অপারেটিং সিস্টেম বা সিস্টেম সফটওয়্যার সিস্টেম সফটওয়্যারের কম্পিউটারকে সচল রাখা হয়।
(source)[https://images.app.goo.gl/wsywX4aNUEkSAYct8]
একটা কম্পিউটারকে যখন সুইচ টিপে অন করা হয়, সাথে সাথে অপারেটিং সিস্টেম তার কাজ শুরু করে দেয়। এটি কম্পিউটারের সব যন্ত্রপাতি পরীক্ষা করে দেখে, সব যন্ত্রপাতিকে একটির সাথে আরেকটির যোগাযোগ করিয়ে দেয়, ইনপুট আউটপুটকে সচল করে। কম্পিউটারে যদি তথ্য জমা রাখতে হয় সেগুলো জমা রাখার ব্যবস্থা করে থাকে অপারেটিং সফটওয়্যার বা ওএস।
অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার: যে সফটওয়্যারের সাহায্যে কম্পিউটার ব্যবহারকারী প্রাত্যাহিক জীবনের বিভিন্ন কাজ করার সুযোগ পায় তাকে অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার বলে। সাধারণত অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারকে সোজাসোজি একটা কম্পিউটারে ব্যবহার করা যায়। না। অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করার পূর্বে কম্পিউটারকে অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার সচল করে নিতে হয়, এই অপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটারকে অনেক কাজের জন্য প্রস্তুত রাখে; যেন দোলা ব্যবহার করতে পারে।
কম্পিউটার স্মৃতিতে ব্যবহারিক প্রোগ্রামকে পড়ে নিতে এবং গঠিত প্রোগ্রামকে পরীক্ষণ ও চালনার জন্য যে সফটওয়্যার প্রয়োজন তাকে অপারেটিং সিস্টেম বলে। অপারেটিং সিস্টেমকে সিস্টেম সফটওয়্যারও বলা হয়। সিস্টেম সফটওয়্যার কম্পিউটারের সকল হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারকে নিয়ন্ত্রণ, তত্ত্বাবধান এবং সফটওয়্যারগুলোর পরিচালনা নিয়ন্ত্রণ ও কার্যকরী করে থাকে। মানুষের মস্তিষ্ক যেভাবে দৈহিক কার্যকলাপকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং বিভিন্ন ধরনের কাজ করিয়ে নেয়, তেমনি সিস্টেম সফটওয়্যারও হার্ডওয়্যার এবং অ্যাপ্লিকেশন
প্রোগ্রামের মধ্যে কাজের যোগসূত্র রচনা করে।অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার কম্পিউটারের সাহায্যে বিভিন্ন কাজ যেমন- লেখালেখি, হিসাব নিকাশ, আঁকাআঁকিসহ বিভিন্ন ব্যবহারিক কাজ করার জন্য বিভিন্ন সফটওয়্যার রয়েছে। এই সফটওয়্যারগুলোকে অ্যাপ্লিকেশান সফটওয়্যার বলা হয়। মূলত অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম হিসেবেই পরিচিত। বাংলায় একে ব্যবহারিক কর্মসূচি বলা হয়। কম্পিউটারে করা যায় এমন প্রায় সব ধরনের ব্যবহারিক কাজের জানাই তৈরি করা প্রোগ্রাম বা কর্মসূচি পাওয়া যায়। এসব প্রোগ্রাম বা কর্মসূচিকেই বলা হয় অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম। মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, ফটোশপ, অটোক্যাড ইত্যাদি অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারের উদাহরণ।