গাঢ় রঙের পাত্রগুলো বেশ ঠাণ্ডা পরিবেশ সৃষ্টি করে। অনেকটা মাটির গর্তে সাপের স্বাভাবিক বাসস্থানের মতো ।
Sorsce
বিষ সংগ্রহের জন্য বড়শি আকৃতির লম্বা কাঠি দিয়ে সাপ পাত্র থেকে তুলে আনা হয় এবং কাঁটা চামচ সদৃশ্য বস্তু দিয়ে ঘাড়ের দিক দিয়ে সাপটিকে মাটির সাথে আটকে রাখা হয়। দক্ষ ইরুলা একহাত দিয়ে সাপের শরীরটিকে চেপে ধরে এবং অন্য হাতের বুড়ো আঙ্গুল ও তর্জনী দিয়ে মাথা চেপে ধরে। সাপটি তখন বাধ্য হয়ে সামনে রাখা একটি প্লাষ্টিক কভারের নিচে রাখা একটি গ্লাসে গড়িয়ে পড়ে ।
একটি সাপের কাছ থেকে কিন্তু খুব বেশি বিষ সংগ্রহ করা যায় না। ১০০টি কেইট বা ২০০টি স্কেলড ভাইপার থেকে একবারে মাত্র এক গ্রাম বিষ পাওয়া যায়। আর ঘন ঘন বিষ সংগ্রহ করা হলে সাপের আয়ু কমে যায়। তাই ইরুলারা দিনভর বিষ সংগ্রহের পর বিশেষ চিহ্ন দিয়ে সাপগুলোকে আবার জঙ্গলে ছেড়ে দেয়। এরপর এক বছরের মধ্যে এই ছাপ মারা সাপ ধরা পড়লেও তার বিষ নেয়া হয় না। আবার ছেড়ে দেয়া হয় জঙ্গলে।
সাপের চামড়া বিক্রি করে ইরুলারা পেতো চামড়া পিছু ২ থেকে ২০ রূপী । সাপের বয়স, আকার ও প্রকারের উপর এই দাম নির্ভর করত। কিন্তু বিষে পাওয়া যায় এর চেয়ে অনেক বেশি। প্রতি গ্রাম বিষের জন্য মেডিক্যাল ইনস্টিটিউট ৫০০ থেকে ১৫০০ রূপী দিয়ে থাকে। এখন ব্যাপারটা দুধেল গাইয়ের মতো হয়ে গেছে। তাই ইরুলারা ব্যবস্থাটাকে লাভজনক বলে মনে করছে।
এছাড়া সাপের বংশবৃদ্ধির জন্যও ইরুলারা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সংরক্ষিত এলাকায় সাপদের ছেড়ে দিয়ে ডিম দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়, যা থেকে বিশেষ ব্যবস্থাধীনে নতুন সাপ সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। ফলে আগে বনে পাহাড়ে ঘুরে বেড়ানো অর্ধাহারী অনাহারী ইরুলা উপজাতির অনিশ্চিত জীবনের অবসান ঘটেছে। শুরু হয়েছে নতুন জীবন।
মেক্সিকোর পাহাড়ি এলাকায় দেখা যায় এক ধরনের গোসাপ । যাদের পিঠের উপর রয়েছে অজস্র কাঁটা। এরা গাছে চড়তে পারে অনায়াসে। সেখানকার সিয়েরা মাদ্রের অধিবাসীরা এই সাপকে