ছোট বাচ্চাদের মুখের ঘা হলে নিম্নলিখিত পরামর্শগুলি দেওয়া যেতে পারে:
নিয়মিত মুখ পরিষ্কার রাখা: বাচ্চার মুখ সাবান এবং পানি দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিত। এটা ঘার সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করবে।
জেলকা ব্যবহার করা: ঘার উপর একটি মৃদু জেলকা লাগিয়ে দেওয়া ভাল। এটা ঘাকে শুকিয়ে দিবে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ করবে।
প্রয়োজনে একটি মৃদু টপিক্যাল একটিবায়োটিক ব্যবহার করা: মৃদু একটিবায়োটিক ক্রিম বা মলম ঘার উপর লাগানো যেতে পারে যদি ঘা গুরুতর হয় বা সংক্রমণ হয়।
বাচ্চাকে খাবারে মশকরা এড়িয়ে চলা: লবণযুক্ত, তীক্ষ্ণ বা ঝরঝরে খাবার ঘার উপর বেদনা বাড়াতে পারে। এগুলি এড়িয়ে চলা উচিত।
চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া: যদি ঘা গুরুতর হয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
এই প্রধান কয়টি পরামর্শ অনুসরণ করলে ছোট বাচ্চাদের মুখের ঘা কমে আসবে এবং সুস্থ হয়ে যাবে।
ছোট বাচ্চাদের মুখের ঘা কমানোর জন্য নিম্নলিখিত খাবারগুলি খাওয়া উপযুক্ত:
ভিটামিন সি যুক্ত ফল ও সবজি:
- স্ট্রবেরি, কমলা, লেবু, ব্রকলি, পেঁয়াজ, ক্যাপসিকাম
- ভিটামিন সি ঘা সারানোতে সহায়তা করে।
প্রোটিন যুক্ত খাবার:
- মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, দই
- প্রোটিন ঘা সারানোর জন্য জরুরি।
ঘা সারানোর জন্য উপকারী খনিজ পদার্থ:
- জিঙ্ক, আয়রন, প্যান্টোথেনিক এসিড
- যেমন - মাছ, লাল মাংস, খুরমুরি, পেঁয়াজ, লাল এবং সবুজ শাক।
মৃদু ও রব্য খাবার:
- স্টিম্ড বা সেচ্ছুক্ত ফল ও সবজি
- মৃদু ক্ষেত্রে ঘারে কম বেদনা হয়।
এই খাবারগুলি নিয়মিত খেলে মুখের ঘা দ্রুত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করবে।
কিছু অন্যান্য খাবারও খেলে মুখের ঘা কমানো যেতে পারে:
ভিটামিন ই যুক্ত খাবার:
- বাদাম, সয়াবিন, ডিম, মাছ
- ভিটামিন ই ঘা সারানোতে সহায়তা করে।
ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত খাবার:
- সালমন, ট্রাউট, সর্দিন, ওলিভ তেল, বাদাম তেল
- ওমেগা-3 ঘা সারানোর প্রক্রিয়াকে উন্নত করে।
প্রোবায়োটিক খাবার:
- দই, কেফির, সোয়াই, কম্বুচা
- প্রোবায়োটিক শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, যা ঘা সারানোতে সহায়তা করে।
- ধীরে ধীরে হজম হওয়া খাবার:
- সবুজ ডাল, চালের দানা, পেস্তা, বাদাম
- ধীরে ধীরে হজম হওয়া খাবার ক্ষতক্ষেত্রে রক্তসঞ্চালনে সাহায্য করে।
এই খাবারগুলি নিয়মিত খাওয়া ঘা সারানোর প্রক্রিয়াকে আরও তেজস্বী করতে পারে।
আপনি আরও কিছু ভিটামিন ই যুক্ত খাবার খেতে পারেন যা মুখের ঘা কমাতে সহায়তা করবে:
তরকারি:
- কলা, পালং শাক, ব্রোকলি, স্পিনাচ
- এই সবই ভিটামিন ই এর উৎস।
ফল:
- আভোকাডো, আপেল, স্ট্রবেরি, কিউি
- এই ফলগুলি ভিটামিন ই এর উপস্থিতি বিশেষ করে।
মিষ্টি আলু:
- মিষ্টি আলু ভিটামিন ই এর একটি ভালো উৎস।
টমাটো:
- টমাটো ভিটামিন ই এর উপস্থিতিতে সমৃদ্ধ।
বাদাম:
- বাদাম একটি প্রধান ভিটামিন ই ভর খাবার।
এই খাবারগুলি মুখের ঘা সারানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক হতে পারে। প্রতিদিন কয়েকটি এই খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।