পাকা পেঁপেতে কতটুকু পরিমান ভিটামিন থাকে।

in r2cornellblurt •  last month 

পাকা পেঁপেতে ভিটামিন A এবং ভিটামিন C এর পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। একটি মধ্যম আকারের পাকা পেঁপেতে প্রায় 2,500 আইইউ ভিটামিন A এবং 47 মিলিগ্রাম ভিটামিন C থাকে। এছাড়াও, পেঁপেতে ভিটামিন B6, ফলক এসিড এবং পোটাশিয়াম নিরুপযুক্ত পরিমাণে থাকে। সুতরাং পাকা পেঁপে খাওয়া গরীব আর মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

image.png

পাকা পেঁপের ভিটামিন এবং খনিজ উপাদানগুলি আমাদের স্বাস্থ্যকে কई ভাবে উন্নত করতে পারে:

  1. ভিটামিন A - পেঁপেতে থাকা ভিটামিন A আমাদের চোখের স্বাস্থ্য, ত্বকের স্বাস্থ্য এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উন্নতিতে সহায়তা করে।

  2. ভিটামিন C - পেঁপেতে প্রচুর মাত্রায় থাকা ভিটামিন C আমাদের শরীরে কোলাজেন প্রস্তুতিতে সহায়তা করে এবং ক্ষতি সারানোর ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

image.png

  1. ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম - পেঁপের খনিজ উপাদানগুলি হাড় এবং দাঁতের স্বাস্থ্যকে উন্নত করে।

  2. পোটাশিয়াম - পেঁপে থাকা পোটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে পারে।

  3. তরল পদার্থ - পেঁপের উচ্চ জলীয় পদার্থ বিভিন্ন শরীরীয় প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।

সুতরাং, নিয়মিত পাকা পেঁপে খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
পেঁপের ভিটামিন এবং খনিজ উপাদানগুলি আমাদের শরীরকে নিম্নলিখিত উপায়ে উপকার করে:

image.png

  1. ভিটামিন A:

    • চোখের স্বাস্থ্য বজায় রাখে এবং অন্ধত্ব প্রতিরোধে সহায়তা করে।
    • ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখে এবং ত্বক সম্পর্কিত সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে।
    • প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে।
  2. ভিটামিন C:

    • শরীরে কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে, যা ত্বক, হাড়, দাঁত এবং রক্তনালীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
    • ক্ষতি সারানোর ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
    • অক্সিডেটিভ স্ট্রেসকে কমিয়ে আনে।
  3. ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম:

    • হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
    • পেশীর কার্যকারিতা এবং স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্যকে উন্নত করে।

image.png

  1. পোটাশিয়াম:
    • হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করে।
    • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
    • পুনর্গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রোলাইট।

এই উপকারগুলি মিলে পেঁপ আমাদের সম্পূর্ণ শারীরিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করে।
হ্যাঁ, পেঁপ খাওয়ার কিছু বিশেষ উপায় আছে যা আরও উপকারী হতে পারে:

  1. ফল সম্পূর্ণরূপে রস করে খাওয়া:

    • এতে ফলের সর্বোত্তম পুষ্টিগুণ সংরক্ষিত থাকে।
    • রসের মধ্যে থাকা ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ উপাদানগুলি সহজেই শরীরে শোষিত হয়।
  2. পেঁপ খাওয়ার সময় ভাতের সাথে খাওয়া:

    • ভাতের সাথে পেঁপ খেলে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং অন্যান্য খনিজ উপাদানগুলির সহগ্রহণ হয়।
    • এতে পুষ্টিগুণ সমন্বিতভাবে শরীরে শোষিত হয়।
  3. পেঁপ খাওয়ার আগে হাত ধোয়া:

    • এতে ফলের উপর থাকা কোনো জীবাণু বা রাসায়নিক বর্জ্য দূর হয়ে যায়।
    • ফলটির পুষ্টিগুণ সংরক্ষিত থাকে।

image.png

  1. পেঁপ কুপে রাখা:
    • এতে ফলের পুষ্টিগুণ ভালভাবে বজায় থাকে।
    • ফলটি ফ্রিজে রাখা উচিত নয় কারণ এতে ভিটামিন সংক্ষয় হয়ে যায়।

এইভাবে পেঁপ খাওয়ার বিশেষ উপায়গুলি অনুসরণ করলে আমরা ফলটির সর্বোত্তম পুষ্টিগুণ লাভ করতে পারি।
পেঁপ খাওয়ার সময় কিছু অতিরিক্ত খাবার সংযোজন করা যেতে পারে যাতে পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পায়:

  1. দই বা যোগার্ট:
    • দই বা যোগার্ট যোগ করলে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং প্রোবায়োটিক্স বাড়ে।
    • এতে পেঁপের ফাইবার এবং ভিটামিন সি-র শোষণ বাড়ে।

image.png

  1. বাদাম বা বাদামি বিস্কুট:

    • বাদাম বা বাদামি বিস্কুট যোগ করলে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম এবং ভেজ্যুল প্রোটিন বাড়ে।
    • এগুলি পেঁপের পুষ্টিগুণকে পূরক করে।
  2. হালকা ঘন করা পানি:

    • পেঁপ খাওয়ার সময় হালকা ঘন করা পানি পান করলে হাইড্রেশন বৃদ্ধি পায়।
    • এতে পেঁপের পুষ্টিগুণ উপকারভোগ করা সহজ হয়।
  3. ভেজ্যুল গ্রীনস:

    • পেঁপের সাথে ভেজ্যুল গ্রীনস যেমন শাক-শবজি, সালাদ ইত্যাদি খাওয়া যায়।
    • এগুলি পেঁপের পুষ্টিগুণকে পূরক করে এবং শরীরের ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখে।

এইভাবে পেঁপ খাওয়ার সময় কিছু অতিরিক্ত খাবার যোগ করলে পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পায় এবং শরীরের স্বাস্থ্য উন্নত হয়।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE BLURT!