মানসিক অশান্তিতে না ভোগা মানুষের সংখ্যা এপৃথিবীতে বিরল।প্রতিদিন বহু মানুষের সাথে আমার কথা হয়,তাতে আমার কাছে মনে হয় তাদের বেশিরভাগ মানুষই হতাশাগ্রস্থ।ব্যক্তিভেদে সেগুলোর কারনও ভিন্ন ভিন্ন।দিনশেষে কেউ তার পজিশনে সুখি নয়, সবাই হতাশ।
আসুন একটু গল্প শোনাই,আমার পরিচিত এক মামা,চাকরি করেন আমাদেরই এলাকার একটি সরকারি কলেজে, বেতনও ভালো।কিন্তু তারই ভাষ্যমতে তার এমন পজিশনেও তিনি স্যাটিস্ফাইড নন।তিনি আমাকে এটাও বলেছেন,তার এত ভালো বেতনও নাকি তার পারিবারিক মাসিক খরচ চালাতে অক্ষম।
আমার এলাকার একজন লোক সম্পর্কে তিনিও মামা,চাকরি করেন একটি রেপুটেড ব্যাংকে,উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মানে একটি ব্রাঞ্চের ম্যানেজার,মাসিক বেতন প্রায় লাখ খানিক টাকা তবুও তিনি হতাশ।মানসিক অশান্তির ছাপ তার চোখে মুখে।ওনার সাথে গল্পের ফাকে উনি আমাকে বলছিলেন তার মাসিক মোটা অংকের বেতন দিয়ে নাকি তার সংসার খরচ চালাতে হিমসিম খেতে হয়,এমনকি আরও কিছু টাকা ঋণ করতে হয়।
বকুল কাকা,দেখতে একদম সুস্থ মানুষের মতোই অথচ বেশ কিছু দিন আগে নাকি তার পারিবারিক একটি সমস্যার কারণে তাকে কয়েকদিন মানসিক অশান্তি ভোগ করতে হয়েছিলো।সেই থেকেই তিনি প্রতিবছর কিছু মাস পাগলের ন্যায় আচরণ করে আবার সুস্থও হয়ে যান।কিন্তু আমি তাকে যতদিন ধরে চিনি ততদিন ধরেই আমি উপরে উল্লিখিত বিষয়টি লক্ষ্য করেছি।একবার চিন্তা করুন, মানসিক অশান্তি তাকে কোন পর্যায়ের দ্বারপ্রান্তে এনে পৌঁছে দিয়েছে।
আমি সমাজের অনেক বড় বড় মানুষকে চিনি যাদের বাহিরে একরূপ আর ভিতরে অন্যরূপ,সারাদিন সারা দিক দাপিয়ে বেড়ালেও দিনশেষে তারাও মানসিক অশান্তির এক খদ্দের।তারা প্রতিদিন ঘুমানোর ওষুধ না খেলে ঘুমাতেই পারেন না।হয়তো কোনো এক কারণে মানসিক অশান্তি নামক ব্যাকটেরিয়া তাদের তাড়া করে চলছে সর্বদাই।তারা সবাই মানসিক প্রশান্তির নীড়ে ফিরতে চায়।
মানসিক অশান্তি মানে মনের অসুখ।এটি ক্যান্সার নামক ব্যাধির মতো একজন মানুষকে দিনে দিনে ধ্বংস করে ফেলে।ওষুধ খেয়ে শরীরের অসুখ সাড়ানো গেলেও মনের অসুখ সাড়ানো যায় না।
এই ব্যাধি থেকে বাঁচতে হলে নিজেকে হতে হবে সচেতন।জীবনের উত্থান পতন নিয়ে ভেবে ভেবে সময় নষ্ট করলে চলবে না।যত খারাপ পরিস্থিতিরই সম্মুখীন হইনা কেনো মানিয়ে নিয়ে অগ্রসর হতে হবে সামনের দিকে,অল্পতেই নিজেকে সুখি মনে করতে হবে।
হয়তো মানসিক অশান্তি আপনাআপনি চলে আসে,তবে কিছু স্পেসিফিক কারণও আছে বটে।মানসিক অশান্তি কিংবা টেনশন করে কেউ ভালো কিছুর সুফল বয়ে এনেছে এর নজির খুবই কম। তাই আমি মনে করি মানসিক প্রশান্তি অন্বেষণ করা উচিত। যা হবার তা তো হবেই।
https://www.youtube.com/live/VGkpGDBWRUo?si=DizCPv-MkxFrdr7M
X promotion
https://x.com/tasin43/status/1889627212090909172