বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্র-ছাত্রীরা অনশন করছে। শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে; এর মধ্যেই তাকে ফেন্সিডিল খেতে হবে!
তিনি শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক মাজহারুল হাসান মজুমদার। গত রাতে শিক্ষকদের ডরমেটরিতে অবস্থান করছিলেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক গার্ডকে ফোন করে বলেছেন-
- "এক লোক একটি ওষুধ দেবে, তোমাকে তা এনে দিতে হবে।"
ওই শিক্ষকের কথামতো গার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের কাছ থেকে অপর লোকের দেয়া ওষুধ নিয়ে আসে। এরপর ডরমেটরিতে ওই শিক্ষককে দিতে গেলে আন্দোলনরত ছাত্ররা তাকে জিজ্ঞেস করে
- আপনি কই যাচ্ছেন?
-স্যারের কাছে।
-কেন যাচ্ছেন? - ঔষধ দিতে।
- আমাদের দেন। আমরা দিয়ে আসব।
এরপর ওই গার্ড ঔষধের বোতল দেয়ার পর দেখা যায় সেটি ফেন্সিডিলের বোতল! ছাত্ররা এরপর ওই গার্ডকে আটক করে। পুলিশও সেখানে উপস্থিত হয়।
আমি পুরো ব্যাপারটা লাইভে দেখেছি। এরপর পত্রিকায়ও পড়েছি। ওই গার্ড বার বার বলছিল
- স্যার এভাবে আমাকে দিয়ে নিয়মিত ঔষধ আনায়। বাইরে থেকে অন্য লোক এসে দিয়ে যায়। আমি এরপর স্যারকে দিয়ে আসি। এটা যে ফেন্সিডিল সেটা আমি জানতাম না।
পুলিশ এরপর ওই গার্ডকে আটক করেছেন। অথচ সেই শিক্ষক, অর্থাৎ অধ্যাপক মাজহারুল হাসান মজুমদাকে আটক করা হয়েছে কিনা আমার জানা নেই! এই অধ্যাপক অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসি'র অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। সব সময় তার আশপাশে এই লোক'কে দেখা যায়।
এরাই হচ্ছে "সম্মানিত" শিক্ষক! তাদের ছাত্ররা না খেয়ে আমরণ অনশন করছে। পুলিশ এসে ছাত্রদের উপর হামলে পড়েছে। এতেও এদের কিছু হচ্ছে না। এর মাঝেও তাকে ফেন্সিডিল খেতে হচ্ছে।
অর্থাৎ তিনি যে ভয়াবহ ভাবে মাদকাসক্ত সেটি তো বুঝাই যাচ্ছে। রাত বাড়ার সাথে সাথে আসক্তির পরিমাণও হয়ত বাড়ে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের কাউকে দিয়ে ফেন্সিডিল আনাচ্ছিল। অথচ এই শিক্ষকরাই আবার বলে বেড়াচ্ছে- ছাত্রদের আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের তৃতীয় পক্ষ ঢুকে পড়েছে। আবার এরাই বাইরের মানুষ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেন্সিডিল আনছে। সেটা আবার হাতে-নাতে ধরাও খাচ্ছে!
পুলিশ অবশ্য ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করেনি! "সম্মানিত" শিক্ষক বলে কথা। তাছাড়া ভিসি'র ডান হাত তিনি! এখন শুনছি উল্টো বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক এবং বর্তমান ছাত্রদের হয়রানি করা হচ্ছে। পুলিশ নাকি অনেকের ব্যাংক একাউন্ট আর মোবাইল ব্যাংকিং বন্ধ করে দিচ্ছে!
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিয় ছাত্ররা,
পুলিশ যদি এরপর সামান্য পরিমাণ হয়রানিও করে; তোমরা সবাই মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সকল নোংরামি পুরো দেশকে জানিয়ে দেবে। তোমরা নিশ্চয় জানো- এরা বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে নিজেদের সম্পত্তি মনে করে কি কি নোংরামি প্রতিনিয়ত করে বেড়ায়। অনেক হয়েছে এইসব শিক্ষকদের অত্যাচার। তোমাদের উপর যদি আর কোন হয়রানি করে- সোজা সব কিছু জাতির সামনে সরাসরি তুলে ধরবে।
ছেলে-মেয়ে গুলো মৃত্যু শয্যায় আর মহান শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমেটরিতে বসে ফেন্সিডিল খেয়ে বড় বড় কথা বলে বেড়াচ্ছে! এদের মুখোশ উম্মচন করার এখনই সময়।
- আমিনুল ইসলাম