আমি যদি পাখি হতাম, উড়ে যেতাম আকাশের ওই নীলিমায়।ঘুরতে থাকতাম দেশ বিদেশে।থাকতো না আমার কোনো বাধা নিষেদ্ধ। মানা লাগতো না কোনো আইন।আমি যদি পাখি হতাম, এক গাছ থেকে অন্য গাছে উড়ে বেড়াতাম, ফল খেতাম আর মনের সুখে গান গায়তাম।যখন ইচ্ছা, যেখানে ইচ্ছা যেতে পারতাম। মানা করার কেউ থাকতো না।সারাটা দিন এক জায়গায় কাটানো লাগত না।থাকতনা জীবনে কোনো অসুবিধা। ভাবতে হতো না ভবিষ্যৎের কথা।করা লাগতো না এতো পড়াশুনা।আমি যদি পাখি হতাম, মানতে হতো না সমাজের মানুষের তৈরি করা নিয়ম । পরতো না আমার চরিত্রে কোনো দাগ।আজ সমাজ / রাষ্ট্রে বসবাস করা মানুষ বড়ই অসহায়।যেন নিজের ইচ্ছাগুলোর কোনো দাম নেই। নেই ভাবপ্রকাশের স্বাধীনতা। তাই আমি যদি পাখি হতাম মানতাম না কোনো নিয়ম করতে হতো না এতো কষ্ট, ভাবতে হতো না নিজেকে নিয়ে।
আমি যদি পাখি হতাম বৃষ্টি দিনে কত আনন্দ করতাম।বৃষ্টির পানিতে নিজেকে ভাসিয়ে দিতাম। ভেসে বেড়াতাম কত জায়গায়।থাকতো না পিতা-মাতার কোনো ধরা বাধা নিয়ম।থাকতো না কোনো রোগ সৃষ্টির লক্ষ্যণ, খেতে হতো না হাজারও ধরনের ঔষুধ।মানতে হতো না আজকের দিনের এতো হাজারও স্বাস্থ্যবিধি।আজ আমরা মানতেছি হাজারও স্বাস্থ্য বিধি। সেবন করছি কত ধরনের, কত কম্পানির তৈরি ঔষুধ তবুও যেনো বাঁচার উপায় থাকছে না।পাখি যদি হতে পারতাম। লাগতো না এতো ডাক্তার করতে হতো না এতো পরিক্ষা -নিরীক্ষা। একটু সুস্থতার জন্য যেন দিতে হয় আগে থেকে সিরিয়াল। গুনতে হয় হাজার হাজার টাকা।তবুও যেন এতটুকু শান্তি পাওয়া যায় না।আজকে আমরা যেন জেলখায় থাকা আসামী হয়ে গেছি, যেন বাইরে বের হওয়া মানা।বাইরে বের হতে হলে যেন পার করতে হয় কত শত শর্ত।
আজ যদি নিজে পাখি হতে পারতাম। উড়ে চলে যেতাম পৃথিবীর এমন কোনো জায়গায় যেখানে নাই, এতো অসুবিধা নাই কোনো কষ্ট, চলা যায় স্বাধীন ভাবে। দেখতো হতো না হাজারও গরিব বাবার কষ্ট, যে সন্তানের মুখে একমুঠো ভাত তুলে দেওয়ার জন্য কত চেষ্টটা,কত কষ্ট করে যাচ্ছেন।নিজের পেটে পাথর বেধে যেন সন্তানের ভবিষ্যৎ টা চিন্তা করেন।একটু সুখে থাকার জন্য আমাদের কত শত চেষ্টটা।যদি পাখি হতাম তাহলে করতে হতো না এতো কষ্ট থাকতো না পোশাকের চিন্তা।বিচার করা হতো না পোশাক দেখে।সৃষ্টি করা হতো না উঁচু নিচুর ভেদাভেদ। একই দেশে কত শ্রেণির মানুষ।কারুর উঁচু দালান তো কারুর খড়ের ঘর।কেউ ঘুমায় নরম বিছানায়, কেউ মাটিতে।আজ আমরা যদি সবাই পাখি হতাম, তাহলে সবারই বাসা হতো এক রকম। থাকতো না এতো ভেদাভেদ।সবাই গাছের ডালের একটা কোণে নিজেদের বাসা বানাতাম।যেটা বানাতে লাগেনা কোনো টাকা পয়সা, দরকার হয়না ছলনার।
আজ যদি পাখি হতাম নিজের খাবারের জন্য তাকিয়ে থাকতাম না অন্যের দিকে।জীবনে একটা ভুল করলে শুনতে হতো না হাজার লোকের কথা। ভুল করলেই যেন সে সমাজের জন্য অপদ্রব্যে পরিণত হয়ে যায়।আজ যদি মনের ইচ্ছা পূরণ হতো তাহলে হয়ত পরিবারের এতো কষ্টটা দেখতে হতো না।সবাই মিলে আকাশে উড়ে বেড়াতাম, একসাথে গাছের ডালে বসে ফল খেতাম।ভোরের মুগদ্ধ বাতাসে মিশে মধুর সুরে ডাকতাম।যে ডাক শুনে প্রকৃতিরা জেগে উঠত।আমি তাদের সাথে গল্প করতাম, কথা বলতাম।আজ যদি পাখি হতাম নিজের পছন্দের মানুষের সাথে নিরবে করতে পারতাম গল্প। কেউ যেন বাধা দেওয়ার থাকত না।এখন যেন মনে হয় সব সুখগুলো পাখিদের রাজ্যে চলে গেছে।তারা যেনো সুখের রাজ্যে বসবাস করে।জীবনটাকে তারা কত সুন্দর করে উপভোগ করে।আহা! আহা! আমি যদি পাখি হতাম, কতই না ভালো হতো।
Hi, @rasel8,
Thank you for your contribution to the Blurt ecosystem.
Please consider voting for the witness @symbionts.
Or delegate to @ecosynthesizer to earn a portion of the curation rewards!
Thank you.