বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে (শুরু করছি)।
অনেকদিন পরে মনে পড়লো নানির বাড়ির গল্প, আমাদের প্রত্যেকের জীবনে কিছু না কিছু গল্প রয়েছে যেগুলো অতি বাস্তব। যেগুলো আমরা চোখে দেখিনি কিন্তু সত্য। দাদা, দাদী, নানা,নানী , , মা আরো আত্মীয়-স্বজন এর কাছ থেকে শুনেছি বিভিন্ন রকমের গল্প। আমি আজ যে গল্পটি আপনাদের কাছে উপস্থাপনা করতে যাচ্ছি সেটি আমার মায়ের কাছ থেকে শোনা গল্প।
আমার নানীর বাড়ির যে গ্রামে অবস্থিত সেই গ্রামের নাম (কোটা বাড়ি) নামটা একটু আজব কিন্তু এর পেছনে রয়েছে অনেক বড় একটি গল্প যেটা শুনলে আপনারাও অবাক হয়ে যাবেন তবে এটা সত্যিই একটি ঘটনা।
আমার নানির বাড়ি থেকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট হাঁটলেই বেত্রাবতী নদী দেখা যায় নদীর গা বয়ে রয়েছে ঘন জঙ্গল সেখানে খুব একটা বেশি মানুষের আনাগোনা নাই। অনেকেই মাঝে মাঝে মাছ ধরতে নদীর যাই তাছাড়া অন্য কোন মানুষ জঙ্গলের সাইট দিয়ে যায় না।
একদিন এক জেলে মাছ ধরতে ধরতে ঠিক গ্রামের মধ্য বরাবর যখন যায় তখন দেখতে পায় বিশাল বড় একটি বটগাছ এবং তার সাইডে সাইডে ছোট ছোট কুটি ঘর জেলে হঠাৎ করে দেখেই একটু ভয় পেয়ে যায় কেননা সে আগে কখনোই গ্রামের ভিতরে নদীর পাড়ে এত বড় বটগাছ দেখি নাই জেলে আরো অবাক হয় যে ছোট ছোট ঘর এই ঘন জঙ্গলের ভিতরে কারা বসবাস করতে পারে ।
এবার জেলে তার নৌকাটা ঘুরিয়ে বাড়ির দিকে আসে। বাড়িতে এসেই সবাইকে ডেকে বলে তার দেখা সমস্ত ঘটনা। এক এক করে গ্রামের আরো মানুষ একত্রিত হয় তারপর সবাই মিলে যায় ওই বটগাছ তলায় রহস্য জানতে।
গ্রামের লোক বটগাছ তলায় গিয়ে আরো অবাক হয় ছোট ছোট ঘর দেখে ঘরের ভিতরে কোন মানুষ নাই তবে ঘর গুলো দেখে মনে হচ্ছে এখানে মানুষ বসবাস করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। এবং আরো অবিশ্বাস্য কিছু জিনিস দেখতে পাই সেগুলো হল অনেক বড় বড় পাথর যার এক একটি ওজন কয়েক টন হবে। পাথরগুলোর রং বিভিন্ন ধরনের কালো সাদা লালছে। পাথরগুলো এক একটি এক, এক সাইজের।
গ্রামের আরো পণ্ডিতরা এসে দেখল এবং এক একজনের এক এক ধরনের মতবাদ দার করাতে লাগলো। বলছে এগুলো অনেক পুরাতন এবং মুঘল আমলের। আবার কেউ কেউ বলছে এগুলো সব জীনের কারবার এক রাতের ভিতরে জীন এগুলো তৈরি করেছে। আসলে এর পিছনে রহস্যটা এখনো পর্যন্ত অজানা।
এ রহস্যময় জিনিস দেখতে মানুষ দলে দলে ভিড় করা শুরু করল এবং সবার মুখে একটি শব্দ যে কোটা পরিদর্শন করতে যাব। আসলে বট গাছের নিচে ঘরগুলি এত ছোট ছোট ছিল যে মানুষ কোটা বলে ডাকতো। ওখান থেকেই এই গ্রামের নামকরণ করা হয় কোটাবাড়ি ।
ওই বটগাছের আশেপাশে যেগুলো পাথর রয়েছে এগুলো নাকি পূর্ণিমা রাত্রে স্থান বদল করে। আর এমন ঘটনা দেখতে প্রতিদিনই মানুষ এখানে ভিড় করে। প্রত্যেক শুক্রবারে ওখানে একটি অনুষ্ঠান হয় প্রত্যেক ধর্মের লোক ওখানে যাই বিভিন্ন ধরনের মানত করে রোগের জন্য অনেকেই বলে যে এখানে মানত করলে নাকি রোগ সেরে যায়।
ওই বট গাছের গোড়ায় এখনো পর্যন্ত হিন্দু ধর্ম অবলম্বীরা বিভিন্ন পূজা করে থাকে। ওইখানের স্থান সবার জন্য উন্মুক্ত সবাই এসে পরিদর্শন করতে পারে।
আমার আম্মু একদিন বলছিল যে ওই পাথরগুলো নিতে নাকি প্রশাসনের লোক আসছিল কিন্তু একটি পাথর ও উঠিয়ে নিয়ে যেতে পারি নাই। ওই পাথরগুলো এখনো পর্যন্ত অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। বট গাছের গোড়ায়।
আসলে আমাদের এই পৃথিবীতে কিছু কিছু রহস্যময় জিনিস রয়েছে সেগুলো সারা জীবন রহস্য থেকে যাবে কিন্তু প্রমাণ করতে পারবেনা কিছুদিন আগে আমি একটি ভিডিওতে দেখেছিলাম যে বাংলাদেশের সীতাকুণ্ড নামে একটি পাহাড় রয়েছে এবং ওই পাহাড়ে যেকোনো জায়গায় হালকা গর্ত করেই যদি আগুন ধরানো হয় তাহলে আগুন জ্বলতে থাকে যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনি ওই গর্ত মাটি দিয়ে ভরাট না করে দিচ্ছেন।
বন্ধুরা আমার নানার বাড়ি গল্প বলতে গিয়ে ভুলে গিয়েছিলাম আপনাদের খোঁজখবর নিতে । তো সবাই কেমন আছেন কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
আজকের মত বিদায় নিচ্ছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশাই করি আল্লাহ সবার মঙ্গল করুন।
** Your post has been upvoted (1.55 %) **
Curation Trail is Open!
Join Trail Here
Delegate more BP for bigger Upvote + Daily BLURT 😉
Delegate BP Here
Upvote
https://blurtblock.herokuapp.com/blurt/upvote
Thank you 🙂 @tomoyan
Thank you so much sir for supporting me ❤️