বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই। আজ আমি শেয়ার করতে চলেছি আমার রুমমেট যারা আছে তারা সবাই এক সাথে বসে আনন্দ করছিল। তখন কয়েকটি ছবি ধারণ করেছিলাম আজ আমার শরীরটা খুব বেশি ভালো না। জানি না গতকালকে পোস্ট করতে পারব কি না তবে চেষ্টা করব। আজকে পোস্ট লেখার মতো অবস্থায় আমি ছিলাম না তবুও ভাবলাম আপনাদের মাঝে এই আনন্দের মুহূর্তটি তুলে ধরা যাক।
আনন্দর মুহূর্তটি হয়েছিল সন্ধ্যা বেলা শরীরটা ভালো ছিলো না ছিলাম ঘুমিয়ে। এবং এক থেকে দুই মাস আগে আমাদের রুমে একটি ছেলে এসেছিল নতুন বাংলাদেশ থেকে। কিন্তু তার কিছু কার্যক্রম ভালো লাগছিল না আমাদের কাছে। কারণ সে নতুন বাড়ি থেকে এসেছে এবং নতুন নতুন বিয়ে করে বাড়ি বৌ রেখে এসেছে। যার জন্য সে সব সময় বৌয়ের সাথে কথা বলে এবং কাজে যেতে চাই না।
এবং অনেক রাত্রে রুমে আসে আমরা সবাই সারাদিন পরিশ্রম করে রাতে একটু ঘুমাবো। কিন্তু তার জন্য ঘুমানো খুবই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। আমরা রুমে অনেক মানুষ থাকি তাই ভাবলাম সবাই এক সাথে হয়ে তাকে একটু ভালো ভাবে বলব। কিন্তু বলে কোন লাভ হবে কি না জানি না যখন তার সাথে কথা বলছিলাম এবং সে যে কাজ করে সেই কাজের লোকেরা এসেছিল আমাদের রুমে।
এবং আমরা এক সাথে কথা বলতে বলতে জানতে পারলাম সে এখান থেকে কয়েক দিন আগে ভয় পেয়েছিল। এবং বিশেষ করে তার বাড়ির কথা তার পরিবারের কথা মনে পড়ছে বেশি। আমরা অনুভব করতে পারি এই অবস্থায় তার কেমন হচ্ছে। কিন্তু একটি মানুষের জন্য আরো পাঁচটি মানুষের সমস্যা হবে এটা কেউ মেনে নেবে না। কারণ এটা বাহিরের দেশ এখানে এক জনের জন্য আরো পাঁচ দশ জন বিপদে পড়বে কেউ চাইবে না।
তাকে আমরা ভালো ভাবে বুঝিয়ে বললাম সে যেনো রুমে একটু দ্রুত চলে আসে। এবং রুমে এসে বাড়ি কথা না বলে কারণ অনেক মানুষ পাশে সারাদিন পরিশ্রম করে এসে চার থেকে পাঁচ ঘন্টা ঘুমিয়ে থাকে। তখন যদি তাকে ডিস্টার্ব করা হয় তাহলে সে কিন্তু রাগ করবে এটাই স্বাভাবিক। এবং তাকে আরো অনেক ভাবে আমরা আনন্দের মাঝে বুঝিয়ে দিয়েছিলাম আমরাও কিন্তু পরিবার ছাড়া আছি এখানে। এবং তোমারও ভালো লাগবে বেশ কিছু দিন গেলে কারণ একটি সময় আমাদেরও খারাপ লাগতো কিন্তু তোমার মতো এমন করতাম না আমরা।
আজ নিজের পরিবারের চিন্তা করে আমরা সবাই এই দূর প্রবাসে এসেছি এবং নতুন বিয়ে করে এসেছ বুঝতে পারছি তোমার অবস্থা কি হচ্ছে। তাই বলে মন খারাপ করে বা কাজে না গিয়ে সারাদিন ফোনে কথা বললে কিন্তু তোমার পরিবার ভালো ভাবে থাকতে পারবে না। তখন সে বলল ঠিক আছে সমস্যা নেই এবার থেকে আমি আপনাদের সাথে হেসে খেলে কথা বলব এবং তাকে আমরা বললাম তোমার কোন সমস্যা হলে আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারো।
এসব কথা বলতে বলতে আরো অনেক ধরনের কথা উঠে আসলো। তার কি ভাবে বিয়ে হয়েছিল তার পরিবারে কয়জন আছে এই কথা গুলো শুনতে শুনতে আরও অনেক কথাই আমরা আনন্দ করছিলাম। ধীরে ধীরে তার মনটা ভালো হয়ে যায় একটা সময় সে আমাদের সাথে ফ্রি হয়ে যায়। যা তাকে আনন্দ নিয়ে আসে আমাদের মাঝে আসলে বাহিরের দেশে সবাই এক সাথে থাকলে ভালো লাগে। আমি বুঝতে পারি তার মনের কি অবস্থা এবং সে কি অবস্থায় আছে।
আসলে বাহিরের দেশে আমরা খুবই অল্প মানুষের সাথে কথা বলি। কারণ নিজেদের ব্যক্তিগত কিছু কাজ থাকে যে গুলো সবার মধ্য করা যায় না। তার ওপরে সারাদিন ডিউটি করতে হয় এবং ডিউটি শেষে রান্না করতে হয়। এবং নিজের পরিবারের সাথে কথা বলতে হয় যা পাঁচ দশ জনের মধ্যে করা সম্ভব নয়। তাই সবাই একা একা গিয়ে একটি জায়গায় বসে নিজের কাজ গুলো সম্পন্ন করে রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়তে হয় এবং অন্য মানুষের ডিস্টার্ব না করে ঘুমাতে হয়।
যাই হোক তাকে বোঝানোর পরে আমরা যে তাকে আনন্দ অনুভব করাতে পেরেছিলাম এটাই আমাদের কাছে অনেক বড় ভালো লাগার বিষয় ছিলো ।কিন্তু নিজের শরীরটা যদি ভালো থাকতো তাহলে হয়তো বা আনন্দ টি আরও বেশি অনুভব করতে পারতাম। এবং আমি ধীরে ধীরে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছি এবং ঔষধ খেয়েছি জানি না গতকালকে ঠিক হবে কি না। তবে যদি ঠিক হয় তাহলে অবশ্যই আপনাদের মাঝে নতুন একটি বিষয় নিয়ে আমি তুলে ধরার চেষ্টা করব।