শ্রীলঙ্কায়

in r2cornell •  3 years ago 

শ্রীলঙ্কায় এক জাতের পামগাছ বাঁচে ষাট-সত্তর বছর। সারা জীবনে ফুল ফোটায় না। মৃত্যুর আগে শুধু একবার ফুল ফোটায়। এই গাছের নাম করিফা। এদের ফুল ফোটানোর ব্যাপারটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় ।

কলাগাছের মাঝখান থেকে যেমন মোচা বেরিয়ে আসে তেমনি এদের দেহের ভেতর থেকে নির্গত হয় একটি দীর্ঘ পুষ্পদণ্ড । সেই দণ্ডে থরে থরে ফোটে ফুল। ফুলের বৃত্তমূলে দেখা দেয় ফল। একটি গাছে পাঁচ কোটি বীজ থাকে। ফলগুলো পরিপক্ক হয়ে বীজে পরিণত হতে সময় লাগে প্রায় এক বছর ।

images (1).jpeg[sorsce]https://www.google.com/search?q=%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B2%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC&client=ms-android-vivo-rvo3&prmd=vimn&source=lnms&tbm=isch&sa=X&ved=2ahUKEwi4xO-Hi6_2AhUdyzgGHTGeAWIQ_AUoAnoECAIQAg&biw=384&bih=723&dpr=1.88

সাহারা ও আরবের মরুভূমিতে জন্মায় এন্টাসটিকা। লম্বায় চার-পাঁচ ইঞ্চির মতো। ফল যখন পাকে তখন মোটা শুকনো দড়ির মতো ঝড়ে উড়তে থাকে। নয়তো বালিতে গড়াগড়ি দেয় । বৃষ্টি হলে তখুনি শেকড় চালিয়ে শাখা-প্রশাখা মেলে ধরে। কয়েকদিনের মধ্যে ফুল থেকে ফল হয়। পাকার পর সেই ফল আবার শুকনো দড়ির মতো হয়ে গড়াগড়ি দেয় ।

১৯৬৯ সালে বিজ্ঞানী ডরোথি রেটলাক এক চাঞ্চল্যকর তথ্য জানালেন। তাঁর মতে, সংগীতের ঝংকারে গাছ আরও তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠে। দ্রুত তালের রকসংগীত বাজিয়ে তিনি স্কোয়াশ ও ভুট্টাসহ বেশ কিছু ফুলগাছের দ্রুত বেড়ে ওঠার প্রমাণ দেন।

মেক্সিকোতে সেলাজিনেলা নামের এক ধরনের গাছ দেখা যায়। এই গাছকে উপড়ে শুকিয়ে ফেলার পরেও অনেক দিন পর মাটিতে পুঁতলে বেঁচে ওঠে ।

উদ্ভিদজগতের আরও কিছু তথ্য উদ্ভিদজগতের শুঁটি বা লেগুমিনাসজাতীয় গাছগুলোতে এক রকম কণিকা পাওয়া যায় যেটা অনেকটা হিমোগ্লোবিনের মতো । এ যেন গাছের রক্ত । এই উপাদান থাকার জন্য যত লেগুমিনাসজাতীয় গাছ যেমন ছোলা, মটর ইত্যাদি বাতাস থেকে অতি সহজেই নাইট্রোজেন। গ্যাস গ্রহণ করতে পারে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE BLURT!