হওয়া শাবকেরা ফুসফুসের সাহায্যে বাতাস থেকে সরাসরি অক্সিজেন গ্রহণ করত।
২৩ কোটি বছর আগের সময়কালকে বলা হয় পারমিয়ান যুগ। এ সময়ে একটি সরীসৃপ প্রজাতি হলো কটিলেসর। সে সময়টিতে বিস্তার ঘটছে কীটপতঙ্গের।
সবচাইতে আদি প্রকৃতির সরীসৃপ হলো কটিলেসর। প্রাণিবিজ্ঞানীদের মতে ‘সরীসৃপ-বৃক্ষ'-এর কাণ্ড বলা যেতে পারে এই গোষ্ঠীকে । এ কাণ্ড থেকেই অন্যান্য সরীসৃপ গোষ্ঠীর উৎপত্তি হয়েছে। এদের চোয়ালের কিনারা ছিল ধারালো দাঁতযুক্ত। এরা ছিল মাংসাশী। ছোট ছোট উভচর, বড় বড় পোকা ও সরীসৃপ আহার করত। তখনকার সবচাইতে বড় সরীসৃপ হচ্ছে পারিয়াসোরাস। এদের ছিল স্থুল দেহ। ছোট লেজ। বিশাল গাছপালা চিবিয়ে খেত। এদের তালুতে ছিল অসংখ্য দাঁত। তার সাহায্যে সবজিকে পাতলা ফালি ফালি করত ।
Sorsce
এই সময় পেলিকোসররা ছিল প্রধানতম স্থলচর মেরুদণ্ডি। এ যুগের কোনো কোনো সরীসৃপ গোষ্ঠীর পিঠে কাঁটার বড় পাখনা দেখা যায়। সেগুলো দেখতে অনেকটা পালের মতো। এগুলোর জন্য প্রাণিগুলোকে অদ্ভুত রকমের দেখাত। মাথার পেছন থেকে শুরু করে পিঠের সমগ্র মধ্যরেখা জুড়ে ছিল এই পাখনা ।
কোনো কোনো প্রাণিবিজ্ঞানীর মতে, অদ্ভুত ধরনের এই পাল ব্যবহৃত হতো তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র হিশেবে।
প্রাণিরা সকালে তাপকে ধরে রাখত । শরীর বেশি গরম হয়ে গেলে এমনভাবে ঘুরে দাঁড়াত যেন পালের পাতলা কিনারা সূর্যের দিকে মুখ করে রাখে । এর ফলে কিছু তাপ বিকিরিত হয়ে যাওয়ার পর সঠিক মাত্রা ফিরে আসত ।
এ যুগের শেষ দিকে দেখা গেল এডাকোেসর সরীসৃপ । আকারে অনেকটা কটিলোসরদের মতো। স্থূলদেহী। শক্তিশালী । খাটো ও মোটা পা। শরীর নিচু হয়ে ঝুলে থাকত । শরীরের ছিল ছোট । দাঁত দিয়ে গাছপালা পিষে চূর্ণ করত । তুলনায় মাথাটি
এদের কোনো কোনো প্রজাতির পিঠে ছিল কাঁটাঅলা পাল । সুঠাম গড়নের এসব সরীসৃপদের ছিল ছোট