সাপও খুব চালাক । সে ব্যাঙ ধরেই সেই ফুলে ওঠার বেলুন যন্ত্রটি ধারালো দাঁতে ফুটো করে দেয়। পশ্চিম জার্মানির পরিবেশ বিজ্ঞানীরা এখন শুরু করেছেন 'ব্যাঙ
Sorsce
বাঁচাও' আন্দোলন। দেশটি প্রতি বছর বাংলাদেশ, ভারত আর ইন্দোনেশিয়া থেকে গড়ে ৫৩৮ টন ব্যাঙের পা আমদানি করে। সেখানকার হোটেল রেঁস্তোরাতে ব্যাঙের পা দিয়ে সুস্বাদু খাবার তৈরি হয় । যা বেশি জনপ্রিয় । পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, যে সব দোকানে ব্যাঙের পা বিক্রি হয় তাদের মেনু থেকে তা বাতিল হবে । তাদের বক্তব্য, তৃতীয় বিশ্বের যে সব দেশ এসব পা ব্যাপকভাবে রফতানি করছে তারা আসলে নিজেদের ফসলের বিরাট ক্ষতি করছে। একটি প্রাপ্তবয়স্ক ব্যাঙ প্রতি বছর তার সমান ওজনের পোকামাকড় খাচ্ছে। হিসেব করে দেখা গেছে, প্রতি বছর ব্যাঙের পা রফতানি করার জন্য যে বিপুল ব্যাঙ হত্যা করতে হয় তারা ৯০ দিনে ৫৩০০ কোটি পাউন্ড পোকামাকড় খায়। এখন এভাবে নির্বিচারে ব্যাঙ শিকারের ফলে পোকামাকড়ের বংশবৃদ্ধি ঘটছে সাঙ্ঘাতিকভাবে ক্ষতি হচ্ছে ফসলের।
পরিবেশ বিজ্ঞানীরা আরও বলছেন, ব্যাঙের কিছু অস্বাভাবিক আচরণ দেখে বোঝা যায় পানি দূষিত হয়ে যাচ্ছে কিনা। ব্যাঙাচি পর্যায়ে এটা ঘটে থাকে। অস্বাভাবিক ব্যাঙ পরীক্ষা করে একটি নির্দিষ্ট এলাকায় দূষণ চিহ্নিত করা সম্ভব ।
গেছো ব্যাঙ বিখ্যাত ন্যাশনাল জিয়োগ্রাফি চ্যানেল থেকে কয়েক ধরনের বিচিত্র ব্যাঙের উপর নির্মিত প্রামাণ্য ছবি প্রচারিত হয়েছে।
ভেনেজুয়েলার বৃষ্টিভেজা গভীর বনে রয়েছে বড় আকারের গেছো ব্যাঙ । ধূসর বর্ণের এই প্রাণিগুলো থাকে গভীর বনে। এদের হাত ও পায়ের আঙুলের মাথায় রয়েছে গোলাকৃতির চোষক প্যাড। এক ডাল থেকে অন্য ডালে যাওয়ার সময় এগুলো তাদের সাহায্য করে। গেছো ব্যাঙ তার পিঠের শেষ দিকে তৈরি বিশেষ ধরনের এক থলিতে ডিম জমা করে রাখে। সেই থলিতেই ডিম ফুটে জন্মায় ব্যাঙাচি ।