নাইট্রোজেন ও অক্সিজেনের মিশ্রণ গ্যাসীয় দ্রবণ

in r2cornell •  2 years ago 

নাইট্রোজেন ও অক্সিজেনের মিশ্রণ গ্যাসীয় দ্রবণ। পরস্পর বিক্রিয়া করে না, এমন দুই বা ততোধিক কঠিন পদার্থ যে কোনো অনুপাতে মিশে যে সমত্র কঠিন মিশ্রণ তৈরি করে তাকে কঠিন দ্রবণ বলে।

air_nitrogen_oxygen.jpg
(source)[https://images.app.goo.gl/SNB8cbibTCd6yZYX9]
যেমন— একটি কঠিন দ্রবণ হলো মরিচাহীন ইস্পাত যাতে ৭৩% আয়রন, ১৮% ক্রোমিয়াম, ৮% নিকেল এবং ১% কার্বন আছে। নাবিলা তার তৈরিকৃত দ্বিতীয় প্রবণ চিনি-পানির মিশ্রণ থেকে করা যায়। স্ফটিক প্রস্তুত করবে। স্ফটিক প্রস্তুত করার জন্য প্রথমে নাবিলা দ্রবণটিকে কিছুক্ষণ উত্তপ্ত করবে। অতঃপর মিছরির কয়েকটি দানা চিনির দ্রবণের মধ্যে ছেড়ে দিবে। এরপর দ্রবণটিকে শীতল অবস্থায় কয়েক ঘণ্টা রেখে দিলে দেখা যাবে চিনির দানাগুলো মিছরির দানার ওপর জমা হতে থাকবে। ফলে একসময় মিছরির বড় দানা অর্থাৎ স্ফটিক পাওয়া যাবে

রাতিলা লবণের দ্রবণ এবং নাবিলা চিনির দ্রবণ তৈরি করেছিল। সাধারণ তাপমাত্রায় চিনি লবণের চেয়ে প্রায় ৬ গুণ বেশি দ্রবীভূত হয়। কেননা, চিনির দ্রাব্যতা লবণের চেয়ে অনেক বেশি। পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ২৫° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ১০০ গ্রাম পানি সর্বোচ্চ ৩৬ গ্রাম লবণকে দ্রবীভূত করতে পারে। আবার, একই তাপমাত্রায় ১০০ গ্রাম পানি ২১১.৪ গ্রাম চিনিকে দ্রবীভূত করতে পারে। এ কারণে রাতিলার চেয়ে নাবিলার অসম্পৃক্ত দ্রবণ দ্রুত তৈরি হবে। এরপর উভয়ের প্রস্তুতকৃত অসম্পৃক্ত দ্রবণে অতিরিক্ত দূর যোগ করলে দ্রবণদ্বয় সম্পৃক্ত হবে। দেখলাম, সকল ভাগের শরবত একই রকম মিষ্টি। অর্থাৎ চিনির শরবতে চিনির কণাগুলো পানির সবখানে সুষমভাবে বা সমানভাবে বিন্যস্ত হয়েছে। এখন সমস্বত্ব মিশ্রণের সংজ্ঞা থেকে আমরা জানি, যে সমস্ত মিশ্রণে উপাদানগুলো সুষমভাবে বণ্টিত থাকে এবং একটি উপাদান থেকে অন্য আরেকটি উপাদানকে সহজে আলাদা করা যায় না তাই সমন্বত মিশ্রণ। এখানে চিনির শরবত থেকে উপাদানগুলো সহজে আলাদা করা যায় না। উপরোক্ত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমসত্ব মিশ্রণথেকে পাই A ও B উভয় পাত্রের পানির পরিমাণ সমান। A পাত্রে চিনি মেশানো হয়েছে ২ চামচ এবং B পাত্রে চিনি মেশানো হয়েছে ৪ চামচ। আমরা জানি, পানি ও চিনির মিশ্রণে পানি হলো দ্রাবক এবং চিনি দ্রব্য। এখন A ও B পাত্রে পানির পরিমাণ অর্থাৎ দ্রাবকের পরিমাণ সমান। কিন্তু চিনি অর্থাৎ দ্রব্যের পরিমাণ অসমান হওয়ার কারণে উভয় পাত্রে পানি ও চিনির অনুপাত সমান হবে না। B পাত্রের দ্রব্যের পরিমাণ A পাত্রের দ্রব্যের তুলনায় বেশি বলে B পাত্রের দ্রবণের ঘনত্ব A পাত্রের দ্রবণের ঘনত্বের চেয়ে বেশি হবে ফলে B পাত্রের শরবত A পাত্রের তুলনায় বেশি মিষ্টি হবে। অর্থাৎ A ও B পাত্রের শরবত একই রকম মিষ্টি হবে না।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE BLURT!