Benefits of Ata fruit, Uchche, Kula and Banana.আতা ফল,উচ্ছে,কুল ও কলার উপকারীতা।

in r2cornell •  last month 

IMG_20241003_171022043.jpeg

Gooseberry, also called karalla or karala, is one of the most popular vegetables in South Asia. Although not liked by many due to its bitter taste, it is considered a very important vegetable due to its nutritional value and health benefits. Regular consumption of Uchche is beneficial for health and helps protect the body from many diseases. In this blog we will know details about Utcha.

High nutritional value

Uche is a vegetable full of nutrients. It is rich in vitamins, minerals and antioxidants. Utchi contains important nutrients like vitamin C, iron, magnesium, potassium, zinc and calcium. It also contains fiber, which aids in digestion and helps in weight control. The bitter taste of Uchch plays an effective role in fighting various problems in the body.

Benefits of Uchcha

Diabetes control

Uche is a very beneficial vegetable for diabetic patients. It contains insulin-like substances, which help regulate blood sugar levels. Regular consumption of Ujcha keeps the blood sugar level in the body normal and reduces the risk of diabetes.

Aids in digestion

Helps digestion. The fiber in it improves digestion and helps relieve constipation. Besides, Uchche is good for the liver and improves digestion.

Skin and hair care

Also beneficial for skin and hair. The vitamin C and antioxidants present in it helps in maintaining skin moisture and helps in reducing wrinkles. Apart from this, eating Uchche reduces hair fall and helps in hair growth.

Helps prevent cancer

Cucumbers are rich in antioxidants, which remove toxins from the body and help prevent cell damage. Regular exercise reduces the risk of cancer and increases the body's immune system.

Helpful in losing weight

Uchi is low in calories and rich in fiber, so it helps in weight control. Eating it keeps the stomach full for a long time, thereby reducing the tendency to overeat. It also boosts metabolism, which helps burn fat.

Uchcha Cultivation method

Uchcha is easy to cultivate and grows well in hot and humid climates. It is usually cultivated in sandy or loamy soils. Following are some of the steps required for Uchcha cultivation:

Sowing seeds

The seeds are sown directly on the ground. At the time of sowing, the hole depth should be 2-3 cm and the distance between each hole should be 30-40 cm.

Irrigation

Uchcha plants require regular irrigation for good growth. However, excessive watering can cause the roots of the plant to rot, so be careful when watering. Maintaining soil moisture is most important.

Fertilizer application

Organic fertilizers should be applied regularly to increase the nutrition of Uchcha plants. It helps the plant grow faster and ensures good yield.

★Insect control

Uprooted trees can be attacked by insects, so it is necessary to monitor the health of the trees regularly. Pests should be controlled using organic pesticides if necessary.

Kale is a nutritious vegetable that should be included in the diet regularly. It is beneficial in a variety of areas, from controlling diabetes to improving digestion, losing weight and preventing cancer. Although its bitter taste is not liked by many, its nutritional value and health benefits cannot be ignored. Uchche is easily cultivated and can be enjoyed throughout the year.

উচ্ছে, যাকে করল্লা বা করলা নামেও ডাকা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় সবজি। এটি তেঁতো স্বাদের কারণে অনেকের কাছে পছন্দ না হলেও এর পুষ্টিগুণ এবং স্বাস্থ্য উপকারিতার কারণে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সবজি হিসেবে বিবেচিত। উচ্ছে নিয়মিত খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং এটি শরীরকে অনেক রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এই ব্লগে আমরা উচ্ছে সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।

উচ্ছের পুষ্টিগুণ

উচ্ছে পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি সবজি। এতে প্রচুর ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস রয়েছে। উচ্ছেতে ভিটামিন সি, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, জিঙ্ক এবং ক্যালসিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকে। এছাড়া এতে রয়েছে ফাইবার, যা হজমে সহায়ক এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। উচ্ছের তেঁতো স্বাদে থাকা উপাদানগুলো শরীরের বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

উচ্ছের উপকারিতা

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ

উচ্ছে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি সবজি। এতে ইনসুলিনের মতো কিছু উপাদান থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। নিয়মিত উচ্ছে খেলে শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক থাকে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে যায়।

হজমে সহায়ক

উচ্ছে হজমে সাহায্য করে। এতে থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে। এছাড়া, উচ্ছে লিভারের জন্য ভালো এবং তা হজমশক্তি বাড়ায়।

ত্বক এবং চুলের যত্ন

উচ্চে ত্বক এবং চুলের জন্যও উপকারী। এতে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং বলিরেখা কমাতে ভূমিকা রাখে। এছাড়া উচ্ছে খেলে চুল পড়া কমে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা হয়।

ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক

উচ্ছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা শরীর থেকে টক্সিন দূর করে এবং কোষের ক্ষতি প্রতিরোধে সাহায্য করে। নিয়মিত উচ্ছে খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

ওজন কমাতে সহায়ক

উচ্ছে কম ক্যালোরিযুক্ত এবং ফাইবারসমৃদ্ধ হওয়ার কারণে এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এটি খেলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকে, ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে। এছাড়া উচ্ছে মেটাবলিজম বাড়ায়, যা চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে।

উচ্ছে চাষ পদ্ধতি

উচ্ছে চাষ সহজ এবং তা গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ায় ভালো জন্মে। এটি সাধারণত বেলে বা দোআঁশ মাটিতে চাষ করা হয়। উচ্ছে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু ধাপ নিচে দেওয়া হলো:

★বীজ বপন

উচ্ছে বীজ সরাসরি জমিতে বপন করা হয়। বীজ বপনের সময় গর্তের গভীরতা ২-৩ সেন্টিমিটার হওয়া উচিত এবং প্রতিটি গর্তের মধ্যে ৩০-৪০ সেন্টিমিটার দূরত্ব রাখতে হয়।

★জলসেচ

উচ্ছে গাছের ভালো বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত জলসেচ প্রয়োজন। তবে অতিরিক্ত পানি দিলে গাছের শিকড় পচে যেতে পারে, তাই পানি দেওয়ার ক্ষেত্রে যত্নবান হতে হবে। মাটির আর্দ্রতা বজায় রাখাই সবচেয়ে জরুরি।

★সার প্রয়োগ

উচ্ছে গাছের পুষ্টি বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত জৈব সার প্রয়োগ করা উচিত। এটি গাছকে দ্রুত বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং ভালো ফলন নিশ্চিত করে।

★পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ

উচ্ছে গাছে পোকামাকড়ের আক্রমণ হতে পারে, তাই নিয়মিতভাবে গাছের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। প্রয়োজনে জৈব কীটনাশক ব্যবহার করে পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

উচ্ছে একটি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ সবজি, যা নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত। এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে হজমশক্তি বৃদ্ধি, ওজন কমানো এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে উপকারী। এর তেঁতো স্বাদ অনেকের পছন্দ না হলেও এর পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। উচ্ছে সহজেই চাষ করা যায় এবং এটি সারা বছর ধরে উপভোগ করা যেতে পারে।

IMG_20241003_171022034.jpeg

Kool, also known as plum, is a popular fruit in South Asia, including Bangladesh. It is commonly found in winters and people are fascinated by its sweet and sour taste. This small fruit has a lot of nutritional value and benefits. Being readily available and easily cultivated, kul is equally popular with the village as well as the city people.

Nutritional value of sprouts

Kale has a lot of nutrients which are very beneficial for our body. It contains vitamin C, vitamin A, calcium, iron, potassium, phosphorus and antioxidants. Kale is also high in fiber, which helps improve digestion. Being low in calories, it helps in weight control and provides the body with the required energy.

Benefits of Cool

★Increased immunity

Kale contains high levels of vitamin C, which helps boost the body's immune system. It protects against cold and common cold and strengthens immunity. Vitamin C protects the body from free radicals, which help prevent cell damage.

★Improves digestion

Kale is rich in fiber, which helps improve digestion. It relieves constipation and improves the efficiency of the digestive system. Regular consumption of Kool relieves digestive problems and reduces other stomach problems.

★Skin care

The antioxidant content of cucumber is beneficial for the skin. It prevents the damage of skin cells and keeps the skin alive and glowing. Regular consumption of kool can protect the skin from wrinkles and other aging related problems.

★Helps in weight loss

Cool helps in weight loss due to its low calorie content. Due to its high fiber content, it keeps the stomach full for longer, thus reducing the tendency to overeat. Cool helps reduce excess body fat.

কুল, যা বরই নামেও পরিচিত, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার একটি জনপ্রিয় ফল। এটি শীতকালে সাধারণত পাওয়া যায় এবং এর মিষ্টি ও টক স্বাদে মানুষ মুগ্ধ হয়। ছোট আকারের এই ফলটির পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতা প্রচুর। সহজলভ্য এবং সহজে চাষযোগ্য হওয়ায় কুল গ্রামের পাশাপাশি শহরের মানুষের কাছেও সমান জনপ্রিয়।

কুলের পুষ্টিগুণ

কুলে প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, ফসফরাস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। কুলে ফাইবারের পরিমাণও ভালো, যা হজমশক্তি বাড়াতে সহায়ক। কম ক্যালোরিযুক্ত হওয়ায় এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং শরীরকে প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে।

কুলের উপকারিতা

★রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি

কুলে উচ্চমাত্রায় ভিটামিন সি পাওয়া যায়, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি সর্দি-কাশি ও সাধারণ ঠান্ডা থেকে রক্ষা করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। ভিটামিন সি শরীরকে ফ্রি র‍্যাডিকেলস থেকে রক্ষা করে, যা কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

★হজমশক্তি উন্নত করে

কুলে প্রচুর ফাইবার রয়েছে, যা হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং পাচনতন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। নিয়মিত কুল খেলে হজম সমস্যা দূর হয় এবং পেটের অন্যান্য সমস্যা কমে।

★ত্বকের যত্ন

কুলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের জন্য উপকারী। এটি ত্বকের কোষগুলোর ক্ষতি প্রতিরোধ করে এবং ত্বককে সজীব ও উজ্জ্বল রাখে। নিয়মিত কুল খেলে ত্বককে বলিরেখা ও অন্যান্য বার্ধক্যজনিত সমস্যা থেকে রক্ষা করা যায়।

★ওজন কমাতে সহায়ক

কম ক্যালোরিযুক্ত হওয়ার কারণে কুল ওজন কমাতে সহায়ক। এতে প্রচুর ফাইবার থাকায় এটি খেলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকে, ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। কুল শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট কমাতে সাহায্য

IMG_20241003_171022033.jpeg

Banana is one of the most popular fruits in the world, which is readily available throughout the year. It is delicious to eat as well as rich in nutrients. Banana is widely cultivated in the climate of Bangladesh and is a very important cash crop. Banana is not only for eating but also used in making various dishes and desserts. Apart from being readily available, its benefits and nutritional value make this fruit more attractive.

Nutritional value of bananas

Banana is a fruit rich in nutrients, which is very beneficial for the body. It is rich in vitamins, minerals and fiber. Bananas mainly contain potassium, vitamin C, vitamin B6, and magnesium. Bananas are high in carbohydrates, which provide quick energy. Bananas also contain natural sugars, such as glucose, fructose and sucrose, which provide the body with quick energy.

Benefits of bananas

Increases energy

Because bananas are rich in natural sugars, they give the body quick energy. For those who exercise or participate in sports competitions, bananas are an ideal food. Bananas are very effective in relieving fatigue and restoring body energy after exercise.

Improves digestion

The fiber in bananas improves digestion and helps relieve constipation. Regular consumption of bananas improves digestion and reduces other digestive problems.

★Helps control blood pressure

Bananas are high in potassium, which helps regulate blood pressure. Potassium plays an effective role in preventing heart disease and improves heart function. Eating bananas regularly reduces the risk of high blood pressure and reduces the risk of heart disease.

★Improving mental health

Bananas contain an amino acid called tryptophan, which increases the production of serotonin in the body. Serotonin is a 'happy hormone', which brings happiness and relaxation to the brain. As a result, eating bananas improves the mind and reduces depression or anxiety.

★Helps in weight control

Although bananas contain natural sugars, they are low in fat. Hence it helps in weight control. Those who want to maintain a healthy weight can eat bananas with meals or as snacks.

Banana Cultivation

Banana cultivation is widespread in various regions of South Asia including Bangladesh. Banana plants generally grow well in warm and humid climates. Loamy soil or sandy-loamy soil is most suitable for bananas. Waterlogging should be avoided in banana cultivation, as excess water can damage the plant.

Cultivation method

Banana plants grow from seedlings or rhizomes, not seeds. Banana seedlings are generally planted in the rainy season or early winter. Once a banana tree is planted, the fruit can be collected from it in the following year as well. Banana plants grow rapidly, and bear fruit within 10-12 months. Adequate irrigation and application of necessary organic fertilizers are important for plant growth and yield.

Collection of fruits

Banana fruit usually starts ripening after 9-10 months. But the fruits are collected from the trees before they are fully ripe and they are left to ripen for a few days. Banana is easily ripened and marketable, making it a profitable crop for farmers.

Banana is rich in nutrients and is a very beneficial fruit for the body. It is readily available, cheap, and healthy. Bananas help boost energy, improve digestion, regulate blood pressure, and improve mental health. Banana is easy to grow and is an ideal crop for the climate of Bangladesh. So banana is considered not only as food but also as an important cash crop.

কলা বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ফল, যা সারা বছর জুড়েই সহজলভ্য। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ। বাংলাদেশের আবহাওয়ায় কলার চাষ ব্যাপকভাবে করা হয় এবং এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফল। কলা শুধু খাওয়ার জন্য নয়, বিভিন্ন রান্না ও মিষ্টান্ন তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়। সহজলভ্য হওয়ার পাশাপাশি, এর উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ এ ফলটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।

কলার পুষ্টিগুণ

কলা পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবার রয়েছে। কলায় প্রধানত পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, এবং ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়। কলা উচ্চমাত্রায় কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ, যা দ্রুত শক্তি প্রদান করে। এছাড়াও কলায় প্রাকৃতিক চিনি, যেমন: গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ ও সুক্রোজ থাকে, যা শরীরকে দ্রুত শক্তি জোগায়।

কলার উপকারিতা

★শক্তি বাড়ায়

কলা প্রাকৃতিক শর্করায় সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে এটি শরীরকে দ্রুত শক্তি দেয়। যারা শরীরচর্চা করেন বা ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেন, তাদের জন্য কলা একটি আদর্শ খাবার। ব্যায়ামের পর ক্লান্তি দূর করতে এবং শরীরের শক্তি পুনরুদ্ধারে কলা অত্যন্ত কার্যকর।

★হজমশক্তি উন্নত করে

কলায় থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে। নিয়মিত কলা খেলে হজমশক্তি ভালো থাকে এবং পাচনতন্ত্রের অন্যান্য সমস্যা কমে যায়।

★রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক

কলায় পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পটাশিয়াম হৃদরোগ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে এবং হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা উন্নত করে। নিয়মিত কলা খেলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়।

★মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি

কলায় ট্রিপটোফ্যান নামক একটি অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে, যা শরীরে সেরোটোনিনের উৎপাদন বাড়ায়। সেরোটোনিন একটি ‘হ্যাপি হরমোন’, যা মস্তিষ্কে ভালোলাগা এবং স্বস্তি এনে দেয়। ফলে কলা খেলে মন ভালো থাকে এবং হতাশা বা উদ্বেগ কমে যায়।

★ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক

যদিও কলায় প্রাকৃতিক শর্করা রয়েছে, তবে এতে ফ্যাটের পরিমাণ কম। তাই এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। যারা স্বাস্থ্যসম্মত ওজন বজায় রাখতে চান, তারা খাবারের সাথে বা স্ন্যাকস হিসেবে কলা খেতে পারেন।

কলার চাষাবাদ

কলার চাষ বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপকভাবে হয়ে থাকে। কলার গাছ সাধারণত উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ায় ভালোভাবে জন্মায়। দোআঁশ মাটি বা বেলে-দোআঁশ মাটি কলার জন্য সবচেয়ে উপযোগী। কলার চাষে জলাবদ্ধতা এড়ানো উচিত, কারণ অতিরিক্ত পানির কারণে গাছের ক্ষতি হতে পারে।

চাষ পদ্ধতি

কলার বীজ নয়, চারা বা রাইজোম থেকে গাছ জন্মে। সাধারণত বর্ষাকাল বা শীতকালের শুরুর দিকে কলার চারা রোপণ করা হয়। একবার কলার গাছ রোপণ করলে পরবর্তী বছরেও তা থেকে ফল সংগ্রহ করা যায়। কলার গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পায়, এবং ১০-১২ মাসের মধ্যেই ফল দেয়। গাছের বৃদ্ধি ও ফলনের জন্য পর্যাপ্ত সেচ এবং প্রয়োজনীয় জৈব সার প্রয়োগ করা গুরুত্বপূর্ণ।

ফল সংগ্রহ

কলার ফল সাধারণত ৯-১০ মাস পর পাকতে শুরু করে। তবে সম্পূর্ণ পাকার আগে গাছ থেকে ফল সংগ্রহ করা হয় এবং সেগুলো কয়েকদিন রেখে পাকানো হয়। কলা সহজেই পেকে যায় এবং বাজারজাত করা যায়, যা কৃষকদের জন্য একটি লাভজনক ফসল।

কলা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এবং এটি শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি ফল। এটি সহজলভ্য, সস্তা, এবং স্বাস্থ্যসম্মত। কলা শক্তি বাড়াতে, হজমশক্তি উন্নত করতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়ক। কলা চাষ সহজ এবং বাংলাদেশের জলবায়ুর জন্য এটি একটি আদর্শ ফসল। তাই কলা শুধু খাদ্য হিসেবেই নয়, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসল হিসেবেও বিবেচিত।

IMG_20241003_171022032.jpeg

Ata, also called sharifa or fragrant fruit, is a popular and delicious fruit of Bangladesh. The outer covering of the fruit is filled with scaly segments, while the white interior is soft and sweet. Apart from its sweet taste, ata is packed with nutrients and has various health benefits.

Nutrient value of Atar

Ata contains many nutrients which are very beneficial for the body. It contains elements like vitamin A, vitamin C, potassium, magnesium and calcium. Ata is also high in fiber, which aids in digestion. It is also rich in energy-giving natural carbohydrates.

Nutrients

Vitamin C: Boosts immunity and protects the body from various viruses and bacteria.

Vitamin A: Improves vision and maintains healthy skin and hair.

Potassium: Helps regulate blood pressure and reduces the risk of heart disease.

Magnesium: Strengthens bone structure and improves muscle function.

Benefits of Atar

★Increased immunity

Vitamin C present in ata helps to increase the immunity of the body. It keeps the body healthy by fighting colds and other infections. Regular consumption of ata increases immunity and protects the body from free radicals.

Improves digestion

Ata is rich in fiber, which helps improve digestion. It relieves constipation and improves the functioning of the digestive system. Eating ata reduces stomach discomfort and eases digestion.

★Eye care

Vitamin A present in ata helps in improving eyesight. It protects eye cells and prevents age-related eye problems. Eating ata regularly keeps the eyes healthy and reduces the risk of night blindness.

★Helps in weight control

Since ata is low in fat and high in fiber, it helps in weight control. Those who want to lose weight, they can include ata in their diet. Besides, eating ata keeps the stomach full for a long time, which reduces the tendency to overeat.

★Bone care

Ata contains magnesium and calcium, which help in bone formation and strength. It prevents bone loss and keeps bones strong. Bones become weak with age, so regular consumption of ata improves bone health.

আতা, যাকে শরিফা বা সুগন্ধি ফলও বলা হয়, বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ও সুস্বাদু ফল।এ ফলটির বাইরের আবরণ কাঁচি কাঁচি অংশে ভরা, আর ভেতরের সাদা অংশ নরম ও মিষ্টি। মিষ্টি স্বাদের পাশাপাশি আতা পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।

আতার পুষ্টিগুণ

আতায় প্রচুর পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এতে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের মতো উপাদান রয়েছে। আতায় ফাইবারের পরিমাণও বেশি থাকে, যা হজমে সহায়ক। এছাড়াও এটি শক্তি প্রদানকারী প্রাকৃতিক শর্করা সমৃদ্ধ।

পুষ্টি উপাদান

ভিটামিন সি: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরকে বিভিন্ন ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

ভিটামিন এ: দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে এবং ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখে।

পটাশিয়াম: রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

ম্যাগনেসিয়াম: হাড়ের গঠন শক্তিশালী করে এবং পেশীর কার্যকারিতা উন্নত করে।

আতার উপকারিতা

★রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি

আতায় থাকা ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি সর্দি-কাশি এবং অন্যান্য সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীরকে সুস্থ রাখে। নিয়মিত আতা খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং শরীরের ফ্রি র‍্যাডিকেলস থেকে সুরক্ষা মেলে।

★হজমশক্তি উন্নত করে

আতায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজমশক্তি উন্নত করতে সহায়ক। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং পাচনতন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করে। আতা খেলে পেটের অস্বস্তি কমে যায় এবং হজম প্রক্রিয়া সহজ হয়।

★চোখের যত্ন

আতায় থাকা ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি চোখের কোষগুলোকে সুরক্ষিত রাখে এবং বার্ধক্যজনিত চোখের সমস্যা প্রতিরোধ করে। নিয়মিত আতা খেলে চোখ ভালো থাকে এবং রাতকানা রোগের ঝুঁকি কমে যায়।

★ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক

আতায় ফ্যাটের পরিমাণ কম এবং ফাইবারের পরিমাণ বেশি হওয়ায় এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। যারা ওজন কমাতে চান, তারা আতা তাদের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। এছাড়া আতা খেলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকে, যা অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায়।

★হাড়ের যত্ন

আতায় ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে, যা হাড়ের গঠন ও শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক। এটি হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করে এবং হাড়কে মজবুত রাখে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে হাড় দুর্বল হয়ে যায়, তাই নিয়মিত আতা খেলে হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE BLURT!