সুধীজন
বগুড়ায় ফুটবল খেলতে যাচ্ছে রোবট। আগামী শনিবার জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমী বগুড়া মিলনায়তনে রোবটিক অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতা এই খেলা অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে সামনে রেখে এর সুফল ভোগ করার ক্ষেত্রে মানবসম্পদের বিকল্প হিসেবে ইন্টার্নেট অফ থিংস এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের উপর চারটি ক্যাটাগরিতে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। চারটি ক্যাটাগরির মধ্যে প্রতিযোগিতা হবে।
প্রতিযোগিতায় 106 টি টিমে
- বুয়েট,
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,
- শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি,
- বিশ্ববিদ্যালয় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,
- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়,
- ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়,
- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়,
- ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি,
- আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ
সহ 49 টি প্রতিষ্ঠান 301 জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করবেন। জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমী বগুড়া প্রথমবারের মতো এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষাবিভাগ এর অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মহসীন। বিশেষ অতিথি থাকবেন প্রকল্প পরিচালক ডঃ মোঃ হুমায়ুন কোভিদ। এটুআই এবং বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের সাবেক ডিন বিশিষ্ট কম্পিউটার বিজ্ঞানী ডঃ মোহাম্মদ কায়কোবাদ। সভাপতিত্ব করবেন নেট্রা বগুড়ার পরিচালক শাফিউল ইসলাম।
সূত্রে জানা গেছে বর্তমান বিশ্বে বহুল আলোচিত বিষয়ের মধ্যে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব অন্যতম একটি বিষয়। আরে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব হল আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রচলিত উৎপাদন এবং শিল্প ব্যবহার স্বয়ংক্রিয়করণ এর একটি চলমান প্রক্রিয়া। তথ্যপ্রযুক্তির বাধাহীন ব্যবহার ও দ্রুত তথ্য স্থানান্তরের মাধ্যমে গোটা বিশ্বের জীবন প্রবাহের গতি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ইন্টার্নেট অফ থিংস এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার মানবসম্পদের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে। এই ডিজিটাল বিপ্লবের ছোঁয়ায় উৎপাদন ব্যবস্থার ঘটবে অকল্পনীয় পরিবর্তন। সেখানে উৎপাদনের জন্য মানুষকে যন্ত্র চালাতে হবে না বরং যন্ত্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে কর্ম উৎপাদন করবে এবং কাজ হবে আরও নিখুঁত।
চিকিৎসা, যোগাযোগ, প্রকাশনায় ইত্যাদি ক্ষেত্রে এর প্রভাব হবে অত্যন্ত জোরালো।বগুড়ায় জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমী নেট্রার পরিচালকশফিকুল ইসলাম জানান জনগণের মাঝে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের গুরুত্ব তুলে ধরা এবং প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে মূলত এই আয়োজন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে মানুষ ইচ্ছেমতো আনন্দ বিনোদন উপভোগ করতে পারবে। সেদিন আর বেশি দূরে নয়। সেই লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করছে।