বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম সকল প্রশংসা মহান আল্লাহতালার আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু কেমন আছেন আপনারা সবাই আশা করি মহান রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমতে আপনারা সকলেই ভাল আছেন আমিও আপনাদের দোয়ায় মহান রব্বুল আলামীনের অশেষ রহমতে আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি আপনাদের সাথে বর্তমান সমাজের নেশাখোর মানুষদের নিয়ে কিছু কথা বলব।
আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ দেখা যায় তারা সমাজে ভদ্রতার মুখোশ পরে আড়ালে নেশা করে এরকম একটা গল্প আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো একটা গ্রামে একটা ছেলে আর একটা মেয়ে বসবাস করত মেয়েটার নাম ছিল ময়না ছেলেটার নাম ছিল আলতাফ আলতাব ময়নাকে অনেক ভালবাসত ময়না ও আলতাফ অনেক ভালবাসত তাদের ভালোবাসা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছিল।
তারা গ্রামের মধ্যে একসাথে ঘোরাঘুরি করতো এরপরে আলতাফ ময়নাকে বাইকে করে খুঁচিয়ে দিয়ে আসত ময়না কলেজে পড়াশোনা করত আর তার তেমন কোন পড়াশোনা ছিল না তার পরেও ময়না আলতাফকে মন থেকে অনেক ভালবাসতো।
ময়নার জন্মদিনের দিন আলতাফ ময়নাকে নদীর মাঝখানে নিয়ে নৌকায় করে তার জন্মদিনের সেলিব্রেশন করল,
নদীর মধ্যে নৌকায় করে ঘুরাঘুরি করার সময় ময়নার বাবা তাদের দুজনকে দেখে ফেলে, ময়নার বাবা তখন কিছু না বলে ঘরে এসে ময়নাকে বলে যে তুমি পড়াশোনা ঠিকমতো পড়ো আমি চাই তোমার একটা উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ হোক কারণ তোমার মা নাই।
ময়নার মা ছিলনা ময়না ছোট্ট একটা ময়না পাখিও ছিল আলতাফুর তার জন্য ছোলা নিয়ে আসতো ময়না সেই ছোলা ভিজিয়ে ময়না পাখি টাকে কেটে দিত এভাবেই তাদের ভালোবাসা দিন দিন চলতে থাকে আলতাফের বন্ধুদের সাথে চলাফেরা করত একদিন তার বন্ধু তাকে একটা নেশার দ্রব্য দিয়েছিল সে বলল তুমি যে একটা ময়নার সাথে সারারাত কথা বলো তোমার ঘুম এসে যায় এই জিনিসটা খেলে তোমার আর ঘুম আসবে না আলতাপুর কথা শুনে রীতিমতো সে কাজটাই করলো।
এক দিন দুই দিন এভাবে সে নেশা নেওয়া শুরু করে সে মহিলার সাথে কথা বলার জন্য প্রতিদিনই নেশা নিতে থাকে এভাবে কয়েকদিন ও নেশা নেওয়ার পরে অজ্ঞান হয়ে যেত কিছুদিন ময়না তার কোন খোঁজ পেল না হঠাৎ করেই একদিন রাস্তার পাশে এসে দাঁড়াল আলতাফ ময়না তাকে জিজ্ঞেস করল কোথায় ছিলে এতদিন সে মিথ্যা অজুহাত দিয়ে বলল আমি আমার বন্ধুর নানুর বাড়িতে গিয়েছিলাম জায়গাটা অনেক সুন্দর তখন ময়না বলল আমার সাথে একটু যোগাযোগ করতে পারতেন আলতাফ বললো আমি তোমার সাথে অনেক যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি কিন্তু ওখানে নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না।
আলতাফের সময় একটা অসম্ভব ভালোবাসতো ময়না আলতাফকে অসম্ভব ভালোবাসতো কিন্তু আলতাফ এই নেশা করার জন্য ধীরে ধীরে মায়ের সাথে মিথ্যা কথা বলা শুরু করে একদিন ময়নার বাবা ময়নাকে সব খুলে বলে যে ছেলেটা ভালো না সে নেশা করে কিন্তু ময়না কোন কিছুই বিশ্বাস করে না রাতে যখন ময়নার বাব আমাকে সবকিছু খুলে বলে ময়না সিদ্ধান্ত নেয় সকালে গিয়ে আলতাফকে বলবে তার বাবার কাছে আসার জন্য তাদের বিয়ের কথাবার্তা বলার জন্য।
ময়না কোনরকম রাতটাকে অনেক কষ্টে কাটায় এরপরে সকালবেলা উঠেই সে আলতাফের বাড়িতে যায় আলতাফের বাড়িতে গিয়ে দেখে আলতাফ নেশা করতেছে আলতাফ ময়রা কে দেখে অবাক হয়ে যায় সে তাড়াতাড়ি করে মুখ থেকে সিগারেটের ধোঁয়া বের করে ময়নাকে বলে যে না আমি এটা কখনো খাইনি এখন শুধু একটা দেখতেছি কেমন ময়না কিছু না বলে ওখান থেকে চলে আসে তাদের মধ্যে শুরু হয় আড়ালেই গন্ধ এই একমাত্র নেশার কারণে।
আলতাফ ময়নাকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করে কিন্তু দিনশেষে ময়না বুঝতে পারে যে তার বাবা যা বলেছিল সেটাই সত্যি ময়নার বাবা বাজারের একটা দোকান ছিল ওখানে কাজ করতো একদিন হঠাৎ মনে পড়তে বস সন্ধ্যার পরে তখন কিছু নতুন তাদের বাড়িতে আসেন এসে দরজার মধ্যে পোকা বের হয় না জিজ্ঞেস করে তখন তারা বলে যে উনারা বাজার থেকে এসেছে এরকম এরকম বাবার সাথে কাজ করে মারা দরজা খুলে দেয় এরপর একটা ছেলে এসে বলে যে চাচা হঠাৎ করেই বুক ব্যথা হচ্ছিল আমরা গঞ্জের হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম কিন্তু আমরা তাকে বাঁচাতে পারিনি ময়না বলে আমার বাবা কোথায় তখন তাদের উঠানে তার বাবাকে রেখে দিয়েছিল তার বাবা-মা মারা গিয়েছিল তারপর তার বাবাকে মুসলিম রীতি অনুযায়ী কবর দিয়ে দেওয়া হয় এরপরে ময়না একেবারেই একলা হয়ে যায় আলতাসুনু জেলার খবর নিত কিন্তু তার নেশা দিন দিন বেড়েই চলেছে সে নেশার মধ্যে এতটাই আসক্ত হয়ে গিয়েছিল যে সে তার বাড়ি বন্ধক রেখে নেশা করা শুরু করে।
আলতাফ মায়ের কাছে এসে অনেক কান্নাকাটি করে তাকে বোঝায় সে রকম কিছু করবে না সে ভালো হয়ে যাবে সে ময়লাকে বিয়ে করবে বিয়ের দিন রাতে ও আলতাফ নেশা করে ময়লা তার সবকিছু মেনে নিয়ে তাকে বিয়ে করে কিন্তু বিয়ের পরেই শুরু হয় নতুন আরেক যন্ত্রণার আলতাফ দিল্লি নেশা করে আসতে থাকে তাকে মারধর করে ময়নার সাথে আজে বাজে ব্যবহার করে এসব দেখে ময়না অনেকটা অবাক হয়ে যায় যে মানুষটা তাকে এতোটা ভালোবাসলো সেই মানুষটা একমাত্র নেশার কারণে তার গায়ে হাত তুলতে শুরু করেন এমনকি ময়নার বাবাকে একটা চেয়েন ময়নার কাছে ছিল আলতাফ সেটা নিয়েও নেশা করার জন্য উৎপাত শুরু করে দেয়।
কিন্তু ময়না কোনমতে এসেছেন দিতে রাজি হয় না এরপরে আলতাফের বন্ধুবান্ধবের সাথে নেশা করার জন্য বসে কিন্তু তার কাছে টাকা না থাকার কারণে ছেলে সে করতে পারে না তখন তার বন্ধু-বান্ধব তাকে মারধর করে মারধর করে ওখান থেকে বের করে দেয় এর পরের দিন যার কাছ থেকে সে বন্ধক রেখে টাকা নিয়ে আসছিল সেই লোকটা বাড়িতে এসে ওকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় এর আগে একটা কথা বাকি রয়ে গেছে সেটা হচ্ছে ময়না আলতাফের এসব নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তার বান্ধবীর সাথে ঢাকায় পালিয়ে আসে।
আলতাফ বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় ধীরে ধীরে লেখা পড়তে না পারার ফলে সে কিছুক্ষণ পরপর আকার হয়ে যেতে থাকে তার পেন্সিলস হয়ে যায় কয়েক দিন পরে এসে পাগলে পরিণত হয় রাস্তার পাশে ঘোরাঘুরি করে নেশার দ্রব্য যখন সে না পায় তখন চিৎকার চেচামেচি শুরু করে মানুষ জনসাধারণ ভোরে তাকে মারপিট করা শুরু করে এভাবে সে আস্তে আস্তে পাগল হয়ে যায় এখন সে রাস্তার মধ্যে ঘুরে বেড়ায়।
নেশা খুবই খারাপ একটা জিনিস আমাদের বর্তমান সমাজে এটার প্রখর অনেক বেশি দিন দিন অনেক বেড়ে যাচ্ছে নেশার কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে অনেক পরিবার অনেক মানুষ ধীরে ধীরে তাদের আপনজনকে হারিয়ে ফেলেছে এই নেশার কারণে আপনাদের সবার কাছে অনুরোধ করব নেশা থেকে দূরে থাকুন নেশা খুবই বাজে একটা জিনিস যেটা একবার গ্রহণ করলে ছাড়তে অনেক কষ্ট হয় অতএব নিজেদেরকে নেশা থেকে দূরে রাখুন আপনার পরিবার আপনার ভালোবাসার মানুষকে ভালো রাখতে শিখুন নেশা আপনার ভালোবাসার মানুষ কেউ আপনার কাছ থেকে দূর করে দেবে এই বাজে অভ্যাস থেকে নিজেদেরকে অনেক দূরে রাখুন সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এই কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম আবার নতুন কোন বিষয় নিয়ে অবশ্যই হাজির হওয়া সামনে সে পর্যন্ত আল্লাহ হাফেজ আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু।