পরম করুণাময়! অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।

হ্যালো আমার প্রিয় বন্ধুরা,

শুভ সন্ধ্যা,

সবাইকে জানাই আমার আন্তরিক সালাম, ও শুভেচ্ছা, আনন্দময় সময় গুলো খুব দ্রুত অতিবাহিত হয়ে যায় বুঝতে পারলাম না যে প্রথম ও দ্বিতীয় দিন সময়গুলো এত দ্রুত কেটে গেছে যে মনে হচ্ছিল যে ২৪ ঘন্টায় একদিন নয় ১২ ঘণ্টায় ১ দিন। তৃতীয় দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে সকালে নাস্তা করে একটু হাঁটতে বের হলাম আমার বিল্ডিং এর সামনেই সুন্দর পার্ক রয়েছে হাঁটার জন্য ‌।

রাস্তার দুই সাইড দিয়েই খুব সুন্দর করে লাগানো রয়েছে ফুলের গাছ সকাল বেলা প্রায় প্রতিটা গাছাই খুব সুন্দর ফুল ফুটে রয়েছে, আমার ফোনে ক্যামেরা বন্দী করলাম এই সুন্দর ফুলের ফটোগ্রাফি ‌। এই ফুলের সঠিক নাম আমি জানিনা তবে আমাদের গ্রামের ভাষা বলা হয় প্যাচফুল ।

আমাদের আবার বারোটার সময় আজকের হোটেল ট্যাগ করতে হবে কেননা আজকে আমরা ফিরে আসবো বাড়িতে। এইজন্য ১১ টা পর্যন্ত ঘুরতে পারবো পার্কের ভিতরেই আপনারা হয়তোবা দেখতে পাচ্ছেন ছবিতে পার্কের ভিতর খুবই সুন্দর সুইমিং পুল রয়েছে। আমিও আমার দুই বন্ধু মিলে সকালে এখানেই গোসল করি। আপনারা ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন যে পারছেন যে ছোট বাচ্চারা কত সুন্দর করে খেলা করছে ড্রেনের এই সড়াত স্থাপনাতে আমিও অনেক সময় বাচ্চাদের মতনেই এই খেলা উপভোগ করলাম।

ছোট বেলায় বৃষ্টির সময় আমরা বাহিরে উঠানে যেমন সড়াত খেলতাম তেমনি এখানে উন্নিত প্রযুক্তি দিয়ে বানানো হয়েছে এই সুন্দর স্থাপনা বাচ্চারা যেমন আনন্দ পায় তেমনি বড়রাও খেলতে পারে আপনারা হতো তা ছবি দেখতে পাচ্ছেন মা ও মেয়ে কত আনন্দ করছে এই খেলার মধ্য দিয়ে।

১১ টার সময় রুমে গিয়ে সমস্ত জামা কাপড় গুলো লাগেজের ভিতরে ভরে চেক আউট হয়ে বাইরে বসে রইলাম আমার সহযাত্রী সবাই । কিছুক্ষণ বাদে আমাদের বাস চলে আসলো। বাসের ভিতরে বসে কয়টি সেলফি উঠালাম।

দুপুরের লাঞ্চ একটার সময় আমাদের একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। রেস্টুরেন্টটা খুবই ছোট কিন্তু এর ভিতরের পরিবেশ উন্নত মানের হোটেলের ভিতরে ঢুকে কয়েকটি ছবি উঠিয়েছি তবে এখানকার খাবার আমি খুব একটা ভালো খেতে পারি নাই কেননা চাইনিজদের রান্না আধা কাঁচা। দুপুরের খাবারের কয়েক প্রকার আইটেম ছিল তার ভিতরে আমার কাছে ভালো লেগেছে মাছ রান্না ও মুরগী ভাজি।

দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা এই রেস্টুরেন্টের সামনে সবাই মিলে একটি গ্রুপ ফটো উঠাই এটাই আমাদের এই ভ্রমণের শেষ ছবি অনেক আনন্দ ও খুশির তিনটে দিন অতিবাহিত হয়ে গেল আবারো কাল থেকে জীবিকার উদ্দেশ্যে কাজ করতে হবে। তো বন্ধুরা পর্যায়ক্রমে আমি এই তিনটি দিনের ভ্রমণের সমস্ত কিছু আপনাদের কাছে শেয়ার করছে যদি এর ভিতরে কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমা দৃষ্টি দেখবেন সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশাই করি আল্লাহ সবার মঙ্গল করুন।