বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতিটি জায়গায় সরকারিভাবে ভোটের কার্যক্রম চলছে।। আর এই কার্যক্রমের দায়িত্ব গুলো প্রাইমারি শিক্ষকদের দেওয়া হয়েছে।। আর তারা প্রতিটি বাসায় যেয়ে নতুন ভোটারের তালিকা করছে এবং তাদের কাগজ পাতি জমা নিচ্ছে। আর বলে দেওয়া হচ্ছে একটা নির্দিষ্ট দিনের কথা সেদিন প্রতিটি ইউনিয়নে ভোটারের ছবি উঠানো হবে।।
![]() |
---|
যদিও সারা বছর ভোটারের কার্যক্রম চলে কিন্তু সরকারিভাবে যখন ভোটারের লিস্ট করা হয় তখন অনেক সহজ হয়। অল্প কিছু কাগজের দাড়ায় সেই কাজ কমপ্লিট করা যায়।। আর যদি নির্বাচন অফিসে যেয়ে কেউ ভোটার হতে চায় তাহলে তাকে অনেক ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয় কারণ সেখানে অনেক বেশি কাগজ লাগে আর একটি কাগজের সমস্যা থাকলে আর ভোটার হওয়া যায় না।। কিছুদিন আগে বোনের ভোটারের জন্য আমি অনেক ভোগান্তির মধ্যে পড়েছিলাম।।
![]() |
---|
![]() |
---|
আর এইবার আমার ভাবির ভোটারের জন্য ভোগান্তির মধ্যে পড়েছি।। সরকারিভাবে ভোটার হওয়ার জন্য যে শিক্ষক গুলো দায়িত্ব আছে তাদেরকে ফরম দেয়া হয়েছে কিন্তু ইতিমধ্যেই ফর্ম শেষ।। পরে সিদ্ধান্ত নেয় অনলাইনে আবেদন করতে। পরে অনলাইনে আবেদন করে সেই ফর্ম শিক্ষকে দেই।। আর বাসায় এসে নিশ্চিত হয়ে বসে থাকি যে ভোটার হতে পারবে।।
![]() |
---|
![]() |
---|
গতকাল ছিল ছবি উঠানোর তারিখ, আর আমি আগে থেকেই ভাবিকে বলে রাখি সকাল ৯ঃ০০ টার আগে ইউনিয়নে আসতে। কারণ এত বেশি লোক হয় যে যারা দশটার পরে যায় তাদের ছবি উঠাতে উঠাতে সন্ধা পার হয়ে যায়। পরে ভাবি তার বাসা থেকে নয়টার আগে আছে আর আমিও বাসা থেকে যায়।। এমনি ভাবি অসুস্থ বাচ্চা হওয়ার খুব নিকটে চলে এসেছে তাই তাকে খুব বেশি দেরি করানো যাবে না।।
![]() |
---|
কিন্তু এদিকে আর একটা খবর চলে আসে,, যারা অনলাইনে আবেদন করেছে তাদের ছবি উঠানো হবে না।। কথাটা শুনে যেন মানতে পারছিলাম না, পরে ছবি না উঠানোর কারণ উন্মোচন করার চেষ্টা করলাম।। পরে শুনতে পারি অনলাইনে যারা আবেদন করেছে তাদের ছবি উঠানোর পর সেগুলো আবার অনলাইনে দিতে হয়।। কিন্তু সার্ভার সমস্যার জন্য সেই ছবিগুলো নিচ্ছে না এতে করে অনেক সমস্যা হচ্ছে।। পরে এই খবর পাওয়ার পর ভাবিকে বাসায় পাঠিয়ে দেই কারন সে অসুস্থ আর পরবর্তী 26 তারিখে আবার ও ছবি উঠানো হবে।।
ইতিমধ্যেই কিছু ছেলেপেলে অনেক বেশি উত্তেজিত হয়ে যায় কারণ তারা অনেকেই বাইরে থেকে এসেছে দুদিনের জন্য।। আর আসার পর যদি এমন খবর শুনে তাহলে কার না রাগ উঠবে।। পরে সেখান থেকে খবর দিল ১২:০০ মধ্যে সরকারি ফর্ম চলে আসবে।। তাই সবাই অপেক্ষা করতে থাকে আর একটু পরেই ফর্ম চলে আসে।
আর সবাই অনেক খুশি হয় কিন্তু সেই খুশি বেশিক্ষণ ছিল না কারণ যে পরিমাণ মানুষের ফ্রম প্রয়োজন সেই অনুযায়ী ফরম আসেনি।। তাই শিক্ষকরা এক সমস্যার মধ্যে পড়ে যায় আর পরে বলতে থাকে শুধুমাত্র যারা বাইরে থেকে এসেছে তাদেরকে ফরম দেওয়া হবে ।। আর আবারো ২৬ তারিখে ছবি উঠানো হবে যাদের এখন ছবি উঠানো হচ্ছে না তারা পরবর্তীতে ছবি উঠাবে।। পরে যেমন কথা তেমন কাজ যে মানুষগুলো দূরে থেকে এসেছে তাদেরকে ফরম দেওয়া হয়।।
আমার কিছু ভাই বাইরে থেকে এসেছে পরে আমি তাদের অনেক কষ্ট করে ফরম নিয়ে দেই।। আর কিছু সময় সেখানে থাকার পর বাসায় চলে আসি।।
X promotion
https://x.com/Sobus28733/status/1892184445052174430