রক্তাক্ত শাবিপ্রবি'র পেছনের ঘটনা সংক্ষেপে যারা জানতে চেয়েছেনঃ
মেয়েগুলা নিজেদের ব্যাসিক রাইট (ডাইনিং এর খাবারের মান বাড়ানো, ক্যান্টিন এর খাবারের দাম কমানো, ওয়াইফাই স্পিড বৃদ্ধি, সুপেয় পানির মান বৃদ্ধি, ছাত্রী অসুস্থ হলের ছাত্রীর গার্জিয়ান/মাকে হলে প্রবেশের অনুমতি, হলের টয়লেট+গোসলখানা যথাযোগ্য ভাবে পরিষ্কার, চারজনের থাকার জন্য নির্মিত সকল কক্ষে জোড়পূর্বক পাঁচজন কে থাকতে বাধ্য না করা) নিয়ে ম্যামের সাথে আলোচনায় বসতে চাইলে তিনি জঘন্যতম আচরণ শুরু করেন ফোনালাপে। তিনি আসতে অসম্মতি জানিয়ে " বের হয়ে গেলে বের হয়ে যাও। আমি আসতে পারব না। কেউ কি মারা গেসে? মারা গেলে তখন দেখা যাবে", "আমার ঠ্যাকা পড়ে নাই" ইত্যাদি অসম্মানজনক, আপত্তিকর ও ক্ষোভ উদ্রেককারী মন্তব্য করেন। প্রভোস্ট না এলে হলের ছাত্রীরা ত্রিশ মিনিটের মধ্যে হল ছেড়ে বেরিয়ে যাবে বললে তিনি বলেন," বের হয়ে যাও। লজ্জা থাকলে রুমে ঢুকবা না।"
তখন মেয়েরা রাতে ৯টার পর হল থেকে বের হয়ে প্রভোস্টের পদত্যাগ সহ ৩ দফা দাবীতে আন্দোলন শুরু করে। মানে ভিসি ভবনের বাইরে গিয়ে বসে জড়ো হয়ে স্লোগান দেয়। সেদিন এই শীতে রাত ৩ টার পর ভিসি তার ভবন থেকে বের হয়ে বলেন পরের দিন সকাল ১১টায় তাকে যেন শিক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগ জানায়।
মেয়েরা তাই করে। তখন ভিসি বলেন, প্রভোস্ট এর পদত্যাগ এর দাবী মানা যাবেনা। এছাড়া করা হলের অন্যান্য সমস্যা ১ মাসের মধ্যে মিটিয়ে দিবো। মেয়েরা তা কিছুতেই মানেনা এবং আন্দোলন কন্টিনিউ করে।
গতকাল বিকেলে গোলচত্তরে আন্দোলনের সময় হলের ছাত্রীদের উপর ছাত্রলীগ হামলা চালায়...। গতকাল থেকে শিক্ষার্থীরা সবাই এই নিয়ে খুব্ধ...!
আজকে ছেলে, মেয়ে সব সাধারণ শিক্ষার্থী একত্রে ক্যাম্পাসের বাস বন্ধ, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন করতে থাকে। বিকেলে ভিসির সাথে শিক্ষার্থীরা প্রশাসন ভবনের সামনে কথা বলতে চাইছিলো, তখন তিনি শিক্ষার্থীদের ধাক্কা দিয়ে আই আই সি টি ভবনে এসে প্রবেশ করলে শিক্ষার্থীরা সেখানে তাকে অবরুদ্ধ করে।
কোষাধ্যক্ষ স্যার ভিসির সাথে কথা বলার অজুহাতে ঢোকার নাম করে সম্পূর্ণ সুপরিকল্পিত ভাবে পুলিশ অতর্কিতে নিরীহ শিক্ষার্থীদের উপর নিষ্ঠুর ভাবে হামলা চালায়...!
মানব শেকল ভাঙার জন্য তারা শিক্ষার্থীদের দিকে রাবার বুলেট চালায়। সাউন্ড গ্রেনেড চার্জ করে। যার splinter ঢুকে অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে...।
মানবশেকল ভেঙে ভেতরে ঢুকলে পুলিশ শিক্ষার্থীদের মাথা, গলা, বুক, পিঠ লক্ষ্য করে নিষ্ঠুরভাবে লাঠি চার্জ করতে থাকে। টিয়ার শেল, বোমা বর্ষণ করে। ছাত্রীদের অসম্ভব নিষ্ঠুর ভাবে পুরুষ পুলিশ মুহুর্মুহু লাঠি চার্জ করেছে। অনেক অনেক শিক্ষার্থী গুরুতর ভাবে আহত। অনেকের মাথা ফেটে গেছে, হাত পা প্রচন্ড জখম হয়েছে।
প্রশাসনের মদদে পুলিশের এই ন্যাক্কারজনক হামলার নিন্দা জানাই!
collected; image and story copywrite: Engineers Diary