ড্রাগন ফল শিশুদের জন্য খুব উপকারী হতে পারে। এই ফলটির কিছু গুণ রয়েছে:
ভিটামিন C সমৃদ্ধ: ড্রাগন ফল একটি ভিটামিন C সমৃদ্ধ ফল, যা শিশুর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে।
ফাইবার সমৃদ্ধ: ড্রাগন ফলে ভরপুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা শিশুর অন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ: ড্রাগন ফল শিশুর রক্তে কোলেস্টেরল স্তর নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে।
এন্টাই-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ: এই ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে এন্টাই-অক্সিডেন্ট থাকায়, শিশুর শরীর ক্ষতিকর ফ্রি রেডিক্যালের প্রভাব থেকে রক্ষা পায়।
তবে অন্যান্য ফলের মতোই, ড্রাগন ফল বেশি পরিমাণে খাওয়া যাবে না। অত্যধিক খাওয়া শিশুর পেট খারাপ হতে পারে। তাই সঠিক পরিমাণে ড্রাগন ফল খাওয়া শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী।
শিশুদের জন্য ড্রাগন ফলের উপযুক্ত পরিমাণ নির্ভর করে তাদের বয়স ও আকার উপর। সাধারণত বলা যায়:
1-3 বছরের শিশুর জন্য:
- প্রতিদিন 1/2 কাপ (81 গ্রাম) ড্রাগন ফল উপযুক্ত।
4-8 বছরের শিশুর জন্য:
- প্রতিদিন 1 কাপ (162 গ্রাম) ড্রাগন ফল উপযুক্ত।
9-13 বছরের শিশুর জন্য:
- প্রতিদিন 1-2 কাপ (162-324 গ্রাম) ড্রাগন ফল উপযুক্ত।
এই পরিমাণে ড্রাগন ফল খাওয়া শিশুদের জন্য পুষ্টিকর ও উপকারী হবে। তবে অত্যাধিক ড্রাগন ফল খাওয়া শিশুদের পেট খারাপ হতে পারে, তাই এই পরিমাণেই খাওয়া উচিত।
অবশ্যই, ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে পারি:
ড্রাগন ফল খুব পুষ্টিকর ফল। এতে রয়েছে:
উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন C - 100 গ্রাম ড্রাগন ফলে 60 মিলিগ্রাম ভিটামিন C থাকে, যা দৈনিক প্রয়োজনীয় পরিমাণের 60-80% পূরণ করে।
উচ্চ পরিমাণে ফাইবার - 100 গ্রাম ড্রাগন ফলে 3 গ্রাম ফাইবার থাকে, যা পাকস্থলীর স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক।
উচ্চ পরিমাণে প্রোটিন - 100 গ্রাম ড্রাগন ফলে 1.5 গ্রাম প্রোটিন থাকে, যা শিশুদের বৃদ্ধি ও উন্নয়নে সহায়ক।
উচ্চ পরিমাণে খনিজ পদার্থ - ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম।
এসব পুষ্টিগুণের কারণে ড্রাগন ফল শিশুদের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং স্বাস্থ্যকর। সুতরাং এই ফল বেশি খাওয়ানো উচিত।
ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ শিশুদের স্বাস্থ্য উন্নয়নে বিভিন্নভাবে সহায়ক হতে পারে:
ভিটামিন C উচ্চতা: ড্রাগন ফলে ভিটামিন C খুব বেশি থাকে, যা শিশুদের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। ভিটামিন C শরীরে কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে, যা হাড়, দাঁত ও রক্ত নালীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ফাইবার উচ্চতা: ড্রাগন ফলে ফাইবার বেশি থাকায় শিশুদের পাকস্থলী সংক্রান্ত সমস্যা, কবজিতা এবং ডায়রিয়ার ঝুঁকি কমে। এটা পুষ্টি সমৃদ্ধ করতে সহায়ক।
প্রোটিন উপস্থিতি: ড্রাগন ফলে সামান্য মাত্রায় প্রোটিন থাকে, যা শিশুদের বৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধতা: ড্রাগন ফলে ক্যালসিয়াম, লোহা, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম বেশি থাকায় শিশুদের হাড়, রক্ত, পেশি ও স্নায়ুর বিকাশে সহায়ক।
সুতরাং, ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণপূর্ণতা শিশুদের সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য ও বিকাশের জন্য খুব উপকারী।