এম পক্স (Mpox): একটি বিস্তারিত পরিচিতি
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
প্রিয় পাঠক! আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। কেমন আছেন সবাই আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া এবং আল্লাহর অসীম রহমতে ভালো আছি। আজকের আলোচনা ""এম পক্স" একটি ভাইরাসজনিত রোগ" নিয়ে।
Copyright free image download from pixabay.com
"এম পক্স" একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা পূর্বে "মাঙ্কিপক্স" নামে পরিচিত ছিল। এটি একটি বিরল সংক্রামক রোগ যা সাধারণত পশুদের মধ্যে পাওয়া যায়, তবে মানুষের মধ্যেও সংক্রমণ ঘটতে পারে। প্রথম এই ভাইরাসটি ১৯৫৮ সালে ডেনমার্কের একদল গবেষক মাকড়শার মধ্যে আবিষ্কার করেছিলেন, এজন্য এর নামকরণ করা হয়েছিল "মাঙ্কিপক্স"। তবে ২০২২ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর নাম পরিবর্তন করে "এম পক্স" রাখে, কারণ "মাঙ্কিপক্স" নামটি বিভ্রান্তি ও সামাজিক প্রতিকূলতা সৃষ্টি করছিল।
এম পক্সের কারণ
এম পক্স একটি ডিএনএ ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট, যা Poxviridae পরিবার এবং Orthopoxvirus জেনাসের অন্তর্ভুক্ত। এই ভাইরাসটি ভ্যারিওলা ভাইরাস, ভ্যাক্সিনিয়া ভাইরাস, এবং কাউপক্স ভাইরাস এর মতো একই পরিবারে আসে। মানুষের মধ্যে এই রোগের সংক্রমণ মূলত সংক্রামিত প্রাণী বা অন্য মানুষের সাথে ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শের মাধ্যমে ঘটে। ভাইরাসটি দেহের ক্ষত, শ্বাসযন্ত্রের স্রাব, বা আক্রান্ত প্রাণীর মাংসের মাধ্যমে ছড়াতে পারে।
উপসর্গ
এম পক্সের উপসর্গগুলি সাধারণত সংক্রমণের ৭-১৪ দিন পর দেখা যায়, তবে এটি ৫-২১ দিনও হতে পারে। এর সাধারণ উপসর্গগুলো হল:
- জ্বর: এটি সাধারণত প্রথম উপসর্গ হিসেবে দেখা যায়।
- মাথাব্যথা ও পেশীতে ব্যথা: শারীরিক দুর্বলতা এবং অস্থি ও পেশীতে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
- শরীরে ফুসকুড়ি: জ্বরের পর ১-৩ দিনের মধ্যে ফুসকুড়ি দেখা দেয়, যা মুখ থেকে শুরু হয়ে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। এই ফুসকুড়ি পানিভর্তি ফোসকার মতো হতে পারে এবং পরে এটি ক্ষত ও চর্মক্ষরণে পরিণত হয়।
- লসিকা গ্রন্থির ফোলা: ঘাড়, কুঁচকি ও গলায় লসিকা গ্রন্থি ফুলে ওঠা স্বাভাবিক।
রোগ নির্ণয়
এম পক্সের রোগ নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, যার মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ হল:
- ক্লিনিকাল নিরীক্ষা: রোগের উপসর্গ দেখে প্রাথমিকভাবে রোগ নির্ণয় করা হয়।
- পলিমেরেজ চেইন রিঅ্যাকশন (PCR): ভাইরাসটির জেনেটিক উপাদান শনাক্ত করতে এটি ব্যবহৃত হয়।
- এলিসা (ELISA): ভাইরাসের প্রতি শরীরের উৎপাদিত অ্যান্টিবডি নির্ণয়ের জন্য এই টেস্ট ব্যবহার করা হয়।
Copyright free image download from pixabay.com
চিকিৎসা
এম পক্সের কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। রোগটি সাধারণত নিজের থেকেই সেরে যায়। তবে উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান করা হয়:
- প্রতিষেধক: জ্বর বা ব্যথা কমানোর জন্য প্যারাসিটামল ইত্যাদি ওষুধ ব্যবহৃত হয়।
- চর্মের যত্ন: ফুসকুড়ি এবং ক্ষতের জন্য অ্যান্টিসেপটিক ব্যবহার করা যেতে পারে।
- হাসপাতালে ভর্তি: মারাত্মক ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি ও আইসোলেশন প্রয়োজন হতে পারে।
প্রতিরোধ ও সাবধানতা
এম পক্স প্রতিরোধে কিছু সাবধানতা মেনে চলা উচিত:
- সংক্রামিত প্রাণীর সাথে সরাসরি সংস্পর্শ এড়ানো: বিশেষ করে বন্যপ্রাণীর মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকা।
- ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা: নিয়মিত হাত ধোয়া এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা।
- টিকা গ্রহণ: ইমভ্যানেক্স বা জেনিওস নামক টিকা এম পক্সের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়।
এম পক্স রোগ নির্ণয়ের জন্য কয়েকটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে, যেগুলির মাধ্যমে এই রোগটি সঠিকভাবে শনাক্ত করা যায়। এগুলি হলো:
১. ক্লিনিকাল নিরীক্ষা (Clinical Examination)
প্রথমত, রোগীর শারীরিক উপসর্গ পর্যবেক্ষণ করা হয়। বিশেষ করে যদি রোগীকে জ্বর, শরীরে ফুসকুড়ি, লসিকা গ্রন্থির ফোলা, মাথাব্যথা, এবং পেশীতে ব্যথার মতো উপসর্গগুলো দেখা যায়, তাহলে ডাক্তার প্রাথমিকভাবে এম পক্স সন্দেহ করতে পারেন। তবে উপসর্গগুলো অন্য রোগের সাথেও মিলে যেতে পারে, তাই আরও নির্দিষ্ট পরীক্ষার প্রয়োজন হয়।
২. পলিমেরেজ চেইন রিঅ্যাকশন (PCR) পরীক্ষা
এটি এম পক্স রোগ নির্ণয়ের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এবং প্রায়শই ব্যবহৃত পদ্ধতি। এই পরীক্ষার মাধ্যমে রোগীর শরীর থেকে সংগৃহীত নমুনায় ভাইরাসের ডিএনএ সনাক্ত করা হয়। সাধারণত, ফুসকুড়ি থেকে সংগৃহীত নমুনা (যেমন, ফোসকা বা ক্ষতের তরল বা টিস্যু) PCR পরীক্ষার জন্য ব্যবহার করা হয়। এই পরীক্ষা ভাইরাসটির উপস্থিতি নিশ্চিতভাবে নির্ধারণ করতে সাহায্য করে।
৩. এলিসা (ELISA) এবং আইজিএম ও আইজিজি (IgM & IgG) অ্যান্টিবডি টেস্ট
এলিসা পরীক্ষার মাধ্যমে রোগীর রক্তে ভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরের উৎপাদিত অ্যান্টিবডি সনাক্ত করা যায়।
- IgM অ্যান্টিবডি: এই অ্যান্টিবডি সাধারণত সংক্রমণের প্রথম দিকেই দেখা যায়, যা নির্দেশ করে যে রোগী বর্তমানে সংক্রমিত।
- IgG অ্যান্টিবডি: এই অ্যান্টিবডি পরে উপস্থিত হয় এবং সাধারণত রোগী সংক্রমণ থেকে সেরে উঠছে কিনা তা নির্দেশ করে।
৪. ভাইরাস কালচার (Virus Culture)
এটি একটি আরও উন্নত পদ্ধতি, যেখানে ল্যাবরেটরিতে রোগীর নমুনা থেকে ভাইরাসটি আলাদা করা এবং বৃদ্ধি করা হয়। তবে এই পদ্ধতিটি সময়সাপেক্ষ এবং সব ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় না।
৫. ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপি (Electron Microscopy)
এই পদ্ধতিতে, সংক্রমিত টিস্যু বা তরল থেকে ভাইরাসের কণা মাইক্রোস্কোপের মাধ্যমে সরাসরি দেখা যায়। এটি খুবই নির্ভুল পদ্ধতি, তবে ব্যয়বহুল এবং সব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় না।
হোমিওপ্যাথি একটি প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি, যা প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে রোগের চিকিৎসা করে। এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে এম পক্সের মতো ভাইরাসজনিত রোগের জন্যও কিছু ওষুধ প্রস্তাব করা হয়। তবে, মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে হোমিওপ্যাথি বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি নয় এবং এর কার্যকারিতা সম্পর্কে সমালোচনা রয়েছে। এম পক্সের মতো রোগের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
হোমিওপ্যাথির মূলনীতি
হোমিওপ্যাথির প্রধান দুটি মূলনীতি হল:
- "Similia Similibus Curantur" বা "সমান সমানে আরোগ্য করে": অর্থাৎ যে উপাদানগুলি স্বাভাবিক অবস্থায় সুস্থ মানুষের মধ্যে যেসব উপসর্গ তৈরি করতে পারে, সেগুলি ক্ষুদ্র মাত্রায় ব্যবহার করে সেই উপসর্গগুলির চিকিৎসা করা হয়।
- মাত্রার সঠিক নির্বাচন: ওষুধগুলো অনেকবার পাতলা করা হয় এবং সেই সাথে ঝাঁকিয়ে বা মেশানো হয়। এটি ওষুধের কার্যকারিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে করা হয় বলে বিশ্বাস করা হয়।
এম পক্সের জন্য সম্ভাব্য হোমিওপ্যাথি ওষুধ
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় রোগের উপসর্গ অনুযায়ী বিভিন্ন ওষুধ ব্যবহার করা হয়। এম পক্সের জন্য নিচের কয়েকটি ওষুধ প্রায়ই উল্লেখ করা হয়:
- Rhus Toxicodendron: ফুসকুড়ি, চুলকানি ও বেদনাদায়ক ফোসকার জন্য ব্যবহৃত হয়।
- Antimonium Crudum: চামড়ার ফুসকুড়ি, পুঁজযুক্ত ফোসকা এবং ত্বকের অন্যান্য সমস্যা কমাতে ব্যবহৃত হয়।
- Arsenicum Album: দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট, এবং শীতলতা অনুভব করলে এই ওষুধ দেওয়া হয়।
- Sulphur: চুলকানি এবং ত্বকের ফুসকুড়ি তীব্র হলে Sulphur ব্যবহার করা হতে পারে।
সতর্কতা
এম পক্সের মতো গুরুতর সংক্রমণের ক্ষেত্রে শুধু হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা অবলম্বন করা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। বিজ্ঞানভিত্তিক চিকিৎসার গুরুত্ব অপরিসীম, বিশেষ করে এমন রোগের ক্ষেত্রে যা জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে। হোমিওপ্যাথি ওষুধ গ্রহণের আগে অবশ্যই একজন চিকিৎসক বা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত, এবং প্রয়োজন হলে প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
এম পক্সের (Mpox) জন্য এলোপ্যাথিতে নির্দিষ্ট কোন ওষুধ নেই, তবে রোগের উপসর্গ উপশম ও জটিলতা প্রতিরোধের জন্য বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এলোপ্যাথি, যা আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান হিসেবে পরিচিত, প্রধানত রোগের লক্ষণগুলি প্রশমিত করা, শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো, এবং সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে মনোনিবেশ করে। নিচে এম পক্সের জন্য এলোপ্যাথি চিকিৎসার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হলো:
১. লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা (Symptomatic Treatment)
এলোপ্যাথি চিকিৎসায় রোগের উপসর্গ অনুযায়ী বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়:
- জ্বর ও ব্যথা নিয়ন্ত্রণ: জ্বর ও ব্যথা কমানোর জন্য প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন ব্যবহার করা হয়।
- চুলকানি ও ফুসকুড়ির চিকিৎসা: চুলকানি প্রশমিত করতে অ্যান্টিহিস্টামিন ব্যবহার করা হয়। এছাড়া ফুসকুড়ি ও ত্বকের ক্ষত প্রতিরোধে অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম বা মলম ব্যবহার করা হয়।
- শরীরের পানি শূন্যতা পূরণ: রোগী যদি পানিশূন্যতায় ভোগেন, তবে স্যালাইন বা ইলেক্ট্রোলাইট সলিউশন দেওয়া হয়।
২. অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ
যদিও এম পক্সের জন্য নির্দিষ্ট কোনো অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ নেই, তবে কিছু ওষুধ ব্যবহৃত হতে পারে:
- টেকোভিরিম্যাট (Tecovirimat): এটি একটি অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ যা বিশেষত পক্সভাইরাসগুলির বিরুদ্ধে কার্যকর। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এম পক্সের জন্য জরুরি ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে।
- ব্রিঞ্চিডোফোভির (Brincidofovir): এই ওষুধটিও পক্সভাইরাসগুলির বিরুদ্ধে কার্যকর এবং গুরুতর রোগীদের ক্ষেত্রে বিবেচিত হতে পারে।
৩. সেকেন্ডারি সংক্রমণ প্রতিরোধ
এম পক্সের রোগীদের ক্ষেত্রে চামড়ার ক্ষত বা ফোসকা থেকে সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধ ও চিকিৎসার জন্য:
- অ্যান্টিবায়োটিক: সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের ক্ষেত্রে উপযুক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ প্রয়োগ করা হয়।
৪. আইসোলেশন ও সাপোর্টিভ কেয়ার
- আইসোলেশন: রোগটি অত্যন্ত সংক্রামক হওয়ায় রোগীকে আইসোলেশন (একাকী) রাখা হয়, যাতে অন্যদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে না পারে।
- সাপোর্টিভ কেয়ার: রোগীকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম, পুষ্টিকর খাদ্য, এবং পরিচ্ছন্ন পরিবেশে রাখা হয়। গুরুতর ক্ষেত্রে, হাসপাতালে ভর্তি করে সাপোর্টিভ কেয়ার প্রদান করা হয়।
৫. টিকা
এম পক্স প্রতিরোধে কিছু টিকা ব্যবহৃত হতে পারে, যা পূর্বে গুটিবসন্তের (Smallpox) বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছিল।
- ইমভ্যানেক্স (Imvanex) বা জেনিওস (Jynneos): এই টিকাগুলি পক্সভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর এবং এম পক্সের সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যবহৃত হতে পারে। যারা এম পক্সে আক্রান্ত হওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে আছেন, তাদের এই টিকা দেওয়া হয়।
৬. চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী অন্যান্য ব্যবস্থা
রোগীর অবস্থা বিবেচনা করে প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন সাপোর্টিভ ও থেরাপিউটিক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে, যেমন অক্সিজেন থেরাপি, ইনটেনসিভ কেয়ার সাপোর্ট ইত্যাদি।
Source
উপসংহার
উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিগুলোর মধ্যে PCR এবং অ্যান্টিবডি টেস্ট সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়, কারণ এই পদ্ধতিগুলো দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য ফলাফল প্রদান করতে সক্ষম। তবে সঠিক রোগ নির্ণয়ের জন্য একাধিক পদ্ধতির সমন্বয়ও প্রয়োজন হতে পারে, বিশেষ করে যদি উপসর্গগুলি স্পষ্ট না হয় বা রোগটি অন্য কোন রোগের সাথে মিলিয়ে যায়।
এম পক্স একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে যদি এটি ঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ না করা হয়। সচেতনতা বৃদ্ধি, সঠিক রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা নিশ্চিত করা, এবং প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বন করা এর প্রাদুর্ভাব কমানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্য সংস্থাগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টা ও মানুষের সচেতনতা এম পক্সের মতো রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়ক হতে পারে।
ধন্যবাদ আজকের আর্টিকেল পড়ার জন্য।
Telegram and Whatsapp