পৃথিবীটা হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তির পৃথিবী। কথাটা যে সত্যি সেটা খুব সহজেই প্রমাণ পাওয়া যায়।
আজ থেকে এক যুগ আগে কারো কোনো তথ্যের প্রয়োজন হলে মানুষ বই খুলে দেখত- এখন আর
Sorsce
কেউ সেটা করে না। যখন কারো তথ্যের প্রয়োজন হয় সে কম্পিউটারের সামনে বসে, কী-বোর্ডে দুই
একটি টোকা দেয়, মাউসে কয়েকবার ক্লিক করে। সঙ্গে সঙ্গে তথ্য চোখের পলকে তার কাছে চলে
আসে-তথ্যটি পাশের রাস্তা থেকে এসেছে নাকি পৃথিবীর অন্য পাশ থকে এসেছে সেটা আজকাল
কেউ জানতেও চায় না। জানার প্রয়োজনও নেই। কারণ পুরো পৃথিবীটা এখন সবার হাতের মুঠোয়
চলে এসেছে। এই আসাধারণ ব্যাপারটি ঘটা সম্ভব হয়েছে তথ্য প্রযুক্তির একটা বিপ্লবের কারণে। তথ্য প্রযুক্তি নামে সারা পৃথিবীতে যে বিপ্লবটি ঘটেছে তার পিছনে যে যন্ত্রটি কাজ করছে তার নাম ডিজিটাল কম্পিউটার। কম্পিউটারের ভেতরকার ইলেকট্রনিক প্রক্রিয়া করার জন্যে সম্ভাব্য সব সিগনাল ব্যবহার না করে সুনির্দিষ্ট কিছু সিগনাল বা ডিজিটাল সিগনাল ব্যবহার করা হয় বলে এর নাম ডিজিটাল কম্পিউটার। আমাদের বর্তমান পৃথিবী এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এখন খুব কম লোকই খুঁজে পাওয়া যাবে যার জীবনকে কোনো না কোনোভাবে কম্পিউটার স্পর্শ করে নি। হিসেবনিকেশ করতে কম্পিউটারের দরকার হয়, ব্যবসাপাতিতে কম্পিউটার দরকার হয়, এমনকি শিল্প সাহিত্য বা বিনোদন করতেও আজকাল কম্পিউটারের দরকার হয়। ১৯৭৭ সালে ভয়েজার ১ আর ২ নামে দুটো মহাকাশযান সৌর জগতে তাদের যাত্রা শুরু করেছিল। সৌরজগৎ পাড়ি দেবার সময় মহাকাশযান দুটো গ্রহগুলোর পাশে দিয়ে গিয়েছে এবং যাবার সময় সেই গ্রহগুলো সম্পর্কে নানা তথ্য পৃথিবীতে পাঠিয়েছে। ছোটো একটি যন্ত্র হয়েও পৃথিবীর গবেষকদের কাছে সবচেয়ে বেশি তথ্য পাঠানোর কৃতিত্বটুকু ভয়েজার মহাকাশযানগুলোকে দেওয়া হয়। এই চমকপ্রদ কৃতিত্বটুকুর পিছনে ছিল একটা কম্পিউটার, যেটি ভয়েজার মহাকাশযানকে