শ্রীলঙ্কায় এক জাতের পামগাছ বাঁচে ষাট-সত্তর বছর। সারা জীবনে ফুল ফোটায় না। মৃত্যুর আগে শুধু একবার ফুল ফোটায়। এই গাছের নাম করিফা। এদের ফুল ফোটানোর ব্যাপারটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় ।
কলাগাছের মাঝখান থেকে যেমন মোচা বেরিয়ে আসে তেমনি এদের দেহের ভেতর থেকে নির্গত হয় একটি দীর্ঘ পুষ্পদণ্ড । সেই দণ্ডে থরে থরে ফোটে ফুল। ফুলের বৃত্তমূলে দেখা দেয় ফল। একটি গাছে পাঁচ কোটি বীজ থাকে। ফলগুলো পরিপক্ক হয়ে বীজে পরিণত হতে সময় লাগে প্রায় এক বছর ।
সাহারা ও আরবের মরুভূমিতে জন্মায় এন্টাসটিকা। লম্বায় চার-পাঁচ ইঞ্চির মতো। ফল যখন পাকে তখন মোটা শুকনো দড়ির মতো ঝড়ে উড়তে থাকে। নয়তো বালিতে গড়াগড়ি দেয় । বৃষ্টি হলে তখুনি শেকড় চালিয়ে শাখা-প্রশাখা মেলে ধরে। কয়েকদিনের মধ্যে ফুল থেকে ফল হয়। পাকার পর সেই ফল আবার শুকনো দড়ির মতো হয়ে গড়াগড়ি দেয় ।
১৯৬৯ সালে বিজ্ঞানী ডরোথি রেটলাক এক চাঞ্চল্যকর তথ্য জানালেন। তাঁর মতে, সংগীতের ঝংকারে গাছ আরও তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠে। দ্রুত তালের রকসংগীত বাজিয়ে তিনি স্কোয়াশ ও ভুট্টাসহ বেশ কিছু ফুলগাছের দ্রুত বেড়ে ওঠার প্রমাণ দেন।
মেক্সিকোতে সেলাজিনেলা নামের এক ধরনের গাছ দেখা যায়। এই গাছকে উপড়ে শুকিয়ে ফেলার পরেও অনেক দিন পর মাটিতে পুঁতলে বেঁচে ওঠে ।
উদ্ভিদজগতের আরও কিছু তথ্য উদ্ভিদজগতের শুঁটি বা লেগুমিনাসজাতীয় গাছগুলোতে এক রকম কণিকা পাওয়া যায় যেটা অনেকটা হিমোগ্লোবিনের মতো । এ যেন গাছের রক্ত । এই উপাদান থাকার জন্য যত লেগুমিনাসজাতীয় গাছ যেমন ছোলা, মটর ইত্যাদি বাতাস থেকে অতি সহজেই নাইট্রোজেন। গ্যাস গ্রহণ করতে পারে।