![]() |
---|
হ্যালো বন্ধুরা
![]() |
---|
গতকাল ছিল ২০২৫ সালের প্রথম দিন। আমি যেহেতু একজন কর্মজীবী নারী। তাই স্বাভাবিকভাবেই কনকনে শীত অপেক্ষা করে কর্মস্থলে যেতে হয়েছিল।
সত্যি বলতে বেশ আলশামি লাগছিল বিছানা থেকে উঠতে ,ইচ্ছে করছিল আর একটু কম্বল জড়িয়ে শুয়ে থাকি । কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি ।আমাদের মর্নিং স্কুল সকাল ৯ঃ০০ টায় এসেম্বলি শুরু হয়ে যায় ।আর 9:15 থেকে ক্লাস শুরু হয়। সৈত্য প্রবাহ চলছে তাই প্রচন্ড শীত। শীতের কাপড় পরিধান করে যতটুকু সম্ভব নিজেকে প্রটেক্ট রাখার জন্য চেষ্টা করেছি।
তাছাড়া আমার কোল্ড এলার্জি রয়েছে ,শীতের দিন আসলে বেড়ে যায়। অর্থাৎ যতদিন শীত থাকবে আমার এলার্জির তীব্রতাওবেড়ে যাবে। তাই একটু বেশিই সতর্ক থাকতে হয় আমাকে ,নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য।
যাই হোক বন্ধুরা সকালের নাস্তা ছেড়ে কর্মস্থলের রওনা দিলাম ।বাসা থেকে নেমে দুচোখে কিছুই দেখছি না শুধু কুয়াশার কুয়াশা। এক হাত সামনের কিছুই স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি না সবকিছু ধোয়াশা মনে হচ্ছে।
![]() |
---|
আসলে প্রতিটি ঋতুর আলাদা আলাদা সৌন্দর্য রয়েছে। শীতে যদি ঘন কুয়াশা না পড়বে তাহলে আর শীত কেন ,শীত মানে ঘন কুয়াশা, শীত মানে হাজারো রকমের পিঠাপুলির আয়োজন, শীত মানে খেজুরের রস তাই নয় কি বন্ধুরা।
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
যাইহোক নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই আমি স্কুলে যেয়ে পৌঁছেসি আমি । আমি পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পরে অ্যাসেম্বলি শুরু হয়ে গেল। তবে একটা জিনিস খুব খারাপ লাগছে আমার ।এই ছোট ছোট বাচ্চা গুলো কঠিন শীত অপেক্ষা করে স্কুলে চলে এসেছে। কুয়াশা গুলো মনে হচ্ছে ওদের নাকে মুখে দিয়ে ডুকছে আমি একটু আশঙ্কাও করছি। বাচ্চাগুলা নাকি আবার ঠান্ডা জরে আক্রান্ত হয়ে যায়। আল্লাহ যেন তাদেরকে হেফাজত করে ।
তবে তাদের চোখে মুখে একটি আনন্দের ছাপ ।স্কুল জীবন মানেই আনন্দের তাদের চোখ মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে। তাদের খুন ছুটি দেখে বোঝা যাচ্ছে শীত তাদের জন্য কিছুই না।
সত্যি বলতে জীবনের সবচেয়ে আনন্দময় মুহূর্ত হচ্ছে স্কুল জীবন তাই তারা শীত অপেক্ষা করে চলে আসছে স্কুলে ।বন্ধুদের সাথে আনন্দের সময় কাটানোর জন্য। তারপর অফিসে চলে গেলাম, সহকর্মীরা আমাদের ফুল দিয়ে বরণ করল এবং এক সহকর্মী আমাকে গরম গরম ডিম উপহার দিল বছরের প্রথমেই ,যা দেখে আমি অনেকটা অবাক হয়েছি । আমি আবার হেসে হেসে বললাম বছরের প্রথম দিনে তুমি আমাদের সবাইকে গরম ডিম খাওয়াচ্ছ এর উদ্দেশ্য কি।
উনি হেসে বলল ,ব্যতিক্রমী আয়োজন এরকম তো কেউ কখনো করেনা ।তাই আমি ভাবলাম আমার সহকর্মীদের আজকে গরম ডিম খাওয়াই ।এই শীতের মধ্যে গরম ডিম খাওয়া মজাই আলাদা ।আসলেই তাই আমি স্বভাবতই ডিম খুব পছন্দ করি ।তা যদি হয় আবার গরম গরম তাহলে তো কোন কথাই নেই।
অনেক রকমের গোলাপ রয়েছে এর মধ্যে আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লাগে হালকা গোলাপি রঙের গোলাপ ।সেই গোলাপটি আমার এক সহকর্মী আমাকে উপহার হিসেবে দিয়েছে ।যা আমার কাছে অনেক বড় পাওয়া।
আসলে চাকরি জীবনের কিছু সুন্দর মুহূর্ত রয়েছে, কিছু আনন্দঘন মুহূর্ত রয়েছে যার জন্য চাকরি জীবনটাকে এত উপভোগ করি আমরা। আমি মনে করি সমাজের প্রতিটি মেয়েকে প্রতিষ্ঠিত হওয়া প্রয়োজন। নিজের পায়ে দাঁড়ানো প্রয়োজন ।নিজের একটি জগত তৈরি করা প্রয়োজন। শুধু আর্থিক উন্নতির জন্যই নয় ,মানসিক শক্তির জন্য মেয়েদের স্বাবলম্বী হওয়া উচিত। নতুন বছর সবার জন্য মঙ্গল বয়ে আনুক সেই কামনায় আজকের মত এখানেই শেষ করছি ,আল্লাহ হাফেজ। সবাইকে হালকা গোলাপি রঙের গোলাপের শুভেচ্ছা ।শুভ হোক নতুন বছর।