বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
প্রিয় বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি টপেক্স নিয়ে আলোচনা করব আর তা হল সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠা আল্লাহতালার বিশেষ নিয়ামত
প্রিয় বন্ধুরা আপনি যদি সকালবেলা ঘুম থেকে না উঠেন তাহলে আপনি আল্লাহ তাআলার নিয়ামত পুরোপুরি উপভোগ করতে পারবেন না। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন দ্বীনের প্রথম ভাগে যে নিয়ামত দিয়েছেন তা অত্যন্ত আমাদের জন্য উপকারী। আমরা আমাদের সকালবেলাটাকে ঘুমিয়ে পার করে দেই কিন্তু মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের জন্য সুন্দর একটি ব্যবস্থা রেখেছেন তা হল ফজর সালাত
শয়তান আমাদেরকে গ্রাস করে রাখে আমাদেরকে ঘুম পাড়িয়ে রাখে যাতে করে আমরা ফজর সালাতটা মিস করি যাতে আমরা আল্লাহ তাআলার নিয়ামতটা উপভোগ করতে না পারি শয়তান বিভিন্নভাবে আমাদেরকে ভুলিয়ে ভুলিয়ে রাখে আর আমরা অলসতা করে আল্লাহর হুকুম অমান্য করে সকালবেলা শুয়ে থেকে ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিন।
জীবনের সফলতা পেতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে ফজরের পূর্বে ঘুম থেকে উঠে ফজর সালাত আদায় করে আমাদের কাজে নেমে পড়তে হবে। কারণ আল্লাহ রব্বুল আলামীন বলেছেন যে তোমরা নামাজ শেষ করে রিজিকের সন্ধানে বের হয়ে পড়ো। কিন্তু আমরা মানুষ অধিকাংশ সময়ই ফজর সালাত আদায় না করে আমরা আল্লাহর হুকুম অমান্য করে ঘুমিয়ে থেকে এই সময়টাকে কাটিয়ে দিই।
আল্লাহ তাআলার সবচেয়ে বড় নিয়ামত হল সুস্থতা আমরাও সুস্থ থাকে কাজে লাগাই না যখন অসুস্থ হয়ে যাই তখন আমরা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কে বেশি বেশি করে ডাকার চেষ্টা করি কিন্তু সুস্থ থাকা অবস্থায় আমরা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের হুকুম পালন করি না। অবশ্যই আমাদেরকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের হুকুম যথাযথভাবে পালন করা দরকার।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে অজু করে যখন সালাত আদায় করার জন্য মসজিদের পানে রওনা হয় তখন একটি জান্নাতি হাওয়া শরীরে মনে মস্তিষ্কে এসে লাগে এবং সেই হওয়াটা এত মজার হওয়া যে ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। সূর্যোদয়ের পূর্বে যে বাতাসটা প্রবাহমান থাকে সেটি বলে যাই যে জান্নাতী একটি বাতাস। এই বাতাসে মন মেজাজ মস্তিষ্ক সব কিছু সচল হয়ে যাই এবং অন্যরকম একটা অনুভূতি জাগ্রত হয়।
সোর্স
আসুন আমরা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নেয়ামত উপভোগ করি এবং তার হুকুম পালন করি
আজকের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।