এর দোকানে লকলকে সাপ টাঙিয়ে রাখা হয়। ক্রেতারা চাইলে পছন্দমতো সাপ নামিয়ে কেটেকুটে সেলোফেনের প্যাকেটে ভরে দেয়। সাপ রান্নার জন্য বিশেষ ধরনের মশলাও কিনতে পাওয়া যায়। সাপের চিত্র বিচিত্র চামড়া থেকে সৌখিন লোকদের জন্য ব্যাগও বানানো হয়ে থাকে। সাপ রফতানিও একটা ভালো ব্যবসা। প্রতি বছর ইতালি আর বলকান দ্বীপগুলো প্রচুর সাপ রফতানি। করে। তাদের বেশির ভাগই আবার ঘাসি সাপ ।
Sorsce
সাপ ধরতে পারাটাও কিন্তু কম কষ্টের নয়। যারা এসব ব্যাপারে অভিজ্ঞ তারা মাটিতে সাপের চলে যাবার দাগ দেখেই বুঝতে পারে ওরা কোথায় আছে । এমনি করে সেই দাগকে অনুসরণ করে করে। তারা গিয়ে হাজির হয় কোনো গর্ত বা ঝোপের কাছে। তারপর অনেকটা চিমটার মতো দেখতে কাঠি বের করে ঝানু হাতের কারসাজিতে ক্যাঁচ করে সাপ ধরে ফেলে। অবশ্য এ পদ্ধতিটা এশিয়ার বিভিন্ন দেশে প্রচলিত ।
সাপের বিষদাঁতের নিচেই ছোট একটা থলি থাকে । তাতে আছে মারাত্মক টলটলে বিষ। ধরার পরেই ওদের বিষদাঁত ভেঙ্গে দেয়া হয়। সাঁওতালরা সাপ ধরে মুখটাকে মুঠো করে ধরে। তারপর মাথাটা চেপে ধরে গালের দু'পাশের দুটো বিষদাঁত আর বিষের থলি কেট ফেলে দেয় ছুরি দিয়ে। বিষাক্ত সাপ কামড়ালেই ব্রহ্মতালু পর্যন্ত ইলেকট্রিক শক লাগার মতন লাগাবে। তক্ষুণি সেই স্থান বেঁধে ফেলা দরকার ।
রহস্য সাহিত্যে সাপের অনেক কাণ্ডকারখানা রীতিমতো ভয় পাইয়ে দেয় । বিশ্ববিখ্যাত গোয়েন্দা কাহিনীর স্রষ্টা স্যার আর্থার কোনান ডয়েল তাঁর বেশ কটি কাহিনীতে সাপ দিয়ে সুকৌশলে মানুষ হত্যা করার কথা বর্ণনা করেছেন । আফ্রিকার দুষ্প্রাপ্য সাপ পুষতো এক খুনে ভদ্রলোক। আর সেই সব সাপ দিয়ে হিংস্রভাবে মানুষ হত্যা করত।
দীর্ঘদিন ধরে সাপের স্বভাব চরিত্র সম্পর্কে গবেষণা করে। একজন জানিয়েছেন চন্দ্রবোড়া মানুষ দেখতে পেলেই চিকচিক করে জিভ বার করে। যদি কোঁচকাতে কোঁচকাতে পিছনে হাঁটে তবে খুব সাবধান। দু'তিন হাত পর্যন্ত লাফ দিয়ে ছোবল মারবে।