঝেই ঘুরতে যাই কিন্তু সেদিনের আনন্দটা অনেক বেশি হয়েছে। ভিতরে বিশাল একটি খেলার মাঠ রয়েছে, সেখানে ছোট বড় সহ অনেক ছাত্ররা খেলাধুলা করছে। কেউ একপাশে মিনি বাড়ে ফুটবল খেলছে, আবার কেউ অন্য পাশে ক্রিকেট খেলছে, আবার মাঝখানে দেখলাম বড়রা ক্রিকেট খেলার জন্য ক্রিস বানাচ্ছে। সবাই যার যার মত টিম নিয়ে খেলাধুলা করতেছে। আমরা মাগরিবের নামাজের আগেই সেখান থেকে চলে আসলাম।
মাদ্রাসায় ঢুকার আগে বন্ধুরা বলছিল চলো আজকে জিলাপি খাব। সত্যি বলতে আমি আগে জেলাপি মোটেও পছন্দ করতাম না কিন্তু এখানকার জিলাপি গুলো একটু ভিন্নরকম, এখানকার জিলাপি গুলো চিকন করে বানানো হয়। গরম মচমচে জিলাপি খেতে বেশ মজা। আমরা ৩০ টাকার জিলাপি কিনেছিলাম, আমাদেরকে একটা ছোট প্লেটে দিয়েছিল। জেলাপি খেয়ে হালকা নাস্তা হয়ে গেল। তাই আর অন্য কোন নাস্তা করার প্রয়োজন হলো না। সেখান থেকে মাদ্রাসার ভিতরে চলে আসলাম এবং যথা নিয়মে ক্লাস খাওয়া-দাওয়া অতঃপর প্লাটফর্মে সময় দেওয়া এবং ঘুমিয়ে যাওয়া কাজ গুলো সম্পন্ন করলাম।
আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি সকলেই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ। |
---|
Device | Name |
---|---|
Android | Realme 12 Pro |
Camera | 50MP 32MP 8MP |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @abdulmomin |
It feels great to walk around the Jatrabari residential area.
Assalamu Alaikum.
Hello dear friends! How are you all? I hope you are doing well by the grace of Allah, I am also doing well by the grace of Allah.
🌸 Diary Game 🌼
I have come to you with my new daily activities, so let's start-
I like to wake up in the morning and have a light breakfast. As a light breakfast, tea, biscuits, a local chicken egg and a glass of milk are enough, Alhamdulillah. When I am at home, it is possible to have such a breakfast. But it is not possible to have such a breakfast in the madrasa, because the environment of the madrasa is different. That morning, I did not feel like eating food, so I went out for a light breakfast. First, I ate bread, then I had a hot milk tea and came back to the madrasa. The price of a cup of milk tea is 10 taka.
Then I was present in class until noon, offered Zuhr prayers with the congregation and had lunch. After classes until Asr, I took a bath. Lately, I have been delaying taking a bath. Because the day is very short, it takes time to maintain everything. I took a bath before Asr prayers and went outside to walk around. We three friends went to the Jatrabari residential area. In the Jatrabari residential area, everyone is not allowed to enter at all times.
Because it is a protected area, the Ansar force is on duty at the entrances to the protected area. If anyone wants to enter there, they interrogate, but we entered through another gate. Despite the presence of a gateman, he did not tell us anything, he asked many times what are you doing here? That's it! If we said we would walk a little, he did not say much. The three of us went inside and walked around for some time.
The view inside the residential area is very beautiful. Especially there are ponds on both sides, there is a road between the two ponds. This attracts the most attention. We go there occasionally but the joy of that day was much greater. There is a huge playground inside, many students, young and old, are playing there. Some are playing mini football on one side, some are playing cricket on the other side, and in the middle I saw adults making cricket tracks. Everyone is playing with their own teams. We left there before Maghrib prayers.
I like playing football and cricket very much, let's see if I can play. I used to like it more before but I didn't pay much attention to it because I hadn't watched the game for a long time. Earlier I used to go out with a bat and ball to the school field after Asr prayers and used to play with my friends all the time in the playground. In fact, if you don't focus on anything continuously, it is normal that there is a gap in between, which causes aversion to that game or that activity. I used to get busy playing after Hashar and not only cricket but also football. We used to play cricket during the cricket season and football during the football season. It is true that I never missed a game.
I was very interested in playing sports but since I moved to Dhaka, I don't get a chance to play after Asr because of which I can't play the whole year. I only play a little bit at home. Moreover, I couldn't play the whole year in Madrasa. The next year when I got admitted to Madrasa in Dhaka, I still didn't get a chance to play. I am still in Madrasa in Dhaka so I don't get a chance to play anymore. However, our friends go to play in big fields once a week but I don't want to go anymore so I don't go to play anymore. If I get a chance to play after going home, I play a little bit otherwise I don't play anymore.
Before entering Madrasa, my friends were saying, let's eat jilapi today. To be honest, I didn't like jilapi at all before but the jilapi here is a little different, the jilapi here is made thin. It's quite fun to eat jilapi hot and crunchy. We bought jilapi for 30 taka, they gave us a small plate. After eating jilapi, it was a light breakfast. So there was no need to have any other breakfast. From there, we went inside the madrasa and completed the tasks of eating and drinking in class as per the rules, then spending time on the platform and going to sleep.
I am saying goodbye here like today, everyone will be fine and healthy, Allah Hafez.
আলহামদুলিল্লাহ ভালো এই জায়গাটা অনেক চমৎকার এবং আমারও অনেক ভালো লাগে এবং আমি মাঝে মাঝে এই জায়গাতে ঘুরতে যাই বিশেষ করে বিকেল বেলা ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
হ্যাঁ তোমার সাথে সেখানে অনেক দিনই ঘুরতে যাওয়া হয়েছে। মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।