মাসিক সমন্বয় সভায় গণশিক্ষার গুরুত্ব নিয়ে মাওলানা মাহবুবুর রহমানের মূল্যবান বক্তব্য
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
প্রিয় পাঠক! আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। কেমন আছেন সবাই আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া এবং আল্লাহর অসীম রহমতে ভালো আছি। আজকের আলোচনা "মাসিক সমন্বয় সভায় গণশিক্ষার গুরুত্ব নিয়ে মাওলানা মাহবুবুর রহমানের মূল্যবান বক্তব্য" নিয়ে।
আজ চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো মাসিক সমন্বয় সভা। সভায় টাউন মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মাহবুবুর রহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সম্মানিত উপপরিচালক জনাব গোলাম মোস্তফা এবং অন্যান্য কর্মকর্তা ও ওলামা-মাশায়েখগণ উপস্থিত ছিলেন। এই সভাটি ছিল ধর্মীয় দিক নির্দেশনা ও গণশিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করার একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে ইসলামের মূল্যবোধ ও শিক্ষা বিস্তারের উপরে গুরুত্বারোপ করা হয়।
সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে টাউন মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মাহবুবুর রহমান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে আলোচনা করেন—গণশিক্ষা। তিনি তার বক্তব্যের শুরুতে ইসলামিক শিক্ষার গুরুত্ব ও এর প্রভাব সম্পর্কে আলোকপাত করেন। ইসলাম মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে জ্ঞান অর্জনের প্রতি গুরুত্ব দেয়, আর গণশিক্ষা সেই লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। তিনি বলেন, "ইসলাম শুধু ধর্মীয় নয়, বরং সামাজিক ও মানবিক শিক্ষা দিয়েছে, যেখানে জ্ঞান চর্চা ও শিক্ষার মাধ্যমে উন্নতি করা হয়।"
মাওলানা মাহবুবুর রহমান বলেন, "গণশিক্ষা শুধুমাত্র স্কুল-কলেজের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। মসজিদ, মাদ্রাসা এবং ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও এর অংশ। আমাদের সমাজে শিক্ষার ব্যাপকতা বাড়াতে হলে শুধু আনুষ্ঠানিক শিক্ষা নয়, ধর্মীয় শিক্ষাকেও সমানভাবে গুরুত্ব দিতে হবে।" তিনি আরও উল্লেখ করেন, পরিবার ও সমাজের প্রতিটি স্তরে শিক্ষার প্রসার ঘটানোর জন্য আমাদের সকলের সমন্বিত প্রয়াস প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, "গণশিক্ষা কেবলমাত্র একটি জাতির জ্ঞান ও দক্ষতার পরিসর বাড়ায় না, বরং এটি একটি প্রজন্মের মানসিকতা ও নৈতিকতার উপরেও প্রভাব ফেলে।" মাওলানা মাহবুবুর রহমান তার বক্তব্যে বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, শিক্ষার প্রসারে শুধু সরকার নয়, বরং সমাজের সকল শ্রেণির মানুষকেই উদ্যোগী হতে হবে। মসজিদগুলোকে কেবল নামাজ আদায়ের স্থান হিসেবে সীমাবদ্ধ না রেখে, সেগুলোকে শিক্ষা ও নৈতিকতার উন্নয়নে একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
সোর্স
সভায় উপস্থিত অন্যান্য ওলামা-মাশায়েখ ও কর্মকর্তাগণও গণশিক্ষার ওপর মাওলানা মাহবুবুর রহমানের বক্তব্যের সাথে একমত পোষণ করেন এবং তার বক্তব্যকে বাস্তবায়নের জন্য আরও কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক জনাব গোলাম মোস্তফা তার সমাপনী বক্তব্যে গণশিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে মসজিদভিত্তিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ব্যক্ত করেন।
মাসিক সমন্বয় সভাটি ইসলামী শিক্ষার প্রচার ও প্রসারে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
ধন্যবাদ আজকের আর্টিকেল পড়ার জন্য।