সবাইকে জানাই আমার আন্তরিক সালাম ও শুভেচ্ছা, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ অশেষ রহমতে আমিও ভাল আছি এবং সুস্থ আছি। আমার ভালবাসার প্রিয় বন্ধুরা, অনেকদিন যাবত আমি কোন ফুলের ফটোগ্রাফি আপনাদের কাছে শেয়ার করতে পারি নাই, এখন কাজের অতিরিক্ত চাপ থাকার কারণে বাহিরে যেতে পারি নাই এজন্য ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করতেও পারি না! তবে আজকে একটু সময় করে বাহিরে গিয়েছিলাম এবং সেখান থেকেই কিছু রঙ্গন ফটোগ্রাফি করেছি আজকে সেগুলো আমি আপনাদের কাছে শেয়ার করব।
তো বন্ধুরা চলুন সর্ব প্রথমে আজকের ফটোগ্রাফি গুলো এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।
প্রকৃতির সৌন্দর্যের অন্যান্য রূপ যুগ যুগ ধরে বয়ে চলেছে ফুল। ফুল পবিত্র একটি শব্দ ফলের সংস্পর্শে মানুষের মন ও পবিত্র হয়ে যায় কেননা ফুল পবিত্র কাজেই ব্যবহৃত হয়। আজকে যে ফুলগুলো ফটোগ্রাফি করছি এর বাংলা নাম হয়তো অনেকেই জানেন তবে এর একটি সুন্দর বৈজ্ঞানিক নাম রয়েছে সেটি হল:- Ixora coccinea.
রঙ্গনের আদি নিবাস দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া। রঙ্গন ফুলগুলো বেশি দেখা যায় বাংলাদেশ, ভারত ,মালয়েশিয়া , ইন্দোনেশিয়া আরো কয়েকটি দেশে। এই ফুলের কয়েকটি রং রয়েছে যেমন, কমলা, লাল, গোলাপী, , হলুদ, সাদা। কিন্তু আমি আজকে যে ফটোগ্রাফি গুলো করছি সবগুলোই লাল রঙের রঙ্গন ফুল। একক ফুল নলাকৃতি, চারটি পাপড়ির দেখা যায়। রঙ্গনের এক একটি থোকায় প্রায় ৪০ থেকে ৫০ টির তম ফুল থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কমবেশিও দেখতে পাই।
রঙ্গন ফুল গাছ এক একটি উচ্চতা প্রায় ৬ থেকে ৮ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। এর পাতাগুলো দেখতে ঘন বিন্যাসের মত হয়। পাতা সরল, উপবৃত্তাকার প্রায় ৪ ইঞ্চির মত লম্বা হয় এবং প্রস্থ 2 ইঞ্চি। সবুজ রঙ্গের পাতা তবে যখন নতুন কচি পাতা বের হয় তখন বাদামি রঙ্গের হয়ে থাকে আস্তে আস্তে এটি সবুজ পাতায় পরিণত হয়। গাছের ডালগুলো ভারি শক্ত প্রত্যেক ডালের কনিষ্ঠ থোকায় থোকায় ফুল ধরে যেটা দেখতে ভারী সুন্দর লাগে।
আমরা জানি প্রায় প্রতিটা ফুলেরই ঘ্রাণ রয়েছে, তবে এক একটি ফুলের এক এক রকম ঘ্রাণ, রঙ্গন ফুলের ঘ্রাণ সুগন্ধিহীন অমৃত সবার কাছেই পছন্দ এই ফুলের ঘ্রাণ সুন্দর হওয়ার কারণে আকর্ষিত হয় ,, হামিংবার্ড, প্রজাপতি। ব্যক্তিগত অর্থ আমার কাছে খুবই ভালো লাগে এই ফুলের ঘ্রাণ।
সর্বশেষ বলে যাই রঙ্গন ফুল গাছ লাগানোর পদ্ধতি:-
কম বেশি সব পরিবেশেই এই ফুল গাছগুলো বেড়ে ওঠে। তবে বর্ষার সময় এই ফুল গাছগুলো লাগানোর মূল সিজন বীজ থেকে চারা উৎপাদন করেও ফুল গাছ তৈরি করা যায় অথবা কলপ করে চেহারা তৈরি করা সম্ভব। আরো একটি সহজ পদ্ধতি হলো পাকাপোক্ত ডাল কেটে তারপর টপের ভিতর লাগালে ডাল থেকে শিকড় গজিয়ে দ্রুতই ফুল গাছের চারা তৈরি হয়ে যাবে তবে একটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে যাতে করে যে গাল কি আপনি মাটিতে পুতছেন সে টি যেন রৌদ্রের শুকিয়ে না যায়।
আমি এই ফুল সম্পর্কে তেমন কিছু জানতাম না তবে আমি ধারণা নিয়েছি এই সাইট থেকে এটি হলো এই সাইটের লিংক।
Source🔗
Posted using SteemPro Mobile