জার্মানির দুজন উদ্ভিদ বিজ্ঞানী মোথেস ও পিয়েটজ রাইজোবিয়াম গাছের শেকড়ের ভেতরে এই গাছের রক্ত আবিষ্কার করেন । এই গাছের শেকড়ে পিণ্ডের মধ্যে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে। এগুলো থাকার জন্য পিণ্ডগুলোতে এই লাল রঙের কণিকা দেখতে পাওয়া যায়
যে সমস্ত গাছের পিণ্ডের ভেতরে এই রঙের মতো উপাদানটি থাকে তারাই কেবল নাইট্রোজেন গ্যাস গাছের শরীরে শোষণ করাতে পারে ।
মরুভূমির শুকনো পরিবেশে দেখা যায় ক্যাকটাস গাছ । সেখানে নেই পানি। পরিবেশ খুব রুক্ষ। তবু তার ভেতরেও বেঁচে থাকে ক্যাকটাস। ক্যাকটাস গাছে কোনো পাতা থাকে না। আত্মরক্ষার জন্য ক্যাকটাসের গায়ে থাকে নানা ধরনের কাঁটা।
এদের দেহের বিভিন্ন অংশ বেশ মোটা থাকে। এই মোটা অংশের ভেতরে ক্যাকটাস গাছ বৃষ্টির পানি জমিয়ে রাখে। একটা ক্যাকটাস গাছের পাতায় এই পানি প্রায় তিন থেকে চার বছর থাকে । ক্যাকটাস গাছে কাঁটা থাকার জন্য মরুভূমির বেশির ভাগ জন্তুজানোয়ার এই গাছ চিবিয়ে খেতে পারে না।
চমৎকার সব ফুল ফোটে ক্যাকটাস গাছে। সুন্দর, আকর্ষণীয় রং। প্রায় এক হাজার রকমের ক্যাকটাস গাছ রয়েছে। কোনো কোনো ক্যাকটাস গাছ হয় মটরশুঁটির দানার মতো কোনো গাছ বিশাল আকারের । সত্তর ফুটের মতো লম্বা ক্যাকটাস গাছও আছে । একটা ক্যাকটাস গাছের ডাল ভেঙে বেশ কিছুদিন পানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিশ না দিয়ে রেখে দিলেও পরে মাটিতে
পুঁতে দিলে সেটা বৃদ্ধি পেতে থাকে । মানিপ্ল্যান্ট গাছ আদৌ বৃদ্ধি পায় না। শুধুমাত্র বেঁচে থাকে। অন্য একটি সজীব পাতা শুকিয়ে গেলেই এর নতুন পাতা গজায় । মানিপ্ল্যান্টে প্রোটিন, ফ্যাট ইত্যাদির মোট পরিমাণ সব সময় একই থাকে। এতে খুব কার্যকরী সংবহণতন্ত্র আছে। এর ফলে শুকনো পাতা থেকে নাইট্রোজেন ঘটিত প্রোটিনজাতীয় পদার্থ সহজে নতুন পাতায় স্থানান্তরিত হতে পারে। পাতা শুকিয়ে গেলে প্রোটিন সহজেই অন্য সজীব অংশে স্থানান্তরিত হয়। সাধারণ চোখে মানিপ্ল্যান্টের বৃদ্ধি দেখা গেলেও আসলে তা বৃদ্ধি নয়। শুধুমাত্রা জীবনধারণ ।