সমাপ্ত করে দাও হারাম রিলেশনশিপ নামে অশ্লীলতা!
তুমি হারাম রিলেশনশিপ করছো?
আবার স্ট্যাটাস দিচ্ছো
"In an open relationship"
এটা শো-অফ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখানোর কিছু নেই। বরং তোমার লজ্জা হওয়া উচিত।
কারণ মুসলিম হয়ে তুমি দিনের পর দিন একটি হারাম কাজ কন্টিনিউ করে যাচ্ছো।
চোখ-কান-মুখ ও অন্তরের যিনা করে যাচ্ছো।
আমি যদি তোমাকে একটি প্রশ্ন করি,
তোমার গার্লফ্রেন্ড/ বয়ফ্রেন্ড কি আল্লাহর থেকেও বেশি প্রিয় তোমার কাছে.?
আমি জানি...উত্তরটা হবে, ‘‘না...অবশ্যই আমি আল্লাহকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি।’’
তাহলে প্রমাণ কোথায়?!
তুমি তোমার গার্লফ্রেন্ডকে/ বয়ফ্রেন্ডকে ভালোবাসো, সেটার প্রমাণ তো প্রতিনিয়তই তুমি দিয়ে যাচ্ছো।
একটু পরপর খোঁজ নিচ্ছো, কেমন আছে.! কি খেয়েছে.! কি পরছে.! তাকে মেনশন করে রোমান্টিক পোস্ট দিচ্ছো, তার কেয়ার করছো.!
তার সাথে কথা না বললে, তাকে না দেখলে তোমার খুব খারাপ লাগে।
কিন্তু দেখো, আল্লাহ তোমাকে প্রতিদিন ৫ বার তার দিকে ডাকে।
তারপরও তুমি সাড়া দাও না, ইগনোর করো।
তারপরও তিনি রেগে যান না, বরং প্রতিদিনই তোমাকে ডাকে তার দিকে ফিরে আসার জন্য।
অন্যদিকে তুমি তোমার গার্লফ্রেন্ডের/ বয়ফ্রেন্ডের মেসেজকে কখনোই ইগনোর করো না।
কখনো যদি তুমি দেরি করে রিপ্লাই দাও তখন সে রেগে যায়। আবার তোমাকে যদি সে ইগনোর করে,
দিনশেষে তার পেছনেই আবার ছুটে চলো। তোমার কোন ভুল হলে সাথে সাথে তুমি সরি বলতে বলতে বন্যায় তার গা ভাসিয়ে দাও।
অথচ তুমি যখন কোন গুনাহ করো, হারাম কাজ করো, তারপরেও তুমি আল্লাহর অনুতপ্ত হও না,তার দিকে ফিরে আসোনা,তাকে একবারও সরি বলো না,তার কাছে তওবা করো না
তাহলে কিভাবে তুমি আল্লাহ কে ভালোবাসো.!?
আচ্ছা, তুমি তো তোমার গার্লফ্রেন্ডকে/ বয়ফ্রেন্ডকে খুব ভালোবাসো তাই না.?!
তাহলে দিনের পর দিন তাকে দিয়ে কেন গুনাহ করাচ্ছো.?কেন তাকে জাহান্নামের
দিকে ঠেলে দিচ্ছো ?
কেননা ওর পাপের জন্য তুমি দায়ী। কারণ,তুমি তার সাথে কথা বলছো, চ্যাটিং করছো, তাকে দেখছো, তাকে ভাবছো ইত্যাদি।
যার ফলে তোমার পাশাপাশি সেও গুনাহের অংশীদার হচ্ছে।
তুমিই তো তাকে জাহান্নামে যাওয়ার রাস্তা তৈরি করে দিচ্ছো।
আবার দিন শেষে তুমিই ফেসবুকে এসে পোস্ট দাও..
‘‘তোমায় নিয়ে পার্কে নয় জান্নাতে যেতে চাই।’’
ফিরে এসো ভাই,বোন আমার.!
তোমার রব তোমার জন্য অপেক্ষা করছে
তুমি যেনো তওবা করো।
মহান আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে এই ক্ষণিকের দুনিয়ায় সহীহ বুঝ দান করুক! আমিন!