![]() |
---|
প্রথমে সৃষ্টিকর্তার প্রতি শুকরিয়া আদায় করি যে সুস্থ অবস্থায় আবার একটি রমজান পাওয়ার জন্য।। একটি বছর পর পর আসে মাহে রমজান।। আর এই রমজান মাস নিয়ে প্রতিটি মুসলমানের অনেক কল্পনা জল্পনা থাকে।। কারণ আমাদের এই একটি মাস হাজার বছরের চাইতে উত্তম,, যে মাসে একজন বান্দা তার জীবনের গুনা চাইলে মাফ করাতে পারে।। আর একজন বান্দা এই রমজান মাস পেয়েও তার গুনাহ মাফ করাতে না পারলে তার মত হতভাগা আর নেই।।
![]() |
---|
রমজান মাস এসেছে প্রতিটি মুসলমানের মধ্যে আনন্দ শুরু হয়ে গেছে কারণ এই মাস এমন একটি মাস যে মাসে এবাদত শ্রেষ্ঠ মাসের চাইতে উত্তম।। সৃষ্টিকর্তা বলেছে তোমরা রমজান মাস পেয়েও যদি অবহেলা করো তাহলে তোমার মত কপাল পোড়া আর নেই।। এই একটি মাস মুসলমানের জন্য সবচাইতে উত্তম মাস।। আর এই মাসে একজন মানুষ যত বেশি নফল এবাদত করবে তত বেশি সে সোয়াপ পাবে।।
আমাদের মাঝখান থেকে এই একটি বছরের মধ্যে কত আপনজন চির বিদায় নিয়ে চলে গেছে।। পরবর্তী রমজান আস্তে আস্তে আরো কত আপন মানুষ চলে যাবে সেটা আমরা কেউ জানিনা।। আর আমিও পরবর্তী রমজান পাব কিনা সেটা জানিনা।। তাই রমজান মাস পেয়ে যদি অবহেলা করি এর মত হতভাগা আর হয় না।। প্রতিটি মুসলমানের উচিত এই রমজান মাসকে কাজে লাগানো এবং সঠিকভাবে আমল করা।।
![]() |
---|
এই রমজান মাসে হাজারো মানুষের হেদায়েত ফিরে আসে।। আমি এমন মানুষ দেখেছি যারা কিনা কখনো নামাজ পড়ে না কিন্তু রমজান মাসে আসার পর তারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের শহীদ আদায় করে এবং রমজান পার হয়ে যাওয়ার পরও তার মধ্যে সেটা রয়ে যায়।। আমি নিজেও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি না শুধু রমজান মাস আসলে নামাজ আদায় করে থাকি।।
তাই সৃষ্টিকর্তার কাছে এই প্রার্থনা করি আমাকে যেন হেদায়েত দেয় এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার জন্য তৌফিক দান করে।। সৃষ্টিকর্তা বলেছে তোমরা মন থেকে আমার কাছে কোন কিছু চাইলে সেটা আমি কখনোই ফিরিয়ে দেই না,, তাই তোমরা মন থেকে আমার কাছে চাও।।
এই পবিত্র মাহে রমজান মাসে মানুষকে খাওয়ানোর ফজিলত অনেক বেশি।। কোন মানুষ কাউকে ইফতার করালে সৃষ্টিকর্তা স্বয়ং তাকে তার প্রতিদান দেয়।। তাই এই রমজান মাসে গরিব মানুষদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।। সেই সাথে তাদের ইফতার খাওয়ানো দরকার কারণ এর মতো শ্রেষ্ঠ এবাদত আর হয় না।।
সৃষ্টিকর্তার কাছে নিয়ত করেছি এই রমজান মাস থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ শুরু করব।। আমরা জীবনে যাই কিছু করি না কেন নামাজ আমাদের পড়তেই হবে এটা প্রতিটি মুসলমানের উপর ফরজ।। এছাড়াও উল্লেখ আছে তুমি জীবনে যেটাই করো না কেন পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় কর। কারণ একজন মানুষ যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে পারে,, সেই ব্যক্তি কখনো খারাপ কাজ করতে পারে না।।