এই কথাটির পরামর্শ হ'ল খারাপ মানুষদের সব সময় এড়িয়ে চলা নয়। তবে অনেক সময়ই সেই মানুষের সাথে ভাল সম্পর্ক রাখা কঠিন হতে পারে। এসক্ষেত্রে প্রয়োজন মানসিক শক্তি ও সহনশীলতা। খারাপ মানুষদের থেকে দূরে থাকা বা তাদের সাথে কাজ না করার উপায়টি নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে উপযুক্ত হতে পারে। তবে সবার ক্ষেত্রেই আমাদের চেষ্টা করা উচিত তাদের বুঝতে চেষ্টা করা ও তাদের সাহায্য করা।
খারাপ মানুষদের সাথে সহানুভূতি দেখানোর কিছু উপায় হতে পারে:
সমস্যার কারণ বুঝার চেষ্টা করা - তাদের কষ্ট, ভয় বা অন্য কারণগুলো বুঝতে চেষ্টা করা, যা তাদের ব্যবহারকে প্রভাবিত করে।
সাবধানে শোনা ও পর্যবেক্ষণ করা - এমনভাবে শোনা যাতে তারা খোলামেলা হয়ে নিজেদের অবস্থা বলতে পারে। তাদের ব্যবহারের পেছনের কারণগুলো বুঝার চেষ্টা করা।
সহানুভূতিপূর্ণ মনোভাব প্রদর্শন করা - তাদের কথা গুরুত্বসহকারে শোনা, আন্তরিকভাবে বুঝার চেষ্টা করা এবং সাহায্য করার প্রস্তাব দেওয়া।
ধৈর্য ধরা ও সহনশীল থাকা - তাদের পরিবর্তন সহজ হবে না, তাই ধৈর্য ধরে, মিষ্টি আচরণ করে তাদের চেষ্টা করা।
প্রয়োজনে পেশাদার সহায়তা নেওয়া - ব্যক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে কখনও কখনও আমরাই সহায় হতে পারি না, তখন পেশাদার সহায়তা নেওয়া উচিত।
এই পদক্ষেপগুলি খারাপ মানুষদের সাথে সহানুভূতি দেখানোতে সাহায্য করতে পারে।
খারাপ মানুষদের সাথে সহানুভূতি দেখানোর কিছু কার্যকরী উপায় প্রয়োগ করতে পারেন:
প্রথমে তাদের কথা ভালভাবে শুনুন এবং তাদের কষ্ট, ভয় বা অন্যান্য কারণগুলি বুঝার চেষ্টা করুন। তাদের পরিস্থিতি বুঝতে চেষ্টা করুন।
তাদের সাথে কথা বলার সময় সহানুভূতিপূর্ণ এবং সৌজন্যপূর্ণ হন। তাদের কথাগুলি গুরুত্ব দিয়ে শুনুন এবং বোঝার চেষ্টা করুন।
তাদের সাথে কথা বলার সময় ধৈর্য ধরুন। তাদের পরিবর্তন অনেক সময় সহজ হয় না, তাই ধৈর্য ধরুন এবং আস্তে আস্তে এগিয়ে যান।
প্রয়োজনে পেশাদার সহায়তা নিন। কখনও কখনও আমরা একাই সাহায্য করতে পারি না, তখন এক্সপার্টদের সহায়তা নেওয়া উচিত।
তাদের প্রতি ভালবাসা দেখান এবং তাদের খারাপ ব্যবহার পরিবর্তন করতে উৎসাহ দিন। এটা তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
এই রণনীতিগুলি খারাপ মানুষদের সাথে সহানুভূতি দেখানোতে সহায়ক হতে পারে। ধৈর্য ও প্রেমের সাথে এই সহানুভূতি প্রদর্শন করুন।
কর্মক্ষেত্রে খারাপ সহকর্মীদের সাথে সহানুভূতি দেখানোর জন্য আপনার প্রদত্ত উপায়গুলি অনেক কার্যকরী হতে পারে। কিছু অতিরিক্ত পরামর্শ এই প্রসঙ্গে:
প্রথমে আপনার সংস্থার নীতিমালা এবং আচরণ বিধি খোঁজ করুন। তারপরে শীলভঙ্গকারীদের সাথে কীভাবে পরিচালনা করতে হয় তা জানুন।
যদি সম্ভব হয় তাহলে পেশাদার মধ্যস্থতার সাহায্য নিন। কর্মস্থলের আচরণ সমস্যা নিয়ে একজন মধ্যস্থতাকারী বা HR প্রতিনিধির সাথে কথা বলা ভাল হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আলাদা করে বসান এবং তার সমস্যা গুলিকে শান্তভাবে এবং নম্রভাবে জানার চেষ্টা করুন। তাকে বুঝার চেষ্টা করুন।
যদি অনুরোধ করা যায় তাহলে তাকে সহায়তা এবং সমর্থনের পরিকল্পনা করুন। আপনি তাকে কীভাবে সাহায্য করতে পারেন তা দেখুন।
শেষে, যদি সমস্যা চলতে থাকে তাহলে পরিস্থিতি উত্তরোত্তর খারাপ না হওয়ার আগেই কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করুন।
এই উপায়গুলি আপনার কর্মক্ষেত্রে খারাপ সহকর্মীদের সাথে ভালভাবে পরিচালনায় সহায়ক হতে পারে। তবুও, নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাটা গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার সংস্থার নীতিমালা এবং আচরণ বিধি খুঁজে বের করার পরে, আপনি নিম্নলিখিত উপায়ে তাদের সাথে আমার প্রদত্ত পরামর্শগুলি মিলিয়ে নিতে পারেন:
সংস্থার নীতিমালায় কর্মচারীদের মধ্যে সহকর্মীদের সাথে উপযুক্ত আচরণ বিষয়ে কী বলা আছে তা দেখুন। তা আপনার দেওয়া পরামর্শের সাথে কতটা মিলছে?
যদি সংস্থার নীতিমালায় কর্মচারীদের মধ্যে সহকর্মীদের সাথে আচরণ সংক্রান্ত নির্দেশিকা থাকে, তবে সেগুলির সাথে আপনার পরামর্শ কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ?
যদি সংস্থার নীতিমালায় কোনও প্রক্রিয়া বা জরুরী ব্যবস্থা থাকে, যেমন মধ্যস্থতা বা HR এর সাহায্য নেওয়া, তবে সে ক্ষেত্রে আপনার পরামর্শ কতটা মিলছে?
সংস্থার নীতিমালায় অন্যান্য কী কী বিষয় উল্লেখিত আছে যা আপনার পরামর্শের সাথে সংযুক্ত হতে পারে?
এই উপায়ে আপনি আপনার সংস্থার নীতিমালা এবং আমার প্রদত্ত পরামর্শগুলির মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করতে পারবেন। এর ফলে আপনি নিরাপদ এবং নিয়মানুগ ভাবে সহকর্মীদের সাথে কাজ করতে পারবেন।