কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা।।

in r2cornellblurt •  last month 

কিসমিস খাওয়ার উপকারিতার কিছু মূল বিষয় গুলো হল:

image.png

  1. ভিটামিন এ যুক্ত: কিসমিস ভিটামিন এ এর একটি ভাল উৎস। ভিটামিন এ মনে মর্মান্তিক অবস্থা, চোখের সমস্যা এবং ত্বকের সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে।

  2. ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ: কিসমিস অ্যাসিড এবং ফাইবার-সমৃদ্ধ। ফলে এটি ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে।

  3. হার্ট-স্বাস্থ্যকর: কিসমিস এর মধ্যে পোটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ভিটামিন ই থাকে যা হৃদ-স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।

  4. ত্বক রক্ষণাবেক্ষণে সহায়তা: ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর উপস্থিতিতে কিসমিস ত্বককে সমৃদ্ধ এবং টেকসই রাখে।

  5. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা: কিসমিস এর ফাইবার এবং কার্বোহাইড্রেট স্তর কম হওয়ায় এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে।

image.png

মোটকথা, কিসমিস স্বাস্থ্যের বিভিন্ন দিক থেকে উপকারী এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য পদার্থ।

হ্যাঁ, কিসমিস খাওয়ার আরও কিছু উপকারিতা রয়েছে যা উল্লেখ করা যেতে পারে:

  1. ডায়াবেটিস কন্ট্রোল: কিসমিস এর নিম্ন গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স রয়েছে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তশর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

  2. প্রোটিন বৃদ্ধি: কিসমিসে প্রোটিন এবং অ্যামিনো এসিড উপস্থিত থাকায় এটি শরীরের প্রোটিন ও স্নায়ু উত্পাদনে সহায়তা করে।

  3. মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন: কিসমিস এ থাকা ভিটামিন বি6 এবং ম্যাগনেশিয়াম মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়তা করে।

  4. শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধ: কিসমিসে থাকা প্রাকৃতিক এন্টি-ইনফ্লামেটরি ও এন্টিঅক্সিডেন্ট গুণাবলি শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে।

image.png

  1. স্টাইলস প্রতিরোধ: কিসমিসে থাকা এন্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণাবলি স্টাইলস প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে।

এভাবে কিসমিস একটি পুষ্টিকর, স্বাস্থ্যকর এবং বহুমুখি উপকারিতা সম্পন্ন খাদ্য পদার্থ।

কিসমিস খাওয়ার সম্পর্কে আমার পরামর্শ হলো:

  1. দৈনিক খাওয়ার পরিমাণ: প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য দৈনিক 20-30 গ্রাম কিসমিস খাওয়া যেতে পারে। এটি আনুমানিক 1-2 টি মাধ্যম আকারের কিসমিস।

image.png

  1. একসাথে অতিরিক্ত খাওয়া বর্জন করা: কিসমিস গুড়ো, দেসি ও ক্যান্ডি হিসাবে অতিরিক্ত খাওয়া দূষিত হতে পারে। তাই একসাথে বেশি না খেয়ে আমোদ-প্রমোদের সময় খাওয়া উচিত।

  2. ব্লাড শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকা: কিসমিস এর নিম্ন গ্লাইসেমিক ভ্যালু থাকায় ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে এটি ব্লাড শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। তারা দৈনিক খাওয়ার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।

  3. এলার্জি নিরীক্ষণ: কিছু লোকের ক্ষেত্রে কিসমিস খাওয়ার পরে আলার্জিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে। তাই প্রথমে কম পরিমাণে শুরু করে সহ্য করতে পারছেন কি না দেখা উচিত।

এই সকল বিষয়গুলো মাথায় রেখে কিসমিস খাওয়ার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।

image.png

কিসমিস খাওয়ার সময় আরও মনে রাখার বিষয়গুলো হলো:

  1. সময়ের সাথে খাওয়া: কিসমিস সকাল-বিকাল বা ব্রেক টাইমে খাওয়া যেতে পারে। খাবারের পরে খাওয়া ভাল নয়।

  2. পুষ্টিগুণ: কিসমিস আলু, চিকেন, ডিমের মতো পুষ্টিগুণযুক্ত খাবার হিসাবে গণ্য হয়।তাই এটি অন্যান্য মাংস ও সবজি-ফলের সাথে সম্মিলিত করা যেতে পারে।

  3. ঋতু অনুযায়ী খাবার: ঋতু বিচারে কিসমিস খাওয়া ভাল। গরম মৌসুমে এটি শরীরের জন্য ঠাণ্ডার একটি উপায়।

  4. ক্ষতিকারক পদার্থ: শর্করা, ফ্যাট, লবণ, রং এবং সংরক্ষণকারী যেমন সালফাইট বেশি থাকলে এড়িয়ে চলা উচিত।

  5. নরম খাবারের সঙ্গে: কিসমিস কঠিন খাবারের সঙ্গে সেবন করা যেতে পারে, যেমন রুটি, কাঁচা মাছ/মাংস। এতে পাচনতন্ত্রকে সহায়তা মেলে।

এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে কিসমিস খাওয়ার ভাল অভ্যাস গড়ে তুলতে পারবেন।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE BLURT!