প্রথমে আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করে আমি আমার আজকের পোস্ট লেখা শুরু করছি। সৃষ্টিকর্তা তার বান্দা কে সব সময় দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকেন। শুধু বান্দা তার কাছে চাওয়ার অপেক্ষা থাকে। মন থেকে কিছু চাইলে অবশ্যই পাওয়া যায়। জীবন থেকে অনেক কিছু হারিয়েছি তবে পেয়েছি তার থেকেও বেশি। খুব একটা আশা করি না শুধু এতটুকু এই চাওয়া আমার এই নতুন সংসার এবং আপনাদের সবাইকে নিয়ে যেন আমার আগামী পথটা চলতে পারি। যাই হোক, এবার মূল কথায় যাওয়া যাক।
গ্রাম থেকে শহরে এসে নতুন কোয়ার্টারে উঠেছি । যেদিকে তাকাই সে দিকে এই সবকিছুই প্রয়োজন। ছোটবেলা আমি আমার মাকে বলতাম বাবা টাকা দিলে ,শুধু সংসারের জন্য এটা কেন, ওটা কেন। কেন করো এত কিছু, কি দরকার আছে বলো। আর আজ আমি মায়ের সেই জায়গা টা বুঝতে পারছি।
একটা সংসারে যে কত কিছু প্রয়োজন সংসার না হলে মনে হয় বুঝতেই পারতাম না। এতদিনে ও বুঝেছি তবে ও টা ছিল অন্যরকম খুব একটা চাপ নিতে হয়নি তখন।।এতদিন আমি আমার শাশুড়ির কাছে ছিলাম কোন কোন সবজি টা ঘরে আছে। কোনটা ঘরে নেই, কি প্রয়োজন না প্রয়োজন সবকিছুই তিনি দেখতেন।
বাজার করা থেকে শুরু করে খাবারের লবণের বাটি টা ঠিক আছে নাকি। সবকিছুই তিনি নজর দারি করতেন। তার সাথে তো আমার শ্বশুর ছিলেন,আর আমিও সবকিছু হাতের কাছে এই পেয়েছি। এক কথায় গুছানো সংসার।
আর এখন এই নতুন সংসারে এসে আমার কাছে মনে হচ্ছে কোন টা এই ঠিক নেই, যদিও বাসা থেকে আসার সময় অনেক কিছুই নিয়ে এসেছি তবুও। তাই হাজবেন্ড নিয়ে গেলো বাহির টা ঘুরে দেখানো জন্য ও সেই সাথে কিছু কেনাকাটা করার জন্য। আমাদের বাসার পাশে একটা বিজিবি শপিংমল আছে। তাই তিনি সেখানে নিয়ে গেলেন।
এবং যাওয়ার সময় বেশ অনেক কিছু ঘুরে ঘুরে দেখিয়েছে এবং চিনিয়েছে আমাকে। সবকিছুই ঠিক আছে খুব সুন্দর পরিবেশ, দেখতে ভাল হাতের কাছে সবকিছু পাওয়া যায়। তবে একটা জায়গায় গিয়ে আমার কেন জানি মনে হলো, আমার শ্বশুরের ঐ বাড়ি টা আমার জন্য অনেক শান্তির একটা জায়গা।
কেননা তিনি অফিসে যাওয়ার পরে সারাক্ষণ বাসার মধ্যে একা একা, আর বাড়িতে থাকলে এক দৌড়ে চলে যেতাম পুকুর পাড়ে। কি সুন্দর বাতাস মনমুগ্ধকর পরিবেশ ছিলো, আর এখানে এসে পোল্টি মুরগির মতন অবস্থায় সারাক্ষণ বাসায় মধ্যে, আমি জানি না এখানে কতদিন থাকতে পারবো তবে মন বলছে খুব একটা দিন স্থায়ী হবে না আমার।
যাইহোক, এরপরে কেনাকাটা শুরু করি, প্রথমে কিছু হাড়ি পাতিলের দিকে চলে যায়। দুই টা পাতিল সহ একটা লোহার কড়াই কিনেছিলাম। সেই সাথে কিছু চামচ ও ছিলো।এখানে থেকে কেনাকাটা শেষ করে একটা রাইস কুকার কিনে নিলাম। এখানে নাকি গ্যাস যাওয়ার একটা সমস্যা থাকে তবে, আমাদের ফ্লাটে নাকি একটু কম যায় তবুও যেহেতু বাচ্চা আছে তাই রাইস কুকার টা আমাকে বিপদের সময় সাহায্য করবে।
এরপরে শুকনা বাজার সহ, কিছু কাঁচা বাজারও করে নিয়েছিলাম। সবকিছুই ঠিক আছে তবে আমার কাছে মনে হয়েছিলো বাহিরের তুলনায় এখানে দামটা একটু বেশি। এত দাম দিয়ে এখান থেকে কেনার চাইতে বাহির থেকে কিনে নেওয়া এই ভালো।
কেনাকাটা প্রায় শেষের দিকে কিন্তুু তবুও আমার মনে হয়েছিল আরো কিছু জিনিস প্রয়োজন। অন্যদিকে হাসবেন্ডের মানিব্যাগ প্রায় ফাঁকা হয়ে এসেছে। তাই আর কেনাকাটা না করে, বাসার দিকে রওনা দিলাম, ৫ টাকার রাস্তা দুই জনে মিলে হাঁটতে হাঁটতে গল্প করতে করতে বাসায় ফিরে এলাম।
বাসায় ফিরে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি দিয়ে ২ গ্লাস লেবুর শরবত তৈরি করেছিলাম, এবং দুই জনে মিলে খেয়ে নিয়েছিলাম। এরপরে আর বসে থাকিনি যেহেতু সবকিছু আমাকে এই করতে হবে তাই যা যা কেনাকাটা করেছি সবকিছু গুছিয়ে নিয়েছিলাম।
কেনাকাটার মাঝে বেশ সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছি আমার। ঘুরেছি দেখেছি বেশ ভালো লেগেছে তাই আপনাদের সাথেও শেয়ার করে ফেললাম। যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সবাই আমার সাথে থাকবেন ভালো থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।