ম্যালেরিয়া রোগ সারাবার জন্য সবচেয়ে বড় আবিষ্কার কুইনাইন । এই কুইনাইন পাওয়া যায় সিনকোনা গাছের ছাল থেকে। এই গাছটি অসংখ্য মানুষের জীবনকে নিরাপদ করেছে। মারাত্মক এক রোগের প্রকোপ থেকে বাঁচিয়েছে মানুষকে। ইতিহাস থেকে জানা যায়, প্রাচীন গ্রিসের সমগ্র মানুষের এক-তৃতীয়াংশ ম্যালেরিয়াতে আক্রান্ত হয়েছিল। লক্ষ লক্ষ মানুষ এই রোগে মারা গেছে।
[sorsce]https://www.google.com/search?q=%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE+%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%97&client=ms-android-vivo-rvo3&prmd=vin&source=lnms&tbm=isch&sa=X&ved=2ahUKEwiz8JWFvLP2AhX1zjgGHTb1Bw8Q_AUoAnoECAMQAg&biw=384&bih=723&dpr=1.88)
কুইনাইন আবিষ্কৃত হবার আগে ম্যালেরিয়া রোগের কোনো কার্যকর চিকিৎসা ছিল না। ১৬৩৩ সালে ইউরোপীয়রা প্রথম সিনকোনার ছালের উপকারিতার সন্ধান পেলেন। দক্ষিণ আমেরিকার আন্দিজ-এর পাহাড়ি অঞ্চলের কবিরাজরা এর ব্যবহার করত।
১৭৪২ সালে সুইডিশ প্রকৃতিবিদ ক্যারোলাস লিনিয়াস এই গাছের প্রথম বৈজ্ঞানিক বিবরণ লিপিবদ্ধ করেন। তিনিই গাছের নামকরণ করেন সিনকোনা। তাঁর মতে, এটা রুবিয়েসি গোত্রের উদ্ভিদ । দক্ষিণ আমেরিকার কলম্বিয়া থেকে পেরু পর্যন্ত আন্দিজের শীতল মেঘে ঢাকা জঙ্গলে দেখা যায় ৪০ প্রজাতির সিনকোনা গাছ। এ-গাছে মাখন-শাদা ছোট ছোট ফুল ধরে। সিনকোনা গাছের খোঁজে পৃথিবীর বহু দুর্গম অঞ্চলে অভিযান চালানো হয়েছিল ।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সিনকোনার চাষ শুরু হয়।
বাওবাব নামের বিচিত্র গাছটিকে দেখা যায় আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে।
এই গাছের কাণ্ডের পরিধি বিশাল । তানজানিয়াতে এক ধরনের বাওবাব গাছ আছে যার কাণ্ডের পরিধি ১৩০ ফুট। গাছের ডালের রং তামাটে। বাওবাব গাছে বড় বড় গর্ত দেখা যায় । ঐ সব গর্তে পানি জমে থাকে । তৃষ্ণার্ত পথিকরা সেখান থেকে পানি পান করে ।
আফ্রিকার নিচু ও উষ্ণ অঞ্চলে দেখা যায় বাওবাব গাছ। এর ফুলে কোনো গন্ধ নেই। বাওবাব খুব উপকারী গাছ। এর কাঠ স্পঞ্জের মতো নরম। সেই কাঠ পিটিয়ে এক ধরনের আঁশ পাওয়া যায়। সেই আঁশ দিয়ে মাদুর আর দড়ি তৈরি হয়।
বাওবাব গাছের পাতায় রয়েছে প্রচুর ভিটামিন। এই পাতা রান্না করে খাওয়া হয়। বাওবাবের ছালের কষ দিয়ে চামড়া পাকা করা হয়। এর ফুলের রেণু দিয়ে তৈরি হয় ভালো আঠা