গাছপালা কাটা হয়েছে তার ফলে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলেই কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ অনেকটা বেড়েছে। বাতাসে এভাবে যদি কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায় তবে তার ফলে অদূর ভবিষ্যতে পৃথিবীর আবহাওয়ার ক্ষেত্রে এক বিরাট পরিবর্তন আসবে। যা হয়তো মানুষের জীবনকে বিপন্ন করে তুলবে। পৃথিবীতে আজ প্রায় ২০ হাজার প্রজাতির উদ্ভিদ অবলুপ্তির দোরগোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছে। বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর উদ্ভিদসম্পদ রক্ষার জন্য আন্দোলন করার কথা ভাবছেন। চাইছেন সচেতনতা সৃষ্টি করতে ।
অনেক স্থানে ব্যাপকভাবে গাছ কাটার ফলে ভাইরাসঘটিত রোগের আক্রমণ দেখা দিয়েছে । নানাভাবে উদ্ভিদ মানুষের উপকার করছে । মানসভ্যতার প্রতিটি উপাদান উদ্ভিদ সরবরাহ করে। খাদ্যশস্য, তরিতরকারি,
sorsce
মশলাপাতি, ফলমূল। মানুষের জীবন ধারণের জন্য তিনটি মৌলিক উপাদান খাদ্য, বস্ত্র এবং আশ্রয়ের উপকরণ আমরা উদ্ভিদের থেকে পাই। বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধকারী ও জীবন রক্ষাকারী ঔষধ প্রকৃতপক্ষে উদ্ভিদ থেকে তৈরি হয়। পেনিসিলিন, অরিওমাইসিন, স্ট্রেপটোমাইসিন প্রভৃতি এন্টিবায়োটিক ঔষধ বিভিন্ন প্রকার ফানজাইজাতীয় উদ্ভিদ থেকে আবিষ্কার হয়েছে।
রোজকার জীবনের অসংখ্য দ্রব্যাদি- কাগজ, তম্ভ, কাঠ, তৈল, প্রসাধনসামগ্রী, রবার, রজন, সাবান, বার্নিস, চিনি, নাইলন, টেরিলিন এবং নানান ধরনের রাসায়নিক দ্রব্যাদি পাওয়া যায় উদ্ভিদ থেকে ।
পৃথিবীর প্রধান খাদ্যশস্যের ভেতরে আছে ধান, গম, ভুট্টা, বাজরা, জোয়ার, যব, রাই। মানুষের খাবার হিসেবে ডাল ও লিগুম এক উল্লেখযোগ্য স্থান নিয়ে আছে। এই জাতীয় উদ্ভিদকে ‘সবুজ সার' বলা হয় ।
এই ধরনের উদ্ভিদের মাঝে আছে মসুর, মুগ, মাস, ছোলা, খেসারি, মটর, কলাই, অড়হর, সয়াবিন, মটরশুঁটি । উদ্ভিদ ভূমিক্ষয় রোধ করে ।