জিন্সের প্যান্টের সামনে দুটি পকেট থাকে। এর মধ্যে আবার একটি পকেটের ওপর আরেকটি ছোট্ট পকেট থাকে। কিন্তু জিন্সের প্যান্টে থাকা এই ছোট পকেটের রহস্য কি? এটির প্রচলন কি নেহায়েতই ডিজাইনের দরকারে হয়েছিল নাকি অন্য বিশেষ কোনো কারণে? এসব নানা প্রশ্নের উত্তর নিয়েই থাকছে আমাদের আজকের আয়োজন। জিন্স পরতে ভালোবাসেন না, বর্তমান প্রজন্মে এমন মানুষ বোধ হয় খুঁজে পাওয়াই বিরল। পুরুষ বা নারী, আট থেকে আশি সবাই জিন্সে ভীষণ কম্ফোর্টেবল ফিল করেন। কখনো নন-স্কিনি বা কখনো স্কিনি হিসেবেই সবার মধ্যেই জনপ্রিয়। পছন্দের জিন্স তো পরি, কিন্তু কয়েকটি বিষয় আমরা সবাই জানি না। যেমন- জিন্সের ডান দিকে ছোট একটি পকেট থাকার কারণ কি। অনেকে এই পকেটটিকে কয়েন পকেট বলে থাকেন। ভাবা হয় কয়েন রাখার জন্য পকেটটি ব্যবহার করা হয়। কেউ কেউ আবার মনে করেন ডিজাইনে ভিন্ন মাত্রা আনতেই দেওয়া হয়েছে এই পকেট। কিন্তু আসল সত্য কী?
source
এই পকেটের রহস্য জানিয়েছেন জিন্স ও বস্ত্র যোগ্য মিসেস জন্স কোয়া| অষ্টাদশ শতকে কাউবয়েরা জিন্দাবাদ ঘড়ি ব্যবহার করতেন| ঘড়ি রাখতেন তাদের ওয়েস্ট কোট-এ| আর তাই বেশিরভাগ সময় ভেঙ্গে যেত কিংবা ভেঙ্গে যাবার ভয় থাকতো| তিনি আরো জানান ঘড়িকে সুরক্ষিত রাখতে তখন থেকেই জিন্সের প্যান্টের এই পকেট দেওয়া শুরু হয়। পকেটের ঘড়ির রেখে বেল্ট এর সঙ্গে বেঁধে রাখা হতো। এখন অবশ্য সেই ঘরের চল নেই। ডিভাইসের জিন্সের প্রথমেই পকেট ব্যবহার করা হয় হাজার ১৮৯০ সালে। তবে ঐতিহ্য বজায় রেখে এখনো প্যান্টের ছোট পকেটে রাখা হয়। বর্তমানে সস্তা হাতঘড়ির জনপ্রিয় হওয়ার পর ছোট প্যাকেটের ব্যবহার আর আগের মত নেই। তবে সাক্ষী হিসেবে রয়ে গেছে পকেটটি। এই জিন্স শব্দটির ফরাসি শব্দ থেকে এসেছিল। জিন ফাসটেইন শব্দ থেকেই শব্দের উৎপত্তি। সুতির কাপড়ের একটি বিশেষ ধরনের বোঝাতে এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করা হয়। ১৮০০ সালের শেষদিকে ক্যালিফোর্নিয়ায় আবিষ্কার হয় সোনার খনি।সান ফ্রান্সিস্কো তে দোকান খোলেন এক জার্মানি। জার্মানি তাদের পারিবারিক ডাই্ এবং কাপড়ের ব্যবসা ছিল। সেই ব্যবসাই শাখা ছিল এই দোকান। আমেরিকা আসার আগেই লিয়োগ তার নামটা লিভাই করে নিয়েছিলেন। তার দোকানের নিয়মিত গ্রাহক ছিলেন জার্মান দর্জি।
দোকানের নীল মোটা কাপড় দিয়ে জ্যাকক সোনার খনিতে কাজ করা শ্রমিকদের জন্য প্যান্ট বানাতেন। কিন্তু প্যান্ট বানানোর সময় জ্যাকব লক্ষ্য করলেন শ্রমিকদের প্যান্টগুলো কোমরের কাছে পকেটের কাছটা ছিড়ে যাচ্ছে। তাই জ্যাকব এমন এক ধরনের প্যান্টির নকশা তৈরি করলেন যাতে তারা সহজে ছিরবেনা এবং পকেটের কাছে তামার লিরেট পাত ছোট করে লাগানো থাকলে ওই জায়গাটা ফেঁসে যাবে না। ফলে এই প্যান্ট বহু দিন টিকবে এবং শ্রমিকদের পকেটের সাশ্রয় হবে। জ্যাকবের তৈরি প্যান্ট শ্রমিকদের মধ্যে বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। পাশাপাশি প্যান্টের রং নীল হয় সহজে তা হতো না। এরপর জ্যাকক লিভাইস স্ক্রস মিলিতভাবে একটি সংস্থা করলেন যার নাম দিলেন লিভাই স্ট্রস এন্ড কোং। ১৮৭৩ সালের বিশেষ ধরনের জিনিস তৈরির প্যান্টেন্ড পেল লিভাই স্ট্রস এন্ড কোং। ১৮৮০ সালে নিজের আলাদা সংস্থা খুললেন লিভাই স্ট্রস। ১৮৯০ সালের মধ্যে তার সংস্থার তৈরি জিন্স আমেরিকায় বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। ১৯২০ সালের মধ্যে আমেরিকায় সেই ফেলল ডিভাইসের তৈরি বিশেষ ডেনিম জিন্স। ডেনিম এর সুতা সবথেকে মজবুত ও টেকসই বলে মনে করা হয়, যার সুতি থেকে তৈরি করা হয়। যখন সুতি থেকে ডেনিম তৈরি করা হয় তখন সেই কাপড় যথেষ্ট মজবুত হয়। শতভাগ সুতি থেকেই সাধারণত জিনিস তৈরি করা হয়। তার মানে এই নয় যে সব দিন সুতি কারণ স্ট্রেচাবল করার জন্য তৈরি সময় এতে ইলাস্টিক মেটেরিয়াল মেশানো হয়। যদিও একই ধরণের ফ্যাব্রিক থেকেই তৈরি প্যান্ট পরতে অনেকেই।
Do vote @Blurt.Live as your Witness
Posted from https://blurt.live