আজ মামার বাড়ি ভ্রমণ গ্রামীণ বাৎসরিক নামযজ্ঞানুষ্ঠান

in r2cornell •  2 years ago 

সম্মানিত,
সকল পাঠক প্রিয় বন্ধুদের স্বাগতম আমার আজকের লেখাতে। আশা করি সকলের লেখাটি ভালো লাগবে কারণ আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি আমার দৈনন্দিন কার্যক্রম আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য। এবং আমি এটা জানি পৃথিবীর প্রতিটা মানুষের কাজের ধরন এ ভিন্নতা রয়েছে।

আজকের লেখার উদ্দেশ্য বা বিষয়:
আজ মায়ের সঙ্গে আমি আমার মামার গ্রামের উদ্দেশ্যে বের হলাম। সাধারণত আমি লেখাপড়া শেষ করেছি এবং সরকারি চাকুরীর জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছি, তাই পড়াশোনা কে ফাঁকি দিয়ে সচারাচার বাইরে ঘুরতে যাওয়া হয় না। তাই আজ সুযোগ পেয়ে আর মিস করলাম না এবং মায়ের প্রস্তাবে রাজি হয়ে রওনা হলাম মামা বাড়ির উদ্দেশ্যে। বাৎসরিক "নামযজ্ঞানুষ্ঠান"।

1671362607025.jpg

আমার গ্রামে অনেক পুরানো এই মন্দির প্রাঙ্গনে প্রথমে একটু প্রবেশ করলাম এবং কয়েকটি ফটোগ্রাফি সংগ্রহ করলাম। তারপর আমার বাড়িতে পৌঁছালাম।

IMG20221218125319.jpg

মামার বাড়ি তুলসী গাছ:
মামার বাড়িতে পৌছালাম এবং দেখি মামার ঘরের সামনে অর্থাৎ উঠানে অনেক তুলসী গাছ। দেখে মনে হচ্ছে যেন সবজি বাগানের মত সুসজ্জিত করে রাখা হয়েছে তুলসী গাছগুলোকে।

তুলসী গাছের কার্যকারিতা:
তুলসী গাছকে বলা হয়ে থাকে ঔষধি গাছ। এবং এই তুলসী গাছ যে বাড়িতে থাকে ওই বাড়িতে নাকি ছোটখাটো রোগ বালাই দেখা যায় না। এটা আসলে আমি সঠিক বা সত্যতা জানিনা কিন্তু আমার পূর্বপুরুষদের মতামত এটা।
তবে একটা বিষয় আমরা সকলেই জানি, যে তুলসী পাতা খুবই উপকারী বিশেষ করে যদি কোন মানুষের খুসখুসে কাশি হয়ে থাকে তাহলে এই তুলসী পাতা রস করে যদি খাওয়ানো হয় ওই ব্যক্তিকে খুব দ্রুত ওই কাশি থেকে আরোগ্য লাভ হয়। এবং এটি প্রমাণিত আমি নিজেই এটি দেখেছি।

IMG20221218140214.jpg

IMG20221218140227.jpg

IMG20221218140234.jpg

IMG20221218140245.jpg

IMG20221218140253.jpg

ঐতিহ্যবাহী বটগাছ:
এইযে বটগাছটির ফটোগ্রাফি আপনারা দেখতে পারতেছেন এটা কোন সাধারণ বটগাছ নয়। এটার অনেক ইতিহাস আছে পূর্বের। এবং আমি ছোটবেলা থেকে এই গাছটিকে দেখে আসছি এভাবেই অনেক পুরাতন গাছ। এবং এই গাছটির একটি উল্লেখযোগ্য ইতিহাস রয়েছে আর সেটি হচ্ছে এই গাছের শিকড় থেকে দুধের মতো রংয়ের এক প্রকার জল এক সময় পাওয়া যেত। এবং কথিত আছে যে অনেক দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত মানুষ যারা অনেকদিন ধরে ভুগতেছেন এবং বিভিন্নভাবে ডাক্তার দেখিয়েছেন কিন্তু কোন সুবিধা পাননি। তারা এই জল খেয়ে রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করেছেন।
এবং আপনারা ফটোগ্রাফিতে দেখতে পাচ্ছেন যে গাছটিতে সুন্দর করে ঘিরে রাখা হয়েছে। তাছাড়া গায়ে একটি দৃশ্য অংকিত রয়েছে। আমার মামার বাড়ি এবং ঐ গ্রামের সকলে গাছটিকে দেবতা স্বরূপ সমীহ্ ও শ্রদ্ধা করে।

IMG20221218150932.jpg

দুই দিকে কলা গাছ লাগানো হয়েছে এটা বোঝানোর জন্য যে এখানে নামযজ্ঞানুষ্ঠানের সকল ভক্তবৃন্দ প্রসাদ গ্রহণ করবেন।

IMG20221218151332.jpg

IMG20221218151952.jpg

IMG20221218153745.jpg

এবং এই ঐতিহাসিক স্থানটিতে শুধুমাত্র এই নাম যজ্ঞ অনুষ্ঠান নয়, বছরে অনেক অনুষ্ঠান পালিত হয়। এবং ফটোগ্রাফিতে দেখুন কিছুদিন সামনেই অর্থাৎ কিছুদিন পরই আরো একটি পূজা এখানে অনুষ্ঠিত হবে এবং সেই দেবতা ও দেবের মূর্তি তৈরীর কাজ চলছে।

আমার আজকের অর্জন:
আমি যদি কোন স্থানে ভ্রমণের সুযোগ পাই এবং সেখানে সৌভাগ্য বসত পৌছাতে পারি তবে সেখানে দৃশ্য গুলো দেখে আমি তৃপ্ত থাকি না। আমি এখান থেকে কিছু নেওয়ার চেষ্টা করি।
যেমন

আজ এখানে কিছু মানুষ এসেছে তাদের সময় কাটানোর জন্য
*আবার কিছু মানুষ এসেছে তাদের প্রিয়জনদের সাথে দেখা করার জন্য।
*আবার কিছু মানুষ এসেছেন নিজেদেরকে সপে দেওয়ার জন্য সৃষ্টিকর্তার নামে।
তবে সর্বোপরি কথা হচ্ছে এখানে যে মানুষগুলো এসেছেন প্রত্যেকের ই কোন না কোন সৎ উদ্দেশ্য রয়েছে।

আবারও অসংখ্য ধন্যবাদ এবং অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের আমার সৃজনশীলতা পূর্ণ লেখা সমাপ্ত করব।
এবং সেই সঙ্গে সবাইকে আমন্ত্রণ জানাই আমার গ্রামে ঘুরতে আসার এখানে অনেক কিছু দেখার রয়েছে কারণ নতুন স্থান হলে সেখানেই নতুন কিছু আপনি শিখতে পারবেন।

ফটোগ্রাফি ধারণ করা হয়েছে আমার নিজস্ব মোবাইল ক্যামেরা থেকে।

Mobile: Realme8
Subject: yearly cultural and historical programme.
Location: Bangladesh Rampal Bagerhat

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE BLURT!