মেসোজয়িক মহাকালে পৃথিবীর স্থলভাগ ছিল ডাইনোসরদের দখলে। অন্যদিকে বিশাল সামুদ্রিক এলাকা ছিল অন্যান্য সরীসৃপদের দখলে।
ট্রায়াসিক যুগে ডাঙার সরীসৃপদের কোনো কোনো গোষ্ঠী পানিতে ফিরে যায় । সেখানকার জলচর জীবনে অভ্যস্ত হয় । এই শ্রেণির প্রাণিদের পা ও লেজ দাঁড়ের মতো গড়নে রূপান্তরিত হয়। যেগুলো মাছের পাখনা ও পুচ্ছের মতো কাজ করত। এদের অনেকের সমুদ্রের তীরে এসে সুরক্ষিত নীড়ে ডিম পাড়া সম্ভবপর ছিল না। তাই ওরা সরাসরি সন্তান প্রসব করত ।
এ শ্রেণির প্রাণি হলো ইকথিয়াসর ও পিসিওসর। এদের জীবাশ্ম প্রথম আবিষ্কার করেন মেরি অ্যানিং (১৭৯৯-১৮৪৭)। ইংল্যান্ডের ডরসেট উপকূলের চুনাপাথরের স্তরে প্রথম এদের জীবাশ্ম কঙ্কাল পাওয়া যায় ।
প্রাণিবিজ্ঞানীদের মতে, ইকথিয়াসর এমন এক সরীসৃপ গোষ্ঠী থেকে এসেছে যারা কখনও পুরোপুরিভাবে স্থলচর হতে পারেনি। এগুলো ছিল বিশালদেহী। কোনো কোনো প্রজাতি ৯ মিটারের মতো লম্বা ছিল। জলজ পরিবেশে এরা আধিপত্য বিস্তার করত। এদের শরীর ছিল মাছের মতো। পৃষ্ঠ-পাখনা দিয়ে এরা ভারসাম্য রক্ষা করত। মাছের মতো শরীরকে আন্দোলিত করে এরা চলাফেরা করত । এরা দ্রুত-সাঁতার কাটতে পারত।
মেসোজয়িক সমুদ্রের বিস্তীর্ণ জলরাশির পানির উপরতলে বাস করত ইকথিয়াসরেরা। ছোট ছোট মাছ খেত ওরা । প্রোটোরেসর নামের জলচর সরীসৃপেরা দেখতে ছিল গিরগিটির
মতো । মাথা ছিল ছোট । ঘাড়টি ছিল অনেক লম্বা । অদ্ভুত আকৃতির এক সরীসৃপ । এদের গলা এমনই লম্বা ছিল যে এদের সামগ্রিক দৈর্ঘ্য দেহ ও লেজের সম্মিলিত দৈর্ঘ্যের প্রায় সমান হতো। লম্বা গলাটির প্রান্তে বসানো ঠোট মাথা। ধারালো দাঁত।
পিসিওসরের শরীর ছিল সাপের মতো লম্বা ও সরু । ছোট পা। এরা পানিতে পেশীগুলোকে দাঁড়ের মতো শক্ত করে পেছনে টানত। আবার সামনে ছুঁড়ে দিত। এভাবে এরা সামনে-পেছনে বয়ে