হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা! আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি।
আমি নতুন আরেকটি দিন নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি, আল্লাহ তাআলা আমাদের নতুন আরেকটি দিন উপহার দিয়েছেন। দিনটি ছিল শুক্রবার জুমার দিন শুক্রবার মানেই ছুটির দিন। আমাদের শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার নিয়ম তান্ত্রিক ভাবে ক্লাস চলে কিন্তু শুক্রবারে কোন ক্লাস নেই শুক্রবার হচ্ছে আমাদের ছুটির দিন। ছুটির দিন সবাই বিশেষ কোনো জায়গায় ভ্রমণ করার পরিকল্পনা করে থাকে। এ সপ্তাহে আমার ভ্রমণ করার কোন পরিকল্পনা ছিল না কেননা আমি বৃহস্পতিবারে গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকায় এসেছি। বৃহস্পতিবারে ঢাকায় আসার কারণ হচ্ছে শুক্রবারে আল ইকরা ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে বিশাল আন্তর্জাতিক ক্বেরাত সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল।
তাই সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ আদায় করে আবার ঘুমিয়ে পড়লাম, যেহেতু শুক্রবারে সকালে ক্লাস নেই। ঘুম থেকে উঠতে উঠতে প্রায়ই 9:30 মিনিট বেজে গিয়েছিল। এরপরে সকালের নাস্তা করার জন্য বাহিরে গিয়েছিলাম কেননা বাসা থেকে আসার পরে মাদ্রাসার খাবার এখনো জারি করি নাই। তাই সকাল বেলা হোটেলে গিয়েছিলাম নাস্তা করার জন্য। আমার সকালের নাস্তায় ছিল দুটি তন্দুর রুটি সাথে ছিল ডাল সবজি। দুঃখের বিষয় হল ডাল শেষ হয়ে গিয়েছিল তাই শুধু সবজি দিয়েছে। কি করার যেহেতু ডাল শেষ সেহেতু শুধু সবজি দিয়েই রুটি খেতে হবে।
রুটি দেওয়ার সময় আমি বলে দিয়েছিলাম রুটি আমাকে কড়া করে ভাজি করে দিতে হবে, এরপরে ওনারা কড়া করে দুটি রুটি ভাজি করে দিল। নাস্তা সেরে মাদ্রাসায় চলে আসলাম। আমার অনেক বন্ধুরা জুমার নামাজের আগেই বাইতুল মোকাররমে চলে গিয়েছে তারা সেখানে জুমার নামাজ আদায় করে অনুষ্ঠানে যুক্ত হবে। আমি তাদের সাথে মেসেঞ্জারে কথা বললাম তারা বলল অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গিয়েছে। আমি বললাম আমি জুমার নামাজ পড়ে দুপুরের খাবার খেয়ে তারপরে অনুষ্ঠানে যাব। যেমন কথা তেমন এই কাজ, জুমার নামাজ আদায় করে দুপুরের খাওয়া শেষ করলাম এরপর ৩ঃ৩০ মিনিটে বাইতুল মোকাররম মসজিদের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।
যাত্রাবাড়ী থেকে বাসে উঠে গুলিস্তান নেমেছিলাম গুলিস্তান নামার পরে একটি ফটো উঠিয়েছিলাম। গুলিস্তান যাওয়ার পরে আমার এক বন্ধু ফোন করে বলল তুমি কোথায় আছো? আমি বললাম আমি গুলিস্তান আছি, ও বলল আমি তো তোমার আগেই বাইতুল মোকাররমে এসে পড়েছি। আমি বললাম তাহলে তুমি গেইটে দাড়াও আমি আসতেছি। এরপর আমি বাইতুল মোকাররম মসজিদের চত্বরে দাঁড়ালাম, সেখানে অনেক মানুষ ছিল, তারা সবাই আসরের নামাজ আদায় করছে এবং অনেকেই সেখানে বসে গল্পস্বল্প করছে। অনেকেই অনেক দূর দূরান্ত থেকে অনুষ্ঠানে এসেছে, অনেকদিন পর দেখা হওয়ার কারণে অনেকেই অনেকের সাথে পরিচিত হচ্ছে।
আমি বাইতুল মোকাররমে যাওয়ার পরে কয়েকটি ফটো সংগ্রহ করি, এরপরে আমার বন্ধুর সাথে দেখা করে অনুষ্ঠানের মধ্যে উপস্থিত হই, যদিও অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে দুপুর থেকে কিন্তু মূল ও সর্বশেষ কার্যক্রম শুরু হয়েছে মাগরিবের নামাজের পর থেকে। আপনারা আন্তর্জাতিক অনেক কারীদের কুরআনুল কারীমের তেলাওয়াত শুনেছেন বিশেষ করে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক কারী শায়খ আহমদ বিন ইউসুফ আল আযহারী হাফিজাহুল্লাহ, শায়েখ হাম্মাদ আনোয়ার নিফিসী হাফিজাহুল্লাহ পাকিস্তান, এছাড়াও ইরান, মিশর, তুরস্ক সহ আরো অনেক দেশ থেকে আন্তর্জাতিক কারীগণ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
আমরা একে একে প্রত্যেক জনের তেলাওয়াত শুনেছি এবং অন্তরের শান্তি অনুভব করেছি। তেলাওয়াত যতই শুনি ততই শুনতে মনে চায়, শুনতে শুনতে প্রায় রাত ১০ টা পর্যন্ত শুনেছি এরপরে আখেরি মোনাজাত হয়েছে তারপরে আমরা সেখান থেকে মাদ্রাসায় চলে আসি। মাদ্রাসায় আসার সময় আমরা বাস খুঁজছিলাম কিন্তু পাচ্ছিলাম না, কেননা রাত তখন সাড়ে দশটা পার হয়েছে, বাস তো অনেক আছে কিন্তু যাত্রাবাড়ির কোন যাত্রীকে উঠাচ্ছিল না, ডাইরেক্ট চিটাগাং রোডের যাত্রীদের উঠাচ্ছিল। তাই আমরা অনেকক্ষণ চেষ্টা করার পরে একটি বাস পেলাম। আমরা ফ্লাইওভার দিয়ে ৭ থেকে ৮ মিনিটের মধ্যে যাত্রাবাড়ী এসে নেমে পরি।
নামার পরে আমরা রাতের খাবারের চিন্তাভাবনা করলাম। যেহেতু তখন রাত্রে মাদ্রাসার খাবার আর পাওয়া যাবে না তাই আমাদের বাহির থেকেই খেয়ে আসতে হবে। তাই আমরা একটি রেস্টুরেন্ট খুঁজে নিলাম এবং চারজন মিলে খাবার খেতে বসলাম। আমাদের খাবার ছিল ডিম খিচুড়ি, ওই দোকানে ডিম খিচুড়ি অনেক সুস্বাদু হয় দামও তুলনামূলক কম আছে তাই সেখান থেকেই আমরা রাতের খাবার খাই।
তো বন্ধুরা আজকে এখানেই বিদায় নিচ্ছি দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে। |
---|
Device | Name |
---|---|
Android | Realme 12 Pro |
Camera | 50MP 32MP 8MP |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @abdulmomin |
Assalamu Alaikum.
Hello dear friends! How are you all? I hope you are very well by the grace of Allah and I am also very well by the grace of Allah, Alhamdulillah.
I have come to you with another new day, Allah has gifted us another new day. The day was Friday, Friday means a holiday. Our classes are held regularly from Saturday to Thursday but there are no classes on Friday. Friday is our holiday. Everyone plans to travel to a special place on holidays. I had no plans to travel this week because I came to Dhaka from my village on Thursday. The reason for coming to Dhaka on Thursday is that a huge international Qiraat conference was organized by Al Iqra Foundation on Friday.
So I woke up early in the morning, offered Fajr prayers and fell asleep again, since there are no classes on Friday morning. It was often 9:30 by the time I woke up. Then I went out to have breakfast because I had not yet ordered the madrasa food after coming from home. So I went to the hotel in the morning for breakfast. My breakfast consisted of two tandoor rotis with dal and vegetables. Sadly, the dal was finished, so they only gave me vegetables. What to do, since the dal was finished, I had to eat the roti with only vegetables.
While giving the roti, I told them to fry the roti until it was hard, then they fried the two rotis until it was hard. After breakfast, I went to the madrasa. Many of my friends had gone to Baitul Mukarram before Friday prayers. They would offer Friday prayers there and join the program. I spoke to them on Messenger and they said that the program had started. I said that I would offer Friday prayers and eat lunch and then go to the program. As it was, this is what I did, I offered Friday prayers and finished eating lunch, then left for Baitul Mukarram Mosque at 3:30.
I took a bus from Jatrabari and got down at Gulistan. After getting down at Gulistan, I took a photo. After going to Gulistan, a friend of mine called and asked where are you? I said I am in Gulistan, he said I have reached Baitul Mukarram before you. I said then you stand at the gate, I am coming. Then I stood in the courtyard of Baitul Mukarram Mosque, there were many people there, they were all offering Asr prayers and many were sitting there telling stories. Many had come to the event from far and wide, many were getting to know each other because they were meeting after a long time.
After going to Baitul Mukarram, I collected a few photos, then met my friend and attended the event, although the event started at noon but the main and final activities started after Maghrib prayers. You have heard the recitation of the Holy Quran by many international reciters, especially the international reciter of Bangladesh, Sheikh Ahmed bin Yusuf Al Azhari Hafizahullah, Sheikh Hammad Anwar Nifisi Hafizahullah from Pakistan, as well as international reciters from Iran, Egypt, Turkey and many other countries.
We have heard the recitation of each one one by one and felt peace in our hearts. The more we listen to the recitation, the more we want to listen, we listened until almost 10 pm, after which the final prayer was performed, then we went to the madrasa from there. When we reached the madrasa, we were looking for a bus but we could not find it, because it was past 10:30 pm, there are many buses but they were not picking up any passengers from Jatrabari, they were picking up passengers from the direct Chittagong Road. So after trying for a long time, we found a bus. We reached Jatrabari in 7 to 8 minutes through the flyover and got off.
After getting off, we thought about dinner. Since the madrasa food was no longer available at night, we had to eat from outside. So we found a restaurant and the four of us sat down to eat. Our food was egg khichuri, the egg khichuri at that shop is very tasty and the price is relatively low, so we eat dinner from there. So friends, I am saying goodbye here today, see you in the next post.
X promotion
https://x.com/Monarul265535/status/1871566179585929615?t=HhUahELII3gVX13fGuLS-g&s=19
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
Enhorabuena, su "post" ha sido "up-voted" por @dsc-r2cornell, que es la "cuenta curating" de la Comunidad de la Discordia de @R2cornell.